রেল ভবনের সভায় যাননি রানিং স্টাফরা

রানিং স্টাফদের দাবির বিষয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের পাঠানো মতামতের ভিত্তিতে একটি সভা ডেকেছিল বাংলাদেশ রেলওয়ে। কিন্তু দাবির বিষয়ে অনড় থাকায় সেই সভায় যোগ দেননি সারা দেশে সোমবার দিবাগত রাত থেকে ট্রেন না চালানোর ঘোষণা দেওয়া বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী সমিতির নেতারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মূল বেতনের সঙ্গে রানিং অ্যালাউন্স যোগ করে পেনশন প্রদান এবং আনুতোষিক সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে জটিলতা নিরসন না হওয়ায় কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন রেলওয়ের রানিং স্টাফরা। ফলে আজ সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টা থেকে সারা দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ হতে পারে।
এদিকে ট্রেন চালানো বন্ধের হুঁশিয়ারির পরিপ্রেক্ষিতে রোববার (২৬ জানুয়ারি) বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালকের পার্সোনাল শাখা থেকে একটি সভার নোটিশ দেওয়া হয়।
সেই নোটিশে বলা হয়, ২৭ জানুয়ারি বেলা ১১টায় রেল ভবনের সম্মেলন কক্ষে গত ২৩ জানুয়ারি অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা পত্র ও রানিং স্টাফদের পাঠানো পত্রের বিষয়ে পরবর্তীতে করণীয় কি সে বিষয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিবের সভাপতিত্বে একটি সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেই সভায় উপস্থিত থাকার নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
আরও পড়ুন
রেল ভবনের সভায় আপনারা যোগ দিয়েছেন কি না– জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী সমিতি সাধারণ সম্পাদক সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আমরা মিটিংয়ে নাই।’
সর্বশেষ গত ২৩ জানুয়ারি অর্থ মন্ত্রণালয় রেলপথ মন্ত্রণালয়কে জানায়, ‘২০২২ সালের ২১ আগস্ট অর্থ বিভাগের ৯১নং স্মারকে জারি করা পত্রের (খ) অনুচ্ছেদটি অপরিবর্তিত রাখা হলো এবং (ক) অনুচ্ছেদটি নিম্নরূপে সংশোধন করা হলো।’
সংশোধনে বলা হয়, ‘রানিং স্টাফ হিসেবে চলন্ত ট্রেনে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে ভ্রমণ ভাতা বা দৈনিক ভাতার পরিবর্তে রেলওয়ে এস্টাবলিশমেন্ট কোডের বিধান অনুযায়ী রানিং অ্যালাউন্স প্রাপ্য হবেন। চলন্ত ট্রেনে দায়িত্ব পালনের জন্য রানিং অ্যালাউন্স ছাড়া অন্য কোনো ভাতা প্রাপ্য হবেন না এবং মাসিক রানিং অ্যালাউন্সের পরিমাণ প্রাপ্য মূল বেতনের চেয়ে বেশি হবে না।’
অর্থ মন্ত্রণালয়ের এ মত জানার পর আরও ফুঁসে ওঠেন রানিং স্টাফরা। তারা বলেন, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ৮ ঘণ্টার বেশি আমরা কাজ করব। আমরা তো সবাই টাকার জন্যই কাজ করি। ৮ ঘণ্টার বেশি কাজ করলে যদি টাকাই না দেয়, তাহলে আমরা কাজ করব কেন?
কর্মসূচির বিষয়ে এর আগে মজিবুর রহমান বলেন, গত ডিসেম্বর মাসে আন্দোলন করলে রেলওয়ের কর্মকর্তারা আমাদের ডাকলেন। তারা আমাদের কাছে ১০ দিন সময় চেয়েছিলেন। আমি তাদের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছি। কিন্তু তারা আমদের জন্য কিছু করতে পারলেন না। পরে ১ জানুয়ারি আমরা জানিয়ে দিলাম, আমার আগামী ২৮ জানুয়ারি থেকে ট্রেন চালাব না।
এমএইচএন/এসএসএইচ