ছিনতাইয়ের নাটক সাজিয়ে গ্রেপ্তার বিন হাবিব গ্রুপের কর্মচারী

চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে ১৩ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের নাটক সাজিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন বিন হাবিব গ্রুপের কর্মচারী মো. সেলিম (৩৩)। এ ঘটনায় রোববার (৬ এপ্রিল) তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) আওতাধীন কর্ণফুলী থানায় মামলা হয়েছে। সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ওইদিন তাকে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
সেলিম কর্ণফুলীর চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের তমিজ ফকির বাড়ির আলী আলমের ছেলে। তিনি বিন হাবিব বিডি লিমিটেডের অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিল।
গত শনিবার (৫ এপ্রিল) হঠাৎ খবর বের হয় বিন হাবিব গ্রুপের বিপুল পরিমাণ টাকা ছিনতাই হয়েছে। এটি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবরও প্রকাশিত হয়। মালিকপক্ষও প্রথমে অভিযোগ তোলে তাদের টাকা ছিনতাই হয়েছে। কিন্তু যার কাছ থেকে টাকা ছিনতাই হয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তিনি একেক বার একেক রকম বক্তব্য দিচ্ছিলেন। এতে সন্দেহ হয় কর্ণফুলী থানা পুলিশেরও। ওইদিন প্রাথমিক তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে ছিনতাইয়ের ঘটনাটি সাজানো। পরে সার্বিক বিষয় মালিকপক্ষকে অবহিত করা হলে প্রতিষ্ঠানটির হেড অব এইচ আর অ্যান্ড অ্যাডমিন মো. সালে নুর ওরফে সাজ্জাদ (৪৪) বাদী হয়ে মামলা করেন।
ঘটনার দিন অর্থাৎ শনিবার বিকেলে বিন আমিন গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) সালমান বিন হাবিব ঢাকা পোস্টকে বলেছিলেন, কর্ণফুলী থানার চরলক্ষ্যা এলাকায় আমাদের গ্যাসের কারখানা রয়েছে। সেখান থেকে ১৫ লাখ ব্যাংকে জমা দেওয়ার জন্য আমাদের অফিস সহকারী আগ্রাবাদে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে কর্ণফুলীর ইছানগর এলাকায় তিনি ছিনতাইয়ের শিকার হন। ভুক্তভোগী টমটম নিয়ে যাচ্ছিলেন। তাকে অভিযুক্তরা মরিচের গুঁড়া ছুড়ে দিয়ে টাকার ব্যাগটি ছিনতাই করে নিয়ে যায়।
তবে ব্যাংক বন্ধ থাকার বিষয়টি জানানো হলে তিনি বলেন, ব্যাংকে না বুথে টাকাগুলো জমা দেওয়ার কথা ছিল।
কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শরীফ ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভুক্তভোগী প্রথমে বলেছেন ছিনতাই হওয়া ব্যাগে শুধু ডকুমেন্টস ছিল। পরবর্তীতে দুই লাখ এবং সবশেষ আমাকে ১২ লাখ টাকা বলেছেন। আবার অভিযুক্তরা একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে এসেছেন বলেছেন। কিন্তু ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ভুক্তভোগীর গাড়ির পাশে এরকম কোনো গাড়ি দেখা যায়নি। তাছাড়া যে জায়গায় টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ করা হয়েছে, সেখানে অতীতে এরকম কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও বলেন, সাজানো ছিনতাইয়ের ঘটনায় কথিত ভুক্তভোগীকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এমআর/এসএম