সাদেক খান ও ইকবালুর রহিমের পরিবারের নামে দুর্নীতির ৫ মামলা
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ঢাকা-১৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খান, তার স্ত্রী ফেরদৌসী খান ও সন্তান ফাহিম খানের নামে পৃথক মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
একই অভিযোগে দিনাজপুর-৩ আসনের সাবেক এমপি ও জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিম ও তার স্ত্রী নাদিরা সুলতানের নামে মামলা করেছে দুদক।
দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন ঢাকার সেগুনবাগিচায় সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে বুধবার (৮ জানুয়ারি) সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানায়।
মামলাগুলোর মধ্যে সাদেক খানের বিরুদ্ধে ৭ কোটি ৩০ লাখ ২০ হাজার ৬৬৪ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও তার ২৯ ব্যাংক হিসাবে ৪৬৬ কোটি ৪৭ লাখ ৬২ হাজার ১৯০ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
অন্যদিকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় মামলায় ফেরদৌসী খান ও ফাহিম খানের বিরুদ্ধে যথাক্রমে ৫ কোটি ৯৮ লাখ ৩২ হাজার ৫২১ টাকা ও ৬ কোটি ১২ লাখ ৮১ হাজার ১৫২ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। ফেরদৌসী খানের ১৫১টি ব্যাংক হিসাবে ৭২ কোটি ৩২ লাখ ২৯ হাজার ১০৬ টাকা লেনদেন ও ফাহিম খানের ৭০টি ব্যাংক হিসাবে ৩৬ কোটি ১৪ লাখ ৩৮ হাজার ১৩৮ টাকার লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন
আর সাবেক এমপি ইকবালুর রহিমের বিরুদ্ধে ১২ কোটি ২২ লাখ ৯৯ হাজার ৬২০ টাকা ও ১২ ব্যাংকের ২৪টি হিসাবে ৭১ কোটি ১ লাখ ৬ হাজার ৭০৩ টাকা লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে পৃথক আরও একটি মামলায়।
এছাড়া তার স্ত্রী নাদিরা সুলতানের বিরুদ্ধে ৭৪ লাখ ৮২ হাজার ৫৪২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। যে অভিযোগে পঞ্চম মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর গত বছরের ২৪ আগষ্ট মাসে সাদেক খানকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ১৫ সেপ্টেম্বর তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান নামে দুদক। মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের করা একটি হত্যা মামলায় সাদেক খানকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোহাম্মদপুর-আদাবর ও শেরেবাংলা নগর থানার একাংশ নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন সাদেক খান।
অন্যদিকে গত বছরের নভেম্বরে ইকবালুর রহিমের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নামে দুদক। সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিম বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে তার ক্ষমতার অপব্যবহার, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, সরকারি অর্থ আত্মসাৎ এবং জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মাধ্যমে নিজ নামে এবং পরিবারের সদস্যদের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ গড়েছেন।
দুদকের সদর দপ্তরের ৩ সদস্যের অনুসন্ধান টিম অনুসন্ধানের দায়িত্ব পালন করছেন। দুদকের পরিচালক সৈয়দ তাহসিনুল হকের নেতৃত্বে টিমের অপর সদস্যরা হলেন—সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ জাফর সাদেক শিবলী ও উপসহকারী পরিচালক আতিকুর রহমান খান।
আরএম/এসএম