দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করার সুযোগ দেখছে ঢাকা
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই’র আমন্ত্রণে আগামী ২০-২৪ জানুয়ারি দেশটি সফর করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। উপদেষ্টার প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফরটি চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় ও গভীর করার লক্ষ্যে বড় সুযোগ বলে মনে করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম উপদেষ্টার সফর নিয়ে এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
রফিকুল আলম বলেন, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আমন্ত্রণে আগামী ২০-২৪ জানুয়ারি দেশটিতে দ্বিপাক্ষিক সফর করবেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পরে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফর হিসেবে এ সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় ও গভীর করার লক্ষ্যে এ সফর একটি বড় সুযোগ। সফরকালে উপদেষ্টা চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হবেন। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা হবে।
মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশ এবং চীন ২০২৫ সালে তাদের কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করতে চলেছে। এ লক্ষ্যে উভয় দেশ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ সফরে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপনের শুভ সূচনা হবে। এই সফরে বাংলাদেশ ও চীনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভবিষ্যৎ রূপরেখা প্রণয়নকল্পে দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের পাশাপাশি কৃষি, শিক্ষা, অবকাঠামো, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধান প্রভৃতি ক্ষেত্রে চলমান সহযোগিতার অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হবে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সফরে বাণিজ্য ভারসাম্য পুনর্গঠনে পাশাপাশি দেশটি থেকে বিনিয়োগ বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনার কথা জানান মুখপাত্র। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাৎসরিক বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যদিও এই বাণিজ্য ভারসাম্য বাংলাদেশের পক্ষে অনুকূল নয়। এই সফরে বাণিজ্য ভারসাম্য পুনর্গঠনের পাশাপাশি বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে চীনা বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
চীন সফরকালে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে চীনের সাংহাই-এর ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করার তথ্য জানান রফিকুল আলম।
এনআই/জেডএস
