‘হাত-পা বাঁধা’ থাকায় বদির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সরকারের একাধিক সংস্থার করা মাদক ব্যবসায়ীর তালিকায় শীর্ষে এসেছে আবদুর রহমান বদির নাম। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ‘হাত-পা বাঁধা’ থাকায় বদির বিরুদ্ধে মামলা নিতে পারেনি মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে আইস উদ্ধারের বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ সরল স্বীকারোক্তি দেন সংস্থাটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক মুহাম্মদ ইউসুফ।
বেশ কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশে সবচেয়ে ভয়াল মাদকের নাম ইয়াবা। ‘বাবা’ নামে এটি ছড়িয়ে পড়েছে সমাজের বিভিন্ন স্তরে বিশেষ করে তরুণদের মাঝে। সারা দেশে ইয়াবার মূল জোগান রুল ছিল টেকনাফ-কক্সবাজার। মায়ানমারের সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণের এলাকা টেকনাফ হয়ে ইয়াবার কারবারে শীর্ষে যার নাম সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত হয়েছে তিনি আব্দুর রহমান বদি। কক্সবাজার-৪ আসন থেকে তিনি ২০০৮ এবং ২০১৪ দুই মেয়াদে সংসদ সদস্য ছিলেন।
ডিএনসির অতিরিক্ত মহাপরিচালক মুহাম্মদ ইউসুফ বলেন, মাদকসেবন যেমন আসক্তি ঠিক এর কারবারও বড় আসক্তি। আপনারা মাদক সম্রাট বদির নামে আসলে আমরা আওয়ামী লীগের আমলে কোনো মামলা নিতে পারিনি। বর্তমানে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আমরা কাজ করছি। এখন আমাদের হাত পা বাঁধা নেই। আমরা তার (বদির) সব কার্যক্রমের তদন্ত করেছি। আমাদের একটি কমিটি তদন্ত করে কাজ করেছে। তারা তদন্ত করে বদি ও তার আত্মীয় স্বজনদের বিষয় বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
আরও পড়ুন
তিনি বলেন, আমরা এখনো ব্যবস্থা নিতে পারিনি। এজন্য সময় প্রয়োজন। আমাদের সোর্স লাগানো আছে। গডফাদারদের ধরার বিষয় অনেকেই প্রশ্ন করেন। কিন্তু গডফাদার থাকে অনেক পেছনে। তার কাছ পর্যন্ত পৌঁছাতে আমাদের জুতার তলা ক্ষয় হয়ে যায়। এ জন্য সহজ কাজ হচ্ছে মানিলন্ডারিং মামলা। বদির পুরো পরিবারের তথ্য এসেছে। এবার তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিতে কাজ করবো। দ্রুতই একটা ফলাফল দেখতে পাবেন।
এক প্রশ্নের জবাবে মুহাম্মদ ইউসুফ বলেন, মাদকের আধিপত্য এখনো অনেকেই ধরে রেখেছেন। আমরা সবার বিষয় কাজ করছি। আমাদের নিজেদের গোয়েন্দাদের পাশাপাশি অন্য সংস্থার সহযোগিতা নেওয়া হচ্ছে।
জেইউ/এমএ