সাত দিনে যৌথবাহিনীর অভিযানে গ্রেপ্তার ৩৪১

দেশের চলমান পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে দেশব্যাপী পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৭ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের অধীন ইউনিটগুলো অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আইএসপিআর জানায়, এসব যৌথ অভিযানে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, একাধিক মামলার আসামি, ছিনতাইকারী, কিশোর গ্যাং সদস্য এবং মাদক ব্যবসায়ীসহ মোট ৩৪১ জন অপরাধীকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার অপরাধীদের কাছ থেকে ১৫টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ৫৩টি বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ, মাদকদ্রব্য, সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রকার দেশি অস্ত্র, চোরাই মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, জাল নোট ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারদের প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ এবং আইনি কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন
আইএসপিআর আরও জানায়, এছাড়াও ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে ঈদযাত্রাকে নির্বিঘ্ন ও স্বস্তিদায়ক করতে গণপরিবহনের টার্মিনাল ও স্টেশনগুলোতে টহল, সচেতনতামূলক মাইকিং, কালোবাজারি রোধ ও টিকিটের সুষ্ঠু বণ্টন নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। পাশাপাশি মহাসড়কে বিকল্প রুট, পার্কিং ব্যবস্থা, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ এবং রোড ব্লক প্রতিরোধে দিনরাত কাজ করেছে সেনা টহল দল, যা ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রাকে করেছে সহজ ও নিরাপদ।
শিল্পাঞ্চলে সম্ভাব্য অস্থিরতা রোধে মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে মতবিনিময় ও সমঝোতার মাধ্যমে বেতন-বোনাস পরিশোধ নিশ্চিত করেছে সেনাবাহিনী। ফলে শ্রমিকদের ঈদ উদযাপন হয়েছে শান্তিপূর্ণ ও আনন্দঘন। এ ছাড়া রোবাষ্ট টহল, চেকপোস্ট, মাইকিং ও বিশেষ অভিযানের মাধ্যমে চুরি, ছিনতাই, সন্ত্রাস ও অসামাজিক কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, ঈদগাহ, সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
আইএসপিআর জানায়, দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সাধারণ জনগণকে যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য প্রদান করার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
এমএসি/এসএসএইচ