শেষ মুহূর্তে ভিড় বাড়ছে যাকাতের কাপড়ের দোকানে

ঈদের বাকি আর অল্প কয়েকদিন। মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব সামনে রেখে চলছে কেনাকাটার ধুম। ঈদের কেনাকাটার পাশাপাশি শেষ মুহূর্তে ভিড় বাড়ছে যাকাতের কাপড় বিক্রির দোকানগুলোতেও।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (২৬ মার্চ) রাজধানীর পীর ইয়ামেনি মার্কেট ঘুরে এবং সংশ্লিষ্ট ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, যাকাতের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রিন্টের কাপড় ৩৩০ টাকা থেকে বিক্রি হচ্ছে। মানভেদে এসব কাপড় ৪০০ টাকা, ৪৫০ টাকা, ৫৫০ টাকা, ৭০০ টাকা এবং ৯৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে ৪৫০ থেকে ৫৫০ টাকার দামের মধ্যে যে-সব কাপড় রয়েছে সেগুলোতে ক্রেতাদের চাহিদা বেশি।
বিজ্ঞাপন
এদিকে লুঙ্গির দাম শুরু হচ্ছে ১৮০ টাকা থেকে। তবে মানভেদে এই দাম ২০০, ৩৫০ , ৪০০, ৫০০ এবং ৬০০ টাকাতেও বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে বিভিন্ন প্রকার সাদা পাঞ্জাবি ২০০ টাকা থেকে শুরু করে ৬৫০ এবং ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পীর ইয়ামেনি মার্কেটের চাঁদপুর শাড়ি ঘরের বিক্রেতা তহিদুল ইসলাম দিপু বলেন, অন্য সময়ের চেয়ে এ বছর বিক্রি কম। ফলে প্রত্যাশার সঙ্গে বিক্রির অবস্থা তেমন ভালো না। বিক্রি কম থাকায় অনেক কম দামেও মাল বিক্রি করতে হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, বেচা কেনা কম। তিনভাগের এক ভাগ বিক্রি করতে পারছি। দাম তেমন ভালো পাচ্ছি না।
আদর্শ শাড়ি ঘরের আরেক বিক্রেতা মিজানুর রহমান বলেন, আমাদের শেষ মুহূর্তের বিক্রি চলছে। আগামীকালও হয়ত কিছু বিক্রি হবে। তবে ২৮ তারিখ থেকে বিক্রি একেবারেই কম হবে। যারা যাকাতের কাপড় কেনেন তারা আগেই কিনে নিয়েছেন। যারা আগে সময় পাননি তারা এখন কিনছেন।
তিনি বলেন, সব মিলিয়ে বিক্রি ভালোই হয়েছে। কারণ দেশে এতবড় একটি পরিবর্তন এরপর যেটুকু বিক্রি হচ্ছে তাও কম কীসের। আল্লাহ চাইলে আরও কিছু বিক্রি হবে।
জাকাতের কাপড় কিনতে আসা ফারুক হোসেন বলেন, প্রত্যাশার চাইতে কিছুটা কম দামে এবার কাপড় কিনতে পারছি। গতকাল আমি কিছু কাপড় কিনেছি। আজও কিছু কিনব।
তিনি বলেন, জাকাতের জন্য অনেকেই ওয়ান টাইম কাপড় কেনে কিন্তু এটা ঠিক নয়। অল্প মানুষকে দিলেও ভালো কাপড় দেওয়া উচিত।
আরও পড়ুন
ফরাস উদ্দিন নামের আরেক ক্রেতা বলেন, আগে কাপড় কিনতে সময় পাইনি। ফলে শেষ মুহূর্তে আসলাম। অনেক দোকান ঘুরেছি। বাজার যাচাই করে ভালো জিনিসটা নিতে চাই।
এমএম/এমএন