চিকিৎসায় বিদেশে যাচ্ছে বিপুল অর্থ

প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। এখানে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।
প্রথম আলো
ঢাকার ছাদ রেস্তোরাঁয় তাপপ্রবাহের বিপদ
পরিবার বা বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে আড্ডা কিংবা নিরিবিলি সময় কাটাতে কয়েক বছর ধরে খোলামেলা পরিবেশে ছাদ রেস্তোরাঁকে বেছে নিচ্ছেন নগরের বাসিন্দারা। বদ্ধ রাজধানীতে বিনোদন ও মনোরঞ্জনে এ ধরনের রেস্তোরাঁকে অনন্য বলছেন অনেকেই।
তবে ঢাকায় বেসরকারি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত দুই শর মতো ছাদ রেস্তোরাঁর কোনোটিরই অনুমোদন নেই। এসব রেস্তোরাঁ নিয়ে চিন্তিত পরিবেশবাদীরা, এমনকি রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষও (রাজউক)। ছাদে উচ্চ তাপে রান্না এবং প্লাস্টিক–জাতীয় দাহ্যবস্তু ব্যবহার করে সাজানোর কারণে সংশ্লিষ্ট ভবন ও এর আশপাশের ভবনে আগুন লাগা এবং তা ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বাড়ছে। ঝুঁকি ও অবৈধতার প্রশ্নে কয়েকটি ছাদ রেস্তোরাঁ ভেঙেও দিয়েছে রাজউক। তারপরও নিয়মনীতি ও অনুমোদনের তোয়াক্কা না করে ব্যক্তিমালিকানাধীন এ ধরনের রেস্তোরাঁর সংখ্যা বাড়ছে। বাদ যায়নি সরকারি ভবনের ছাদও।
বণিক বার্তা
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল নিয়ে উত্তেজনার মধ্যেও জাপানের বিপুল বিনিয়োগ
ভারতের সেভেন সিস্টার্স বলে খ্যাত উত্তর-পূর্বাঞ্চল নানা কারণে আলোচনায় আসে। এ অঞ্চল নিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্কে উত্তেজনাও ছড়িয়েছে বিভিন্ন সময়। নিজেদের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অর্থনৈতিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন নিয়ে ভারতের রয়েছে নিজস্ব নীতি ও কৌশল। আবার চট্টগ্রাম অঞ্চলকে ধরে বাংলাদেশের রয়েছে নিজস্ব অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ও ভাবনা। এসব ভৌগোলিক, রাষ্ট্রীয়, নীতিগত ভিন্নতা থাকলেও জাপান এ দুই অঞ্চলকে একটি অভিন্ন সমন্বিত উন্নয়ন অঞ্চল হিসেবে বিবেচনা করেছে। এ কৌশল বাস্তবায়নে গত এক দশকে এ দুই অঞ্চল ঘিরে জাপান বিপুল বিনিয়োগ করেছে। এসব বিনিয়োগ প্রকল্প পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও বাংলাদেশের চট্টগ্রাম অঞ্চলের মধ্যে কানেক্টিভিটি বৃদ্ধি করে অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে গতিশীল করাই এসব প্রকল্পের লক্ষ্য।
কালের কণ্ঠ
চিকিৎসায় বিদেশে যাচ্ছে বিপুল অর্থ
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতার পালাবদলের পর ভারত ভিসা সীমিত করায় দেশের রোগীদের বিদেশে যাওয়ার প্রবণতা অনেকটা কমেছে। এতে অনেক রোগী এখন দেশেই চিকিৎসা নিচ্ছে।
খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এই সুযোগে দেশের স্বাস্থ্য খাতে চিকিৎসাসেবায় আস্থার সংকট কাটানোর ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। এ ক্ষেত্রে উন্নতমানের হাসপাতাল তৈরি ও চিকিৎসাসেবার সক্ষমতা বাড়ালে রোগীদের বিদেশমুখিতা কমবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, বাংলাদেশিরা বিদেশে চিকিৎসার জন্য বছরে পাঁচ বিলিয়ন ডলারের বেশি খরচ করে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকার বেশি। তবে বেসরকারি হিসাব মতে, এই খরচ আরো অনেক বেশি।
বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার ক্ষেত্রে যে অর্থ ব্যয় হচ্ছে, তার ন্যূনতমও ব্যাংকের মাধ্যমে যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আবদুল হামিদ। কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, ‘বিদেশে চিকিৎসার ক্ষেত্রে ব্যাংকের যে অর্থ যাচ্ছে, তা প্রকৃত চিত্রের নগণ্য পরিমাণ।
আরও পড়ুন
সমকাল
ঈদেও নিষ্ক্রিয় সেই সব ‘কিংস পার্টি’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে ‘কিংস পার্টি’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া রাজনৈতিক দলগুলো এখন নিষ্ক্রিয়। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ও শেখ হাসিনার দেশ ছেড়ে পালানোর পর থেকে এসব দলের কোনো তৎপরতাই চোখে পড়ছে না। রমজান ও ঈদেও অধিকাংশ দলের তৎপরতা ছিল না। কোনো কোনো দল অবশ্য বক্তৃতা-বিবৃতি আর রাজপথে ছিটেফোঁটা কর্মসূচি দিয়ে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দেওয়ার চেষ্টা করছে।
আওয়ামী লীগ আমলে গড়ে ওঠা ‘কিংস পার্টি’র মূল তিনটি দল হচ্ছে তৃণমূল বিএনপি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি)। ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে আগে নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে নিবন্ধন পায় এই তিনটি রাজনৈতিক দল। সে সময় আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক নেতাদের সঙ্গে নির্বাচনে আসন সমঝোতার জন্য দেনদরবারও করে তারা। যদিও কোনো দলকে আসন ছাড় দেয়নি আওয়ামী লীগ। রাজনৈতিক পালাবদলের পর কোনো কোনো মহল থেকে আওয়ামী লীগের ‘সহযোগী’ আখ্যা দেওয়ায় বেশ বেকায়দায় আছেন দল তিনটির নেতারা। আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেওয়া এসব দলের নেতারা অবশ্য নিজেদের ‘কিংস পার্টি’ মানতে নারাজ। তাদের দাবি, অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচনে গিয়েছিলেন তারা। তবে তারা কখনোই আওয়ামী লীগের ‘সহযোগী’ হিসেবে কাজ করেননি। বরং জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে ছাত্র-জনতার পক্ষেই ছিলেন।
যুগান্তর
ঋণ পেতে আলোচনায় থাকছে তিন শর্ত
আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) গুরুত্বপূর্ণ শর্ত বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার বাস্তবায়ন করছে না। সংস্থাটির অনেক শর্ত দেশের স্বার্থবিরোধী। দেশের স্বার্থ বিপন্ন করে কোনো শর্ত বাস্তবায়ন করা হবে না। এসব কারণে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকার তেমন আগ্রহ দেখাচ্ছে না। ফলে আইএমএফও ঋণের কিস্তি ছাড় ইতোমধ্যে তিন দফা পিছিয়েছে। এতে পুরো কর্মসূচিই চলছে ঢিমে তালে। ঋণের অর্থছাড়ে আইএমএফ-এর প্রধান তিনটি শর্ত হচ্ছে-ডলারর দাম, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি ও কর আদায় বাড়ানো। এসব শর্ত বাস্তবায়ন করলে মূল্যস্ফীতির হার এবং জনগণের ওপর চাপ বাড়বে। কাজেই এগুলো আইএমএফ-এর চাওয়া অনুযায়ী নয়, সহনীয়ভাবে করতে হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
মানবজমিন
আরাধ্য এখনো জানে না বাবা-মা মারা গেছেন
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার চুনতিতে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে চমেক হাসপাতালে ভর্তি হওয়া শিশুটির পরিচয় পাওয়া গেছে। সে দুর্ঘটনায় নিহত দিলীপ বিশ্বাস ও সাধনা বিশ্বাসের মেয়ে। বুধবার (২রা এপ্রিল) দুপুরে অল্প সময়ের জন্য চোখ খুলে শিশুটি। এসময় একজন চিকিৎসক তার কানে কানে জিজ্ঞেস করেন নাম কি? কেনমতে ব্যথায় কাতর শিশুটি বলেন, তার নাম আরাধ্য। বাবার নাম দিলীপ বিশ্বাস ও মায়ের নাম সাধনা বিশ্বাস। এরপর আর কিছু বলেনি সে। নাম তিনটি বলেই ঘুমিয়ে পড়ে শিশুটি।
প্রথম আলো
আশপাশের দেশগুলোর চেয়ে বাংলাদেশে ভ্রমণ ব্যয়বহুল
বিশ্বের জনপ্রিয় পর্যটন–গন্তব্যের তালিকায় নেই বাংলাদেশের নাম। এ দেশে বিদেশি পর্যটকও আসেন হাতে গোনা। মূলত দেশের পর্যটন খাত নির্ভর করে স্থানীয় পর্যটকদের ওপর। তবু আশপাশের বিভিন্ন দেশের চেয়ে বাংলাদেশে ভ্রমণ বেশ ব্যয়বহুল।
প্রতিবেশী দেশগুলোয় অনায়াসে ঘুরে বেড়ানো যায় বাংলাদেশের চেয়ে কম খরচে। এ কারণে গত কয়েক বছরে ভারতে বেড়ানোর প্রবণতা অনেক বেড়েছে।
প্রতিবছর গড়ে এক কোটির মতো পর্যটক দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়ান। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই নিজেদের মতো করে ভ্রমণপরিকল্পনা করেন। তবে একটি অংশ বেড়াতে যায় বিভিন্ন ট্যুর অপারেটরের মাধ্যমে।
কালের কণ্ঠ
‘আমি যে বাসায় কাজ করতে গিয়েছিলাম। তারা প্রায়ই আমাকে মারত। বেতন চাইলেও মারত। বলত, কিসের বেতন? তোকে টাকা দিয়ে আনছি।
এখন আবার কিসের বেতন?’ গতকাল বৃহস্পতিবার কালের কণ্ঠের কাছে মোবাইল ফোনে এভাবেই নির্যাতনের কথা বলছিলেন ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার বাসিন্দা রুনু বেগম।
বণিক বার্তা
লবণ ও মৎস্যবাহী গাড়ির পানিতে পিচ্ছিল আঁকাবাঁকা পথ হয়ে উঠেছে মরণফাঁদ
দেশের ব্যস্ততম সড়কগুলোর একটি চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক। দুই লেনের এ পথে চলাচল করে সারা দেশ থেকে আসা বিভিন্ন যানবাহন। পর্যটন নগরী কক্সবাজারগামী এ যানবাহনগুলো প্রায়ই লোহাগাড়ার জাঙ্গালিয়া কিংবা চুনতি অভয়ারণ্য এলাকায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। সর্বশেষ ঈদের সময়েও পৃথক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে ১৫ জন। অভয়ারণ্যের উঁচু-নিচু ও আঁকাবাঁকা পাহাড়ি এ সরু পথে বেশি দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে অনেকেই দিচ্ছেন ভিন্ন ভিন্ন তথ্য। তবে খোঁজ নিয়ে যানা যায়, মূলত লবণ ও মৎস্যবাহী যানের পানিতে পিচ্ছিল হয়ে ভোর কিংবা সকালে বিপজ্জনক করে তুলছে সড়কটিকে। এতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
এছাড়া নির্বাচনী এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন নেতারা; ব্যাংককে ইউনূস-মোদি বৈঠকে বসছেন; পরিবারের সঙ্গে উৎসবমুখর ঈদ কাটালেন খালেদা জিয়া; লক্ষ্মীপুরে মাহফুজ / আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত সরকার একা নিতে পারে না—সংবাদগুলো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।