পান্থকুঞ্জ পার্ক-হাতিরঝিল জলাধার পুনরুদ্ধারের দাবি
পান্থকুঞ্জ পার্ক-হাতিরঝিল জলাধার পুনরুদ্ধারের দাবি জানিয়েছে সেইভ ফিউচার বাংলাদেশ নামক একটি সংগঠন।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনের পক্ষ থেকে এ দাবি জানানো হয়।
সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপেসওয়ে প্রকল্পটি শুরু থেকেই দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা এবং সমন্বয়হীনতার মধ্য দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। যা, পরিবেশগত দূষণ এবং জনদুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশের বিদ্যমান পরিবেশ, পার্ক ও জলাধার কিংবা প্রাণবৈচিত্র্য সুরক্ষা নীতি এবং আইন লঙ্ঘন করে এই প্রকল্পের মাধ্যমে পান্থকুঞ্জ পার্ক ও হাতিরঝিলের জলাধার ধ্বংসের প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন
তারা বলেন, প্রকল্পের অধীনে কারওয়ান বাজার থেকে পলাশী পর্যন্ত সংযোগ সড়ক নির্মাণের যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তা হাতিরঝিলের মতো এই অঞ্চলের টিকে থাকা সংবেদনশীল এই জলাধারের মারাত্মক ক্ষতি করবে। প্রকল্পের প্রস্তাবিত ৪১টি পিলার হাতিরঝিলে বসানো হবে। ইতোমধ্যে বেশকিছু পিলার বসানোর জন্য বালি-মাটি দিয়ে জলাশয় ভরাট করায় এর সৌন্দর্য, প্রাণবৈচিত্র্য এবং পরিবেশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়াও এক্সপ্রেসওয়ের একটি র্যাম্প পান্থকুঞ্জ পার্ক ধ্বংস করে কারওয়ান বাজার গোল চত্বরের দিকে নামানো হবে এবং আরেকটি সংযোগ সড়ক পান্থকুঞ্জ পার্ক হয়ে হাতিরপুল ও নীলক্ষেত হয়ে পলাশী পর্যন্ত যাবে। এ কারণে ইতোমধ্যে পার্কের নানা বয়সী ৪০ প্রজাতির গাছ কাটা হয়েছে।
পরিবেশ ও জলবায়ু কর্মী, সেইভ ফিউচার বাংলাদেশ এর প্রধান সমন্বয়ক নয়ন সরকার বলেন, সাবেক স্বৈরাচার সরকারের সময়ে হাতে নেওয়া ঋণের টাকায় কাওরান বাজার থেকে পলাশী পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি অন্তবর্তীকালীন সরকার পুনর্মূল্যায়ন না করে জনগণের হাতিরঝিল জলাধার ও পান্থকুঞ্জ পার্ক ধ্বংস করে আবার নির্মাণ কাজ শুরু করেছে যেটি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্প্রিটের সাথে সাংঘর্ষিক। হাতিরঝিল জলাধার ঢাকা শহরের জন্য আশীর্বাদ। হাতিরঝিল ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে এবং গরমকালে তাপমাত্রা কমাতেও ভূমিকা রাখে। হাতিরঝিল বিভিন্নভাবে নগরবাসীর জীবনে ভূমিকা রাখে। এখন সেখানে একাংশ ভরাট করে পিলার স্থাপন করা হচ্ছে যার ফলে জলাধারের জীববৈচিত্র্য ধ্বংস এবং পানিপ্রবাহ বাঁধার সম্মুখীন হয়েছে।
তিনি বলেন, অন্যদিকে কারওয়ান বাজারের ফুসফুস খ্যাত পান্থকুঞ্জ পার্ক এলাকাবাসীর প্রশান্তির জায়গা ছিল। ঢাকার সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ কাঁঠালবাগান এলাকায় আর একটি পার্ক ও মাঠ নেই। এখানে ইতোমধ্যে পার্কের অধিকাংশ এলাকার গাছ কেটে ধূসর মরুভূমিতে পরিণত করা হয়েছে। এখানে নাগরিকেরা হাঁটার জায়গা হারিয়েছে, শিশুরা তাদের খেলার মাঠ হারিয়েছে, এমনকি গাছ কেটে ফেলার কারণে পাখিরা আবাসস্থল হারিয়েছে।
এএসএস/এমএসএ