গাজা সংহতিতে শিক্ষার্থীদের বাধা: ডা. আলগিনের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদ জানিয়ে আয়োজিত ‘গ্লোবাল স্ট্রাইক ফর গাজা’ কর্মসূচিতে অংশ নিতে চাওয়া শিক্ষার্থীদের জোরপূর্বক ক্লাসে উপস্থিত থাকতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) মনোরোগবিদ্যা বিভাগের শিক্ষিকা অধ্যাপক ডা. সুলতানা আলগিনের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটির প্রধান করা হয়েছে বিএমইউর প্রোভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কালাম আজাদকে।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের একান্ত সচিব-১ ডা. মো. রুহুল কুদ্দুস বিপ্লব এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, ডা. সুলতানা আলগিনের বিরুদ্ধে গঠিত তদন্ত কমিটিতে সভাপতি করা হয়েছে প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদকে। কমিটির সদস্যরা হলেন- মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. শামীম আহমেদ, মেডিসিন বিভাগের কোর্স পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ নাজরুল ইসলাম এবং সাবেক সাইকিয়াট্রি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সালাউদ্দিন কাওসার। কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. মোস্তাফা কামাল পাশাকে।
জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগবিদ্যা বিভাগের এই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা থেকে বাদ দেওয়ার হুমকি দিয়ে ধর্মঘটে অংশ নিতে নিরুৎসাহিত করার অভিযোগ রয়েছে। শুধু তাই নয়, হিজাব পরা ছাত্রী ও দাড়ি রাখা ছাত্রদের ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগও উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন
অভিযোগ রয়েছে, তিনি সরকারি ঘরানার চিকিৎসক সংগঠন স্বাচিপের একজন সক্রিয় সদস্য হিসেবে অতীতে শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক মিছিলে জোরপূর্বক নিয়ে গেছেন।
এসব প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম বলেন, শিক্ষার্থীদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা, ধর্মীয় অধিকার এবং অংশগ্রহণমূলক পরিবেশ নিশ্চিত করা একজন শিক্ষকের দায়িত্ব। যখন কেউ এই চেতনার বিরুদ্ধে অবস্থান নেন, তখন তা গোটা শিক্ষাব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।
তিনি বলেন, অভিযোগের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
টিআই/এমএন