সায়েদাবাদ মহাখালী গাবতলী টার্মিনালে চাঁদাবাজির প্রমাণ পেয়েছে দুদক
যাত্রীবাহী বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে সায়েদাবাদ, মহাখালী, গাবতলী বাস টার্মিনালে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযানে অভিযোগগুলোর সত্যতা পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পৃথক টিম অভিযান পরিচালনা করে। দুদকের জনসংযোগ দপ্তর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
রাজধানীর সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে অভিযান পরিচালনা করে দুদকের সহকারী পরিচালক আল-আমিন ও সুভাষ চন্দ্র মজুমদারের নেতৃত্বে একটি। অভিযানের বিষয়ে দুদক কর্মকর্তা আল আমিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ছদ্মবেশে সায়েদাবাদ বিভিন্ন কাউন্টারে সরেজমিন পরিদর্শন করা হয়েছে। এ সময় প্রতিটি বাস ছাড়ার সময়ে গাড়ি প্রতি ২০০-৩০০ টাকা চাঁদা দিতে হয়। ওই চাঁদা উত্তোলন করা হয় মালিক সমিতির স্লিপের মাধ্যমে। চোখ ফাঁকি দিতে রশিদে টাকার পরিমাণ লেখা হয় না, তবে নাম ও বাস নম্বর লিখে রশিদ দেওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।
অন্যদিক মহাখালী ও গাবতলী বাস টার্মিনালে দুদকের সহকারী পরিচালক মাহমুদ ও খোরশেদের নেতৃত্বে দুটি টিম অভিযান পরিচালনা করে।
দুদক জানায়, অভিযানে দুদকের তিনটি টিম টিকিট কাউন্টার অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ পেয়েছে যাত্রীদের কাছ থেকে। টিকিটের গায়ে নির্ধারিত দামের বেশি টাকা যাত্রীদের কাছ থেকে আদায়ের প্রমাণ মিলেছে। এসব বিষয় যাচাই করতে মালিক সমিতির অফিসে দুদক টিম গেলে সেখানে তালা দেওয়া পাওয়া যায় কিংবা সমিতির কোনো কর্মকর্তা বা নেতা অফিসে পাওয়া যায়নি। তবে মালিক সমিতির প্রতিনিধিরা দুদক টিমকে বলেন, সমিতির নামে উত্তোলিত টাকা দ্বারা শ্রমিকদের বেতন ও সমিতির খরচ মেটানো হয়। অভিযানকালে সমিতি কোনো নেতার সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। সমিতির এমন কাজের বৈধতা পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করা হবে বলে জানিয়েছে দুদকের জনসংযোগ দপ্তর।
আরএম/জেডএস