খুলতে শুরু করেছে মার্কেট ও দোকানপাট, কমছে সবজির দাম

ঈদের ছুটি শেষে রাজধানীতে ধীরে ধীরে খুলতে শুরু করেছে শপিংমল ও দোকানপাট। টানা ঈদের ছুটির পাশাপাশি আজ সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় এখনও ছুটির আমেজে কাটেনি নগরবাসীর। দোকানপাট খুললেও এখনো ফেরেনি কর্মচাঞ্চল্য।
শনিবার (৫ এপ্রিল) সকাল থেকে রাজধানীর মিরপুরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
মিরপুর-১ নম্বরের নিউ মার্কেট শপিংমল ও বিভিন্ন দোকানপাট আজ থেকে খোলা হয়েছে। তবে কিছু দোকানপাট খোলা হলেও এখনও বন্ধ অনেক মার্কেট তবে আজ অথবা আগামীকালের মধ্যে সবকিছু খোলা হতে পারে। শপিংমল খোলা হলেও নেই কোনো বেচাবিক্রি। মলের দোকানিরা শুরুর দিনে দোকান খুলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন বাজারসহ রাস্তার ওপরের ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলোতেও টাটকা সবজি পাওয়া যাচ্ছে। আগের তুলনায় কমেছে সবজির দাম। তবে চাহিদা আরও বাড়লে দাম আরও কমবে বলেই জানিয়েছে দোকানিরা। পুরোদমে ব্যাবসা-বাণিজ্য ও স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
মিরপুর নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী হোসেন বলেন, ঈদের পর আজই প্রথমবারের মতো আমরা দোকান খুলেছি। এবার ঈদুল ফিতরের আগে ভালো বিক্রি হয়েছে। ঈদের আগেরদিন রাত পর্যন্ত আমাদের দোকান খোলা ছিল। আজ দোকান খুলেই সবকিছু পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করছি। এখনও বেচাবিক্রি করিনি। তবে আপাতত বেচাবিক্রি খুবই কম হবে বলেই জানান তিনি।
আরও পড়ুন
মিরপুর-১ নম্বরের আর্টিসানের রাশেদ বলেন, ঈদের আগেরদিন রাত পর্যন্ত আমরা খুব চাপে ছিলাম। অনেক ভালো বেচাকেনা হয়েছে। আমরা মার্কেট খুলে সবকিছু পরিষ্কার করছি। আপাতত কোন কাস্টমার নেই। সেই সঙ্গে আগামী কয়েকদিন সেভাবে বেচাকেনাও হবে না। তবে আসছে কোরবানি ঈদের জন্য আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে।
মিরপুর-১ নম্বরের রাজিব কার ডেকোরেশনের কর্ণধার মো. রাজিব বলেন, আমাদের দোকান ঈদের পরদিন থেকে খোলা রাখতে হয়েছে। কারণ গাড়ির (প্রাইভেট কার) সমস্যা নিয়ে অনেক কাস্টমার এসেছিল। ঈদের আগের তুলনায় চাপ কম থাকলে আমার দোকান খোলা রাখতে হয়েছে। তবে এখন থেকে আস্তে আস্তে গাড়ির চাপ বাড়ছে। অনেক কাস্টমার গাড়ির সমস্যা নিয়ে আসছে বলে জানান তিনি।
রুপনগরের সবজি ব্যবসায়ী রুবেল বলেন, আজ আড়তে গিয়ে ভালো সবজি কিনতে পেরেছি। আগের তুলনায় সবজির দাম কিছুটা কমেছে। তবে কিছু সবজির দাম সামান্য বেড়েছে।
কোন সবজির দাম কত এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ভালোমানের একদম টাটকা পটল বিক্রি করছি ১২০ টাকা কেজিতে এবং অন্য পটল ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। লাউ প্রতি পিস বিক্রি করছি ৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাকা কেজি, চালকুমড়া ৬০ টাকা পিস, শসা ৭০ টাকা, পেঁপে ৬০ টাকা কেজি, কাঁকরোল ১৬০ টাকা কেজি, করলা ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি বলে জানান তিনি।
রুপনগর আবাসিক মোড়ের গরুর মাংস ব্যবসায়ী বিল্লাল জানান, গরুর মাংস ৮০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছি। আগে ৭৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করলেও এখন ৮০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছি। ঈদের পরে গরুর মাংসের চাহিদা কমে গেছে।
প্রসঙ্গত, এবার সবমিলিয়ে টানা ৯ দিনের লম্বা ছুটি ভোগ করছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সে অনুযায়ী ছুটি শেষে আগামীকাল ৬ এপ্রিল খুলবে অফিস-আদালত। যদিও আজ থেকেই অধিকাংশ বেসরকারি অফিসের কার্যক্রম চালু হয়েছে।
এসআর/এআইএস