সামনের বর্ষায় ঘাসে ঢাকা হবে রাজধানীর অনাবৃত সড়ক বিভাজন
রাজধানীতে ধুলার প্রকোপ কমাতে সামনের বর্ষা মৌসুমে অনাবৃত সড়ক বিভাজনে ঘাস লাগানো হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেছেন, নির্দিষ্ট পদক্ষেপের মাধ্যমে বায়ুদূষণ মোকাবিলায় সরকারের প্রতিশ্রুতির উপর জোর দেওয়া হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
রোববার (১২ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদে বাংলাদেশে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস আয়োজিত ‘বায়ু মান গবেষণা এবং পরিবেশগত নীতি আলোচনা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
বায়ুদূষণ কমাতে চলমান প্রচেষ্টা এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, বায়ুদূষণের কারণে জনসাধারণের দুর্ভোগ কমাতে রাস্তার ধুলা এবং বর্জ্য পোড়ানো নিয়ন্ত্রণের মতো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। তবে, জ্বালানি মানসম্মতকরণ এবং শোধনাগার প্রক্রিয়া আধুনিক করতে হবে। সেজন্য দীর্ঘমেয়াদি সমাধান বাস্তবায়নের জন্য উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ এবং সময় প্রয়োজন হবে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে বায়ুদূষণের ভয়াবহতা তুলে ধরে তিনি বলেন, দেশের ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো মন্ত্রিসভায় বায়ুদূষণ নিয়ে আলোচনা করেছে। যা এই বিষয়টির প্রতি আমাদের গুরুত্বের ইঙ্গিত দেয়। আমরা চিন্তা করেছি, সামনের বর্ষায় ঢাকার খোলা রাস্তার বিভাজকগুলোকে ঘাস দিয়ে ঢেকে দেব। একইসঙ্গে ধুলাদূষণ রোধে ভাঙা রাস্তা মেরামতের মতো নির্দিষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একটি টাস্ক ফোর্স এবং অ্যাকশন গ্রুপ গঠনের করার কথাও জানান তিনি।
বিজ্ঞাপন
সেমিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়েমা হক বিদিশা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুস সালাম এবং ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের অর্থনৈতিক কর্মকর্তা অ্যামি ক্যাসসহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় বায়ুর মান ব্যবস্থাপনা এবং নগর ও শিল্প বায়ুদূষণ মোকাবিলায় উদ্ভাবনী পদ্ধতি সম্পর্কে উইসকনসিন ম্যাডিসন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জেমস জে. শাউয়ার, সেন্ট লুইস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. বেঞ্জামিন ডি ফয় এবং ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জিল বাউমগার্টনার বক্তব্য দেন।
এছাড়া ড. জাহিদুল কাইয়ুম (ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়), ড. আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার (স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়), সামিহা নাহিয়ান (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), শহীদ উজ জামান (বুয়েট) এবং ড. জিয়াউল হকের (পরিবেশ বিভাগ) উপস্থাপিত গবেষণার ফল তুলে ধরে বাংলাদেশে বায়ুর মান প্রবণতার গভীর বিশ্লেষণ উপস্থাপন করা হয়েছে।
আরএইচটি/জেডএস