থাইল্যান্ড নেওয়া হচ্ছে জুলাই বিপ্লবে আহত আশরাফুলকে
উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড নেওয়া হচ্ছে জুলাই বিপ্লবে আহত আশরাফুল ইসলামকে। স্বাস্থ্য উপদেষ্টার নির্দেশে মাত্র তিনদিনের মধ্যে সব কাজ সম্পন্ন করে তাকে আজ থাইল্যান্ডে পাঠানো হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে থাইল্যান্ডের ভেজথানি হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে আশরাফুলকে। রাত ৮টা ২০ মিনিটে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে থাইল্যান্ডের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন তিনি।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ডিসেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশরাফুলের ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ে। দুটো ফুসফুসই আক্রান্ত হয়। সঙ্গে রক্তচাপ কমে যেতে থাকে। এর ফলে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয় আশরাফুলকে। তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর রাখছিলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। কিন্তু গঠিত মেডিকেল বোর্ড তাকে বিদেশে নেওয়ার সুপারিশ করেনি।
আরও পড়ুন
এরপর স্বাস্থ্য উপদেষ্টা আবারও গত ৫ জানুয়ারি মেডিকেল বোর্ড করার নির্দেশ দেন। বিদেশে নেওয়ার জন্য মেডিকেল বোর্ড সিদ্ধান্ত দেয়। স্বাস্থ্য উপদেষ্টার নির্দেশে আশরাফুলকে বিদেশে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন্তু সমস্যা দেখা দেয় আশরাফুল ও তার স্ত্রীর পাসপোর্ট না থাকা নিয়ে। দ্রুত তাদের পাসপোর্ট করার ব্যবস্থা করেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ডা. মাহমুদুল হাসান। মন্ত্রণালয়ে টাকার ব্যবস্থা করা, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ঠিক করা হয় দ্রুত। মাত্র তিন দিনের মধ্যে সব কাজ শেষ করা হয়।
গত ৫ আগস্ট তিনি মিরপুর ১০ নম্বরে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক আশরাফুল ইসলাম। বাসা থেকে সিএনজি অটোরিকশা চালানোর কথা বলে বের হলেও যোগ দেন ছাত্রজনতার আন্দোলনে। এদিন সকাল ১০টার দিকে হঠাৎ করে তার মাথায় এসে গুলি লাগে। কয়েকজন তাকে নিয়ে যান ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে।
হাসপাতালে নেওয়ার পর ডা. মোয়াজ্জেম হোসেন তালুকদারের অধীনে তাকে দ্রুত অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। অপারেশন করে মাথার খুলি খুলে রাখা হয়। তারপর তাকে আইসিইউতে শিফট করা হয়। সেখানে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। দীর্ঘ দুই মাস লাইফ সাপোর্টে থাকেন আশরাফুল। লাইফ সাপোর্টে থাকলেও তার জ্ঞান ফেরেনি পুরোপুরি। মাঝেমধ্যে চোখ মেলে তাকায়। কিন্তু জ্ঞান ফেরেনি পুরোপুরি।
এসআর/এমজে