সাপ্তাহিক ছুটির দিনে জমে উঠেছে বেইলি রোডের ইফতার বাজার

রমজানের শুরুতে নানাবিধ কারণে বেইলি রোড এলাকার ইফতারের ব্যবসা পুরোপুরি জমে উঠেনি। কিছুটা দেরি হলেও গত কয়েকদিনে বড়লোকের ইফতার বাজার খ্যাত বেইলি রোডের ইফতার বাজার জমতে থাকে। সাপ্তাহিক ছুটিরদিন হওয়া আজ রীতিমতো লাইন ধরে ইফতার কিনতে দেখা গেছে ক্রেতাদের।
শুক্রবার (২১ মার্চ) বেইলি রোডের ইফতারের দোকানগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, এখানকার নানা ধরনের ইফতারের ঘ্রাণে ক্রেতারা বিমোহিত। বাহারি কাবাব থেকে শুরু করে হালিম-জিলাপি, লাচ্ছি, ফালুদা– কি নেই এখানকার দোকানগুলোতে। পাশাপাশি বাঙালির ইফতারে ঐতিহ্য ছোলা-বেগুনি, হরেক রকমের পিঠা তো আছেই।
দোকানিরা জানান, রমজানের শুরুর কয়েক দিন তেমন একটা জমে নাই বেইলি রোড ইফতার বাজার। রমজান প্রথম সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার জমে ইফতার বাজার। এরপর থেকে সবদিনই ক্রেতা রয়েছে এখানকার ইফতার বাজারে। তবে, সাপ্তাহিক ছুটির দিন অন্যান্য ইফতার পাশাপাশি মাংসের তৈরি আইটেম চাহিদা বেশি থাকে।
নবাবী ভোজ রেস্টুরেন্ট অর্ধশতাধিক আইটেমের ইফতার মিলছে। ছোলা, বুট থেকে শুরু করে খাসির মাংস ভুনা, চিকেন কাটলেট, ফিশ ফিঙ্গার, জালি কাবাব, শিক কাবাব, রেশমি কাবাব, সুতি কাবাব, ভেজিটেবল রোল, স্প্রিং রোল, মোরগ পোলাও। এসব ইফতার আইটেমের দাম সর্বনিম্ন ৬০ থেকে শুরু করে ১৪০০ টাকা পর্যন্ত। এই রেস্টুরেন্টে কাবাব আইটেমের পাশাপাশি হরেক রকমের নান ও পরোটা বেশি বিক্রি হতে দেখা গেছে।
এই এলাকায় আরেক ইফতার বাজারে ক্যাপিটাল ইফতার বাজারে রয়েছে শতাধিক আইটেমের ইফতার। এখানে ক্রেতাদের মূল আকর্ষণ হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের খাসি ও গুরুর মাংসের তৈরি ইফতার আইটেম। এখানে গুরুর কালাভুনা থেকে শুরু করে বিফ কিমা, চিকেন ঝাল ফ্রাই, ব্রেন মসল্লাসহ আরও অনেক ধরনের ইফতার আইটেম পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের কাবাব রয়েছে এখানে। মাংসের তৈরি এসব ইফতারির দাম ১৬০০ শত টাকা পর্যন্ত রাখা হচ্ছে। এছাড়া এখানে ছোলা-বুটের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের দই, মাঠা ও লাবাং পাওয়া যাচ্ছে।
ক্যপিটাল ইফতার বাজারের বিক্রয়কর্মী আরিফ মাহমুদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, অন্য দিনের তুলনায় আজ বিক্রি বেশি। ছুটির দিনে সবাই পরিবার নিয়ে ইফতার করবেন। এ কারণে মাংসের আইটেম চাহিদা বেশি আজকে। পাশাপাশি হালিমও বিক্রি হচ্ছে বেশি।
আরও পড়ুন
তিনি আরও বলেন, অন্যদিকে ঈদের শপিং করতে আসা মানুষ ইফতারের আগে বাসায় না ফিরে এখানে বসে ইফতার করবেন। তারাও নিচ্ছেন বিভিন্ন ধরনের ইফতার আইটেম।
নবাবী ভোজের একজন বিক্রয় কর্মী বলেন, শুক্রবার ছুটির দিনে পরিবারের সবাই একসঙ্গে ইফতার করে মানুষ। যার কারণে অন্যান্য দিনের তুলনায় এদিন বেশি বিক্রি হয়।
তিনি আরও বলেন, আমাদের হালিম, বিরিয়ানির ও মাংসের তৈরির বিভিন্ন কাবাব আইটেম জনপ্রিয়। যার কারণে লাইন ধরে মানুষ ক্রয় করছেন। এছাড়া অন্যান্য আইটেমও বিক্রি হচ্ছে।
এএইচআর/এমএন