কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে রাস্তা ও ব্রিজ নির্মাণের অনুমোদন

মুন্সিগঞ্জে বিসিক কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে ১৩৮ কোটি টাকার রাস্তা, ব্রিজ এবং অন্যান্য নির্মাণ কাজের অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
বিজ্ঞাপন
এর পাশাপাশি, চাঁদপুরে প্রবেশের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামোসহ একটি যাত্রী টার্মিনালের উন্নয়ন কাজ এবং বাজার স্টেশন ভবন নির্মাণের ভেরিয়েশন প্রস্তাবও অনুমোদন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ তিনটি প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুযায়ী বিসিক কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক, মুন্সিগঞ্জ (২য় সংশোধিত) প্রকল্পের আওতায় পূর্ত-৫ প্যাকেজের লট-১ ও লট-৩ এর রাস্তা, ব্রিজ এবং অন্যান্য নির্মাণ শীর্ষক পূর্তকাজের (টেন্ডার আইডি-১০২১৭৮১) ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩৭ কোটি ৯৬ লাখ ৯৬ হাজার ১৮২ টাকা। সুপারিশকৃত দরদাতা প্রতিষ্ঠান হলো আরএবি-আরসি প্রাইভেট লিমিটেড এবং বিডিই লিমিটেড।
বিজ্ঞাপন
নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে বৈঠকে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন “বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন প্রকল্প-১ (চট্টগ্রাম-ঢাকা-আশুগঞ্জ ও সংযুক্ত নৌ-পথ খনন এবং টার্মিনালসহ আনুষঙ্গিক স্থাপনাদি নির্মাণ) (২য় সংশোধিত)” প্রকল্পের অধীনে চাঁদপুরে প্রবেশের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামোসহ একটি যাত্রী টার্মিনালের উন্নয়ন কাজের ভেরিয়েশন প্রস্তাবও অনুমোদন দেওয়া হয়।
প্রকল্পটির মূল প্রস্তাবে ব্যয় ছিল ৯৩ কোটি ৪৩ লাখ ৫৪ হাজার ৫৬৫ টাকা, যা ভেরিয়েশন বাবদ ১৪ কোটি ৮৮ লাখ ২৮ হাজার ১৯৪ টাকা বেড়ে এখন ১০৮ কোটি ৩১ লাখ ৮২ হাজার ৭৬০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। এটি মূল চুক্তির ১৫.৯৩% বাড়তি। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে তোমা কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড (টিসিসিএল)।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুযায়ী, দোহাজারী হতে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু হতে মায়ানমারের কাছে গুনদুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ ট্র্যাক নির্মাণ (২য় সংশোধিত) প্রকল্পের চকরিয়া থেকে কক্সবাজার ভায়া রামু পর্যন্ত কক্সবাজার বাজার স্টেশন ভবনের নির্মাণ কাজের ১ম ভেরিয়েশন প্রস্তাবও অনুমোদন দেওয়া হয়।
প্রকল্পটির মূল প্রস্তাবে ব্যয় ছিল ৩ হাজার ৮৬৯ কোটি ৪১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৭০ টাকা, যা ভেরিয়েশন বাবদ ৪১ কোটি ২৪ লাখ ৩৮ হাজার ৯০৭ টাকা বেড়ে ৩ হাজার ৯১০ কোটি ৬৫ লাখ ৯২ হাজার ৪৭৭ টাকায় দাঁড়িয়েছে। এটি মূল চুক্তির ১.০৭% বাড়তি। যৌথভাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে সিসিইসিসি-ম্যাক্স।
এমএম/এমএসএ