দ্রুত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবি ঢাবি ছাত্রদলের
স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ (ঢাবি) বাংলাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দ্রুত খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল।
শনিবার (২৯ মে) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা ও মাদকমুক্ত ক্যাম্পাসের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে তারা এ দাবি জানান।
সমাবেশে বক্তারা অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবি জানান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মাদক নির্মূলের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আহ্বান জানান।
ঢাবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, করোনার দোহাই দিয়ে সরকার বারবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার তারিখ পিছিয়ে দিচ্ছে। সুনির্দিষ্ট কোনো নীতিমালাও প্রণয়ন করছে না। খোলার কোনো পরিকল্পনাও লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। একটি বিশেষ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য এই সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে। এভাবে চলতে থাকলে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা অচিরেই ভেঙে পড়বে। আমরা বলতে চাই আর কোনো টালবাহানা চলবে না। শেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী ১৩ জুন থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে আগামী ১৩ জুন থেকে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ক্যাম্পাসে লাগাতার কর্মসূচি ঘোষণা করবে।
সদস্য সচিব আমানউল্লাহ আমান বলেন, পর্যটন কেন্দ্র, মার্কেটসহ বাংলাদেশের সব সেক্টর খোলা, শুধুমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। সরকার সারাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করার পাঁয়তারা করছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল অবিলম্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছে। একইসঙ্গে ঢাবি ক্যাম্পাস থেকে সব অপরাধের মূল মাদক নির্মূল করার ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম রাকিবের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব আমানউল্লাহ আমানের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক আমিনুর রহমান আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আকতার হোসেন, নাছিরউদ্দীন নাছির, জহিরউদ্দীন আহমেদ, আশরাফুল ইসলাম খান আনিক, খোরশেদ আলম সোহেল, এইচ এম আবু জাফরসহ কেন্দ্রীয় ও ঢাবি শাখার বিভিন্ন নেতারা।
এইচআর/জেডএস