জাতীয় সংগীতে শেষ হলো ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান

জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শেষ হলো রমনার বটমূলে আয়োজিত ছায়ানটের নতুন বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’ বার্তাকে প্রধান করে সূর্যোদয়ের পর থেকে শুরু হয়েছিল এ আয়োজন।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) ভোর ৬টার পর এবারের অনুষ্ঠান শুরু হয়। জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে সকাল সাড়ে ৮টায় শেষ হয় এ অনুষ্ঠান। এতে অংশগ্রহণ করেছেন নারী-পুরুষ মিলে প্রায় দেড় শতাধিক শিল্পী। ৯টি সম্মিলিত গান, ১২টি একক কণ্ঠের গান ও ৩টি পাঠসহ মোট ২৪টি পরিবেশনা হবে এবারের অনুষ্ঠানে।
আলো, প্রকৃতি, মানুষ ও দেশপ্রেমের গান দিয়ে আয়োজিত হয়েছে আজকের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। রমনার বটমূলে পূর্ব-পশ্চিমে অর্ধবৃত্তাকার ৭২ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৩০ ফুট প্রস্থের মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয়েছে এই বর্ণাঢ্য আয়োজন।
আরও পড়ুন
ছায়ানটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এবার মোট ২৪টি পরিবেশনা হয়েছে মঞ্চে। এর মধ্যে রয়েছে ৯টি সম্মিলিত সংগীত, ১২টি একক কণ্ঠে পরিবেশনা এবং ৩টি পাঠ। নববর্ষের শুভেচ্ছা বক্তব্য পাঠ করেন ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি ড. সারওয়ার আলী। অনুষ্ঠান শেষ হয় জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মাধ্যমে।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী পুরুষ শিল্পীরা পরেছেন মেরুন পাঞ্জাবি ও সাদা পায়জামা, আর নারীরা পরেছেন মেরুন পাড়ের অফ হোয়াইট শাড়ি। এই মেরুন রঙকেই কেন্দ্র করে সাজানো হয়েছে মঞ্চের রঙ ও সজ্জা।
ছায়ানট জানায়, প্রতিবছরই মঞ্চের গঠন একই থাকে, শুধু শিল্পীদের পোশাকের রঙের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মঞ্চের রঙে আনা হয় পরিবর্তন। গত বছর মঞ্চের রঙ ছিল হালকা সবুজ।
ছায়ানটের এই বর্ষবরণ অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে সংগঠনের ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজে। একই সঙ্গে দেশের বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলেও প্রচার করা হয় অনুষ্ঠানটি।
১৯৬৭ সাল থেকে পয়লা বৈশাখ উপলক্ষ্যে রমনার বটমূলে বর্ষবরণের এ আয়োজন করে আসছে ছায়ানট।
এমএসআই/এসএম