আইএসপিদের অপারেশনাল তথ্য জমা দিতে যে নির্দেশনা দিল বিটিআরসি

ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারী লাইসেন্সপ্রাপ্ত আইএসপিদের প্রতিমাসের যাবতীয় অপারেশনাল তথ্য (ক্রিয়াকলাপ সংক্রান্ত তথ্য) বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি) জমা দেওয়ার নিয়মে আরও বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে। এখন থেকে নতুন মাসের ৭ তারিখের মধ্যে অপারেশনাল তথ্যাদি অনলাইনে বিটিআরসির ডিআইএসে (ডাটা ইনফরমেশন সিস্টেম) জমা দিতে হবে।
বিজ্ঞাপন
যদি কোনো আইএসপি এ নির্দেশনা না মানে, তাদের ব্যান্ডউইথ বন্ধ বা সীমিত (ক্যাপিং) করাসহ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি নিয়ন্ত্রক সংস্থার বিভাগটির উপ-পরিচালক এস এম গোলাম সরোয়ারের সই করা চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
চিঠিতে বলা হয়েছে, সব আইএসপি প্রতিষ্ঠানকে প্রতিমাসের ৭ তারিখের মধ্যে ডিআইএস (dis.btrc.gov.bd) পোর্টালে অপারেশনাল তথ্য জমা দিতে হবে। কিন্তু কমিশন থেকে নির্দেশনা ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়ার পরও কিছু আইএসপি লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান ডিআইএস পোর্টালে নিয়মিত অপারেশনাল তথ্য জমা দিচ্ছে না।
এতে আরও বলা হয়েছে, বারবার তাগিদ দেওয়া সত্ত্বেও আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলোর এ ধরনের কার্যক্রম আইএসপি লাইসেন্সিং গাইডলাইনের অনুচ্ছেদ-২২ দশমিক ৭ (সংশোধিত) এবং অনুচ্ছেদ-২৫ দশমিক ৫ এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
বিজ্ঞাপন
এ অবস্থায়, কমিশনের নির্দেশ ভঙ্গ করে প্রতিমাসের ৭ তারিখের মধ্যে ডিআইএস পোর্টালে তথ্য দিতে ব্যর্থ আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যান্ডউইথ বন্ধ বা সীমিত (ক্যাপিং) করা হবে। একইসঙ্গে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০০১ এর বিধান মোতাবেক অন্যান্য আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও এতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন
ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি ইমদাদুল হক বলেন, এটি ইতিবাচক দিক। অপারেশনাল তথ্য বলতে কাস্টমার (গ্রাহক) সংক্রান্ত তথ্য বুঝানো হয়। প্রতি মাসে নতুন কী পরিমাণ গ্রাহক ইন্টারনেট পরিষেবার আওতায় যুক্ত হন, কিংবা কী পরিমাণ গ্রাহক ইন্টারনেট পরিষেবা থেকে বিচ্ছিন্ন হন, সেই হিসাব বিটিআরসিকে জানাতে হয়। এর সঙ্গে আরও আনুষঙ্গিক কিছু তথ্যাদি জমা দিতে হয়। এটি আগের নিয়ম। কিন্তু অনেকেই জমা দেন না। সেজন্য নতুন করে বিটিআরসি থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেন ৭ তারিখের মধ্যেই এই তথ্যাদি অনলাইনে জমা দেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, চিঠি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আমরা বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছি। এমন জবাবদিহিতামূলক কার্যক্রম ইন্টারনেট পরিষেবার মান আরও বেশি বাড়াবে।
আরএইচটি/এমএন