২০ ইটভাটাকে ১ কোটি ১৪ লাখ টাকা জরিমানা, ১১টির কার্যক্রম বন্ধ
বায়ুদূষণ রোধে দেশব্যাপী অভিযান চালিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। এসময় ২০টি ইটভাটাকে ১ কোটি ১৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একইসঙ্গে ১১টি ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ এবং দুটি ইটভাটা স্থায়ীভাবে বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাতে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, মঙ্গলবার সারা দেশে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ (সংশোধিত ২০১৯) অনুযায়ী চারটি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এসময় ২০টি অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ১ কোটি ১৪ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। একইসঙ্গে ১১টি ভাটার কার্যক্রম বন্ধ করা হয় এবং দুটি ভাটাকে স্থায়ীভাবে বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়।
অভিযানে অবৈধ ইটভাটা, চারকোল ফ্যাক্টরি, যানবাহনের কালো ধোঁয়া, শব্দ দূষণ, পলিথিন ব্যবহার, খোলা নির্মাণ সামগ্রী এবং ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়গুলো আমলে নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন
এ ছাড়া দিনভর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আরও অভিযান চালানো হয়েছে। এর মধ্যে চারকোল ফ্যাক্টরির বিরুদ্ধে একটি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে মালিককে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয় এবং একটি ফ্যাক্টরি সম্পূর্ণ উচ্ছেদ করা হয়। এ ছাড়া একটি সীসা কারখানার বিরুদ্ধে ১ লাখ টাকা জরিমানা, দুই ব্যক্তির মধ্যে একজনকে ৩ মাস এবং অন্যজনকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
অন্যদিকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পলিথিন শপিং ব্যাগ বন্ধ করতে পরিবেশ অধিদপ্তর, মঠবাড়িয়া, পিরোজপুরের উদ্যোগে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। এসময় দুটি গুদাম থেকে আনুমানিক ১১ টন অবৈধ পলিথিন শপিং ব্যাগ জব্দ করা হয়েছে। পরে দুটি মামলার মাধ্যমে ৩ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
যানবাহনের কালো ধোঁয়া ও শব্দ দূষণের বিরুদ্ধেও অভিযান চালিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর। এতে ৯টি যানবাহনের চালকদের সতর্ক করা হয়। এ ছাড়া খোলা নির্মাণ সামগ্রী রেখে বায়ুদূষণের দায়ে তিনটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং কয়েকজনকে সতর্ক করা হয়।
মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে পরিবেশ অধিদপ্তরের এসব পদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে।
আরএইচটি/এসএসএইচ