৬০ পয়সা ট্যাগে হয়ে যায় আগানূর সুলতানসহ বিদেশি ব্র্যান্ডের পণ্য

আগানূর, সাদা বাহার, সুলতান, কাশ্মীর নামিদামি ইন্ডিয়ান-পাকিস্তানি ব্রান্ডের স্টিকার তৈরি হচ্ছে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে। পুরান ঢাকায় জনসমক্ষে এসব ব্র্যান্ডের স্টিকার বিক্রি করা হচ্ছে। মাত্র ৫০-৬০ পয়সা ট্যাগ, স্টিকার লাগিয়ে দুই হাজার টাকার পণ্য বিক্রি করছে ৬ থেকে ৮ হাজার টাকা। এতে করে প্রতারণা শিকার হচ্ছে ভোক্তা, লাখ লাখ টাকার মুনাফা লুটছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
বিজ্ঞাপন
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার (২৪ মার্চ) রাজধানীর জনতা হকার্স মার্কেট মায়াকাটায় অভিযান চালিয়ে হাতেনাতে ধরেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন
অভিযান পরিচালনা করেন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ফাহমিনা আক্তার। অভিযানে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ওমর ট্রেডিং নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা করে দিয়েছে অধিদপ্তর।
বিজ্ঞাপন
ফাহমিনা আক্তার জানান, রমজান মাসে বেশ কয়েকটি নামিদামি শপিংমলে অভিযান পরিচালনা কালে বিভিন্ন বিদেশি ব্রান্ডের নকল থ্রি পিস পাঞ্জাবি পোলো শার্টসহ বিভিন্ন পোশাক বিক্রি করতে দেখা যায়। ইন্ডিয়ান পাকিস্তানি পণ্য বলে বিক্রি করলেও পণ্যগুলো মূলত তৈরি হচ্ছে দেশেই। এবং তাদের তথ্যের ভিত্তিতে আমরা বেশ কিছু জায়গায় অভিযান করি। উৎপাদনকারীরা জানান, যারা বিক্রি করছে তারাই আমাদের এই ব্যান্ডের ট্যাগ লাগাতে বলেন। পুরান ঢাকা থেকে এইসব ট্যাগ স্টিকার কিনে পণ্যগুলোর মধ্যে লাগিয়ে দেই। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে জনতা হকার্স মার্কেটে অভিযান করা হয়। এখানে এসে আমরা দেখেছি তারা প্রকাশ্যে বিদেশি ব্রান্ডের ট্যাগ স্টিকার বিক্রি করছে। বিষয়টি নকল পণ্য স্বীকার করায় ওমর ট্রেডিং নামের প্রতিষ্ঠানটি সাময়িক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাদের কোনো ট্রেড লাইসেন্স নাই। অধিদপ্তরে কাগজপত্র নিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ছোট ব্যবসায়ী তারা যদি অঙ্গীকারনামা দেন তাহলে অন্যকোনো বৈধ ব্যবসা করার অনুমতি পাবে। তবে পরবর্তীতে এমন কোনো অপরাধ করলে দণ্ডনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওমর ট্রেডিংয়ের বিক্রয় কর্মী জানান, তারা এসব ট্যাগ যাত্রাবাড়ী সাইনবোর্ডে তাদের নিজস্ব কারখানায় তৈরি করেন। প্রতিটি ট্যাগ খরচ পড়ে ৩০ থেকে ৬০ পয়সা। বিক্রি করে ৬০ থেকে ৮০ পয়সা। দীর্ঘদিন ধরেই এই ধরনের ব্যবসা করে আসছে। চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নামে নকল এইসব ট্যাগ তৈরি করছেন।
ভোক্তা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা জানান, স্টিকার ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নামে নকল পোশাক তৈরি করে রাজধানীসহ সারা দেশে উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে। তৈরি বিভিন্ন পোশাক বিদেশি বলে ১ থেকে দুই হাজার টাকা পোশাক ৮ থেকে ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করছে। এতে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ ভোক্তা।
এসআই/এআইএস