র্যাবের সার্বক্ষণিক মনিটরিং, প্রস্তুত বোম্ব ডিসপোজাল-ডগ স্কোয়াড

হাইওয়ে, যাত্রী নিরাপত্তা, ঈদ পূর্ববর্তী সময়ে ঈদকে কেন্দ্র করে আইন আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে র্যাব কর্তৃক ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এলিট ফোর্স র্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) অতিরিক্ত আইজিপি (গ্ৰেড -১) একেএম শহিদুর রহমান।
শনিবার (২৯ মার্চ) রাত ১২টায় র্যাব-১১ এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকা পরিদর্শন এবং পরিদর্শন শেষে মাতুয়াইলে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে একথা বলেন তিনি।
মতবিনিময় সভায় র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস্), পরিচালক, লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইং, র্যাব ফোর্সেসের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
র্যাব মহাপরিচালক বলেন, সম্প্রতি সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে কতিপয় দুষ্কৃতকারী ও স্বার্থান্বেষী মহল হামলা ও নাশকতার মাধ্যমে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, চাঁদাবাজিসহ সাধারণ মানুষের ওপর নৃশংস কায়দায় হামলা ও আক্রমণ করছে।
এসব অপরাধ দমনে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে র্যাব ফোর্সও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অভিযান পরিচালনা করছে।
সারা দেশে র্যাব পরিচালিত কার্যক্রমের ফিরিস্তি তুলে ধরে তিনি বলেন, ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে র্যাবের সব ব্যাটালিয়নসমূহ তাদের নিজস্ব দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় রোবাস্ট পেট্রলিং পরিচালনা করছে। এছাড়াও ঝুঁকিপূর্ণ/গুরুত্বপূর্ণ এলাকা সমূহে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে টহল মোতায়েনের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করা করছে।
ব্যাটালিয়নসমূহ নিজস্ব কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীদের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে ঢাকাসহ সারা দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছে।
ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী বিভিন্ন জায়গায় অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে চেকপোস্ট স্থাপন করে তল্লাশির মাধ্যমে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি যে কোনো উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য র্যাব বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
যে কোনো উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব মেট্রোপলিটন শহর, জেলা শহর ও উপজেলা পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট সমূহে চেকপোস্ট স্থাপন, পর্যাপ্ত সংখ্যক টহল মোতায়েন এবং সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। সব মেট্রোপলিটন শহর ও গুরুত্বপূর্ণ জেলা শহরসমূহে যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সার্বক্ষণিক প্রয়োজনীয় সংখ্যক ফোর্স রিজার্ভ রাখা হয়েছে।
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে দেশব্যাপী ঘরমুখী মানুষকে নিরাপত্তা প্রদানের পাশাপাশি র্যাবের সেবা সাধারণ জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে সব ব্যাটালিয়নসমূহের দায়িত্বপূর্ণ এলাকার বাস টার্মিনাল, রেল স্টেশন, লঞ্চ টার্মিনাল, ফেরিঘাট এবং গুরুত্বপূর্ণ জনসমাগম স্থানসমূহে রয়েছে র্যাব ফোর্সের বিশেষ নজরদারি রয়েছে। সড়ক, রেল এবং নৌ-পথে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, অতিরিক্ত যাত্রী বহন ও হয়রানি, অজ্ঞান/মলম পার্টি, চাঁদাবাজি এবং ছিনতাই রোধকল্পে নজরদারি ও প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন
র্যাব ডিজি বলেন, ঈদুল ফিতর ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও উৎসবমুখর ধর্মীয় অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে বিভিন্ন অনুষ্ঠানস্থল ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে আগত নারীদের উত্ত্যক্ত/ইভটিজিং/যৌন হয়রানি রোধকল্পে মোবাইল কোর্টসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কেউ কোনো ধরনের হেনস্থার শিকার হলে অবশ্যই কর্তব্যরত র্যাবকে জানাবেন। র্যাব ফোর্সেস কঠোর হস্তে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এছাড়াও দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে যে কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও অন্যান্য অপরাধমূলক কার্যক্রম দমনে র্যাব তার নিয়মিত টহল, গোয়েন্দা নজরদারি এবং অভিযানিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।
জেইউ/এমএন