বন্ধুকে বাসায় ডেকে এনে জিম্মি-চাঁদা দাবি, গ্রেপ্তার ২
রাঙ্গামাটির বাসিন্দা আলমগীরের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয়-বন্ধুত্ব। বন্ধুত্বের সূত্রে ঢাকায় আসার আমন্ত্রণ-প্রলোভন দেখানো হয় তাকে। পরে ২১ জানুয়ারি রাতে আলমগীর ঢাকার মিরপুরে আসেন। তাকে বাসায় নিয়েই জিম্মি করা হয়। এলোপাতাড়ি মারধরে কেড়ে নেওয়া হয় ১১ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন।
ভুক্তভোগীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজধানীর মিরপুর মডেল থানা এলাকা থেকে জিম্মি করে চাঁদাদাবির অভিযোগে চক্রর দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির মিরপুর মডেল থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) রাত পৌনে ৫টায় মিরপুর মডেল থানার উত্তর পীরেরবাগ মুন্সিবাড়ী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এসময় তাদের হেফাজত হতে একটি চাইনিজ কুড়াল, দুটি ধারালো ছুরি, তিনটি মোবাইল ফোন ও নগদ এক হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- নাজমুল হাসান (৩১) ও বিল্লাল প্রধান (৩৫)।
ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, ভুক্তভোগী আলমগীর হোসেন রাঙ্গামাটির একজন বাসিন্দা। তার সঙ্গে ঢাকায় বসবাসকারী চক্রের এক সদস্যের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বন্ধুত্ব হয়। চক্রটি আলমগীরকে ঢাকায় আসার জন্য কিছুদিন ধরে প্রলোভন দেখিয়ে আসছিল। মঙ্গলবার রাতে আলমগীর তাদের কথামতো ঢাকার মিরপুর মডেল থানার মুন্সিবাড়ী এলাকার একটি ফ্ল্যাট বাসায় আসেন।
বাসায় প্রবেশের পর গ্রেপ্তাররাসহ চক্রের অন্যান্য সদস্যরা আলমগীরকে জিম্মি করে তারা তার পরিবারের কাছে মোবাইল ফোনে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। কিন্তু অনেকবার চেষ্টা করেও বাদীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে তারা ব্যর্থ হয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত, মারধর করে ১১ হাজার টাকা এবং একটি মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়।
এ ঘটনায় আলমগীর বাদী হয়ে মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে মিরপুর মডেল থানায় গ্রেপ্তাররাসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।
তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার রাতে ৯৯৯ এর মাধ্যমে উল্লিখিত ঘটনা সংক্রান্ত একটি সংবাদ আসে। এর প্রেক্ষিতে থানার একটি টিম তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় চক্রটির অবস্থান শনাক্ত করে এবং মিরপুরের মুন্সিবাড়ী এলাকার একটি ফ্ল্যাট বাসায় অভিযান পরিচালনা করে নাজমুল ও বিল্লালকে গ্রেপ্তার করা হয়। চক্রটির অন্যান্য সদস্যরা পলাতক রয়েছেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তাররা ঘটনার সঙ্গে নিজেদের সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছেন।
গ্রেপ্তারদের মিরপুর মডেল থানার মামলায় বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। জড়িত অন্যান্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
জেইউ/এমএন