ইয়াসের প্রভাবে ১৪ জেলায় ১০০ কি.মি. গতিতে ঝোড়ো হাওয়ার শঙ্কা
প্রবল ঘূর্ণিঝড় ইয়াস বুধবার (২৬ মে) দুপুর নাগাদ ভারতের উত্তর পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এর প্রভাবে দেশের উপকূলের ১৪ জেলায় ঘণ্টায় ১০০ কি.মি. পর্যন্ত গতিতে ঝোড়ো হাওয়াসহ ভারী বর্ষণ হতে পারে। এছাড়া পূর্ণিমার প্রভাবে একাধিক জেলায় জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে দুই ফুট বেশি উচ্চতায় উঠতে পারে।
আজ মঙ্গলবার (২৫ মে) দুপুরের দিকে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ মো. আবুল কালাম মল্লিক এ তথ্য জানিয়েছেন।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস সংক্রান্ত আবহাওয়ার ১১ নং বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করা প্রবল ঘূর্ণিঝড় ইয়াস উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আজ দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৫৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ৫২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৪৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৪৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
প্রবল ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে আগামীকাল দুপুর নাগাদ উত্তর পশ্চিমবঙ্গ উপকূল অতিক্রম করতে পারে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার; যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১১৭ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ হয়ে আছে।
এ প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, ঘূর্ণিঝড় অতিক্রম করার সময় খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর ও চট্টগ্রাম জেলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হবে।
এ সময়ে ঘণ্টায় ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এছাড়া পূর্ণিমার প্রভাবে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর ও চট্টগ্রাম জেলার নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে দুই থেকে চার ফুট অধিক উচ্চতার জোয়ারে প্লাবিত হতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা সকল মাছ ধরা নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
একে/এনএফ