প্রাণী থেকে ভাইরাস সংক্রমণ বাড়ছে
প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। এখানে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।
প্রথম আলো
শিল্প খাতে গ্যাসের দাম বাড়াতে চায় সরকার
শিল্পকারখানায় দুই ধরনের গ্যাস–সংযোগ আছে। একটি হলো কারখানার বয়লার চালাতে নেওয়া হয়। আর বড় কারখানায় নিজস্ব বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ক্যাপটিভ সংযোগ। দুটি সংযোগের ক্ষেত্রে প্রতি ইউনিট গ্যাসের দাম এখন একই। পেট্রোবাংলার প্রস্তাবে বলা হয়েছে, পুরোনো গ্রাহকের ক্ষেত্রে অনুমোদিত লোডের বাড়তি ব্যবহৃত গ্যাসের বিল হবে নতুন দামে। যেসব শিল্পকারখানা নতুন সংযোগের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে অনুমোদিত লোডের ৫০ শতাংশ পর্যন্ত আগের দাম দিতে হবে। এর বাইরে বাকিটুকুর জন্য নতুন দাম প্রস্তাব করা হয়েছে।
শিল্পে গ্যাস ব্যবহারের একটি চিত্র তুলে ধরেছে পেট্রোবাংলা। ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে গত অক্টোবর পর্যন্ত হিসাবে দেখা গেছে, শিল্পে অনুমোদিত লোডের চেয়ে ১৪ কোটি ৭৮ লাখ ঘনমিটার গ্যাস বাড়তি ব্যবহার করা হয়েছে। আর ক্যাপটিভে ৫ কোটি ৭৬ লাখ ঘনমিটার গ্যাস বাড়তি ব্যবহার করা হয়েছে। প্রস্তাব অনুসারে পুরোনো কারখানায় বাড়তি এমন ব্যবহারের ক্ষেত্রে গ্যাসের বিল হবে নতুন দামে।
টিবিএস
এবার মোটরবাইক, ফ্রিজ, এসি উৎপাদনকারীদের কর দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা এনবিআরের
৫০টির বেশি পণ্য ও সেবায় মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ও অন্যান্য কর বাড়ানোর পর এবার মোটরসাইকেল, রেফ্রিজারেটর, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) ও কম্প্রেশর তৈরি করা প্রতিষ্ঠানের বিদ্যমান কর দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
বর্তমানে এ ধরনের শিল্প তাদের আয়ের ওপর ১০ শতাংশ কর দিচ্ছে এবং শিল্পের যন্ত্রপাতি, যন্ত্রাংশ ও উপকরণ আমদানিতে ২ শতাংশ অগ্রিম আয়কর (এআইটি) দিচ্ছে—যা ২০৩২ সাল পর্যন্ত বলবত থাকার কথা ছিল।
তবে এনবিআরের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, এই করহার দ্বিগুণ করা হতে পারে এবং তা কার্যকর হতে পারে আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকেই। এ লক্ষ্যে বিদ্যমান আদেশটি বাতিল করে চলতি সপ্তাহেই নতুন আদেশ জারি করা হতে পারে।
কালের কণ্ঠ
প্রাণী থেকে ভাইরাস সংক্রমণ বাড়ছে
প্রাণীর দেহ থেকে মানুষের দেহে সংক্রামক রোগের প্রকোপ দিন দিন বাড়ছে। এর সঙ্গে পুরনো রোগগুলো ফিরছে নতুন করে। ২০২৪ সালে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) দেশের বিভিন্ন জেলায় ১৪টি রোগের ৩০ বার প্রাদুর্ভাব শনাক্ত করে। এর মধ্যে ভাইরাসজনিত চারটি রোগ এসেছে পশুপাখি ও কীটপতঙ্গ থেকে।
বণিক বার্তা
প্রথম প্রান্তিকে জিডিপি প্রবৃদ্ধি নেমেছে ১.৮১ শতাংশে
রাজনৈতিক অস্থিরতা ও ব্যবসায় শ্লথতার বড় প্রভাব পড়েছে দেশের চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধিতে। গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে ১ দশমিক ৮১ শতাংশে নেমেছে। এর আগের অর্থবছরের একই প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি ছিল ৬ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরের অক্টোবর-ডিসেম্বর সময়ে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার কমে শূন্য দশমিক ৯৩ শতাংশে নেমেছিল। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
সমকাল
গণপূর্ত ও তদন্ত কমিটি দুই মেরুতে, নানা প্রশ্ন
সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনের ষষ্ঠ থেকে নবম তলায় মিলেছিল সাদা পাউডার। সরকারের প্রশাসনিক সদরদপ্তরের মতো স্পর্শকাতর ভবনের করিডোরে কীভাবে সাদা পাউডার এলো! কলাসপিবল গেটে তালা থাকার পরও কীভাবে ষষ্ঠ তলায় আগুনে পুড়ে কুকুর অঙ্গার হলো– এসব রহস্যের উত্তর নেই সচিবালয়ে আগুনের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রাথমিক প্রতিবেদনে।
এদিকে সচিবালয়ের দায়িত্বে থাকা গণপূর্ত অধিদপ্তরের ইলেকট্রো মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্টের (গণপূর্ত ই/এম বিভাগ-৪) ভাষ্য, যে স্থানে বৈদ্যুতিক ত্রুটির কথা বলা হয়েছে, সেখানে ছিল টেলিফোনের তার। এই তার থেকে বৈদ্যুতিক স্পার্ক হওয়ার সুযোগ একদম নেই। তবে তদন্ত কমিটি বলছে, বৈদ্যুতিক স্পার্ক থেকেই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত। আগুন লাগার সূত্র নিয়ে গণপূর্ত অধিদপ্তর ও তদন্ত কমিটি এখনও দুই মেরুতে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে বিভেদ।
প্রথম আলো
বিপুর ‘ভাই-বন্ধু’দের স্বার্থে দরপত্রে বিশেষ শর্ত
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিদ্যুতে প্রিপেইড মিটার–বাণিজ্যের একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ ছিল তৎকালীন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের (বিপু) ‘ভাই-বন্ধু’ নামে পরিচিত একটি চক্রের কাছে। সেই একই চক্রকে এখন আরও প্রায় ১৫ লাখ মিটার সরবরাহের কাজ দিতে সক্রিয় সরকারের বিদ্যুৎ সরবরাহকারী দুটি কোম্পানি। এ জন্য দরপত্রে এমন শর্ত যুক্ত করা হয়েছে, যাতে ওই নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানই সুবিধা পায়।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ১৬ জেলায় বিদ্যুৎ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠান নর্দান ইলেকট্রিসিটি পাওয়ার কোম্পানির (নেসকো) জন্য ৮ লাখ মিটার কিনতে গত জুলাইয়ে দরপত্র আহ্বান করা হয়।
মানবজমিন
শুধু ভুক্তভোগী এই নারীই নন, সাইবার স্পেসে প্রতিনিয়ত নানাবিধ হয়রানির শিকার হচ্ছেন নারীরা। ভুক্তভোগী অনেক নারী বেছে নিচ্ছেন আত্মহননের পথও। এ ধরনের অপরাধীরা অনেক সময় এসব ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে হাতিয়ে নেয় বড় অঙ্কের টাকা। গত ১ বছরে পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেনে ৯ হাজার ১৬৫ জন নারী প্রতিকার চেয়েছেন। পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেনের তথ্যমতে, গত এক বছরে ভুক্তভোগী এসব নারীর ৪ হাজার ১৩৪ (৪৫ শতাংশই) ডক্সিংয়ের (বিনা অনুমতিতে স্পর্শকাতর ছবি-ভিডিও, তথ্য প্রভৃতি প্রকাশ করা) শিকার হয়েছেন। ইমপার্সোনেশন ৫৩০ (৬.০০ শতাংশ), আইডি হ্যাক ১ হাজার ৩৯৩ (১৭.০০ শতাংশ), ব্ল্যাকমেইলিং ১ হাজার ৭২৪ (১৮.০০ শতাংশ), সাইবার বুলিংয়ের অভিযোগ করেছেন ৮৭৩ (৯.০০ শতাংশ), আপত্তিকর কন্টেন্ট ছড়ানো ২৫৬ (৩.০০), মোবাইল হ্যারেসমেন্ট ২৪১ (২ শতাংশ) এবং অন্যান্য ১৪ জন। সেবাপ্রত্যাশীদের মধ্যে ৯ হাজার ১৬৫ জন নারী সাইবার স্পেসে হয়রানির শিকার হয়ে প্রতিকার চেয়েছেন।
আরও পড়ুন
বণিক বার্তা
বাজেট বাস্তবায়নে বিদেশী অর্থে নির্ভরতা বেড়েছে
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও বড় বড় মেগা প্রকল্পকে ঘিরে প্রতি বছরই স্ফীত হয়েছে বাজেটের আকার। যদিও এর সঙ্গে সংগতি রেখে রাজস্ব আহরণ বাড়েনি। বরং গোষ্ঠীস্বার্থে করছাড়সহ নানা সুবিধা দেয়ায় রাজস্ব হারাতে হয়েছে। এ অবস্থায় বিশাল বাজেট বাস্তবায়ন করতে গিয়ে ঋণের পাশাপাশি বিদেশী সহায়তার ওপর নির্ভরতা বেড়েছে সরকারের। এ বিদেশী সহায়তার ওপর নির্ভরতার প্রবণতা বজায় থাকতে দেখা যাচ্ছে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ও।
ইত্তেফাক
এইচএমপিভি ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এশিয়ায়
রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীন বলেন, এইচএমপিভি রোগটা এত গুরুতর না। আমাদের দেশে আছে। প্রতি বছর পাওয়া যায়। এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। তবে করোনার মতো হিউম্যান মেটোপনিউমো ভাইরাসের ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। আমরা সতর্ক আছি।
আইসিডিডিআরবির একজন কর্মকর্তা বলেন, এইচএমপিভি ভাইরাসটি নিয়ে আইসিডিডিআর,বি ও আইইডিসিআর যৌথভাবে পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে। এটার প্রতি নজর আছে। আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। এই রোগের ক্ষেত্রে সচেতনতা থাকা উচিত। ভাইরাসটি ছড়ায় দ্রুত। তবে তেমন ক্ষতি করে না।
যুগান্তর
ক্যানসার আক্রান্তদের দুর্ভোগ চরমে, কেমোর সিরিয়াল পেতে দীর্ঘ অপেক্ষা
নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালের দুই চিকিৎসক যুগান্তরকে বলেন, শুধু কেমো থেরাপি বিড়ম্বনাই নয়। রেডিও থেরাপি দেওয়ার ৬টি মেশিনের সবগুলোই অকেজো পড়ে আছে। দুপুরের পর জরুরি বিভাগে কোনো রোগী ভর্তি নেওয়া হয় না। জুলাই-আগস্টের পর সরকারিভাবে টেন্ডার না হওয়ায় ওষুধ কেনা যাচ্ছে না। হাসপাতাল পরিচালক ডা. জাহাঙ্গীর কবির যুগান্তরকে বলেন, ৫০০ শয্যার হাসপাতালটিতে প্রতিদিন গড়ে ২ হাজার রোগী চিকিৎসা নেন। সকাল আটটা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত আউটডোরে সাড়ে তিনশর মতো রোগীর কেমো থেরাপি দেওয়া হয়। যারা কেমো নিয়ে চলে যান। এর বাইরে ভর্তি রোগীদের কেমো থেরাপি দিতে হয়।
প্রথম আলো
আমনের ভরা মৌসুমে চালের দাম বাড়ছে
আমনের ভরা মৌসুম চলছে। নতুন ধানের চাল পুরোদমে বাজারে আসছে। কিন্তু দাম কমেনি, বরং বেড়েছে। যদিও অন্তর্বর্তী সরকার আশা করেছিল, আমন উঠলে চালের দাম কমবে।
বেশি বেড়েছে মোটা চালের দাম। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে, মোটা চালের দাম বেড়েছে মূলত সর্বশেষ এক সপ্তাহে—কেজিতে তিন থেকে চার টাকা। এ সময়ে মাঝারি চালের দাম বেড়েছে কেজিতে দুই টাকা। সরু চালের দাম এক সপ্তাহে বাড়েনি। কিন্ত এক মাসের হিসাবে বেড়েছে দুই থেকে চার টাকা।
বণিক বার্তা
ডিসেম্বরেও দুই অংকের নিচে নামেনি মূল্যস্ফীতির হার
এখনো দুই অংকের ঘরে দেশের মূল্যস্ফীতি। বিশেষ করে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির ধারা বজায় থাকতে দেখা গেছে গত মাসেও। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাব অনুযায়ী, ডিসেম্বর শেষে দেশে মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৮৯ শতাংশে। এর মধ্যে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ১২ দশমিক ৯২ আর খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতির হার ৯ দশমিক ২৬ শতাংশ।
টিবিএস
খাদ্যপণ্যে ভর্তুকি ও চাল আমদানির জন্য আরও ৪,১৫০ কোটি চায় টাকা খাদ্য মন্ত্রণালয়
বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষ সরকারি খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থা ওপেন মার্কেট সেল বা খোলা বাজারে বিক্রি (ওএমএস) থেকে চাল ও আটা সংগ্রহ করছে বেশি। এতে সরকারের খাদ্য ভর্তুকি বাজেটে বরাদ্দের তুলনায় ৭৫ শতাংশ বাড়বে বলে প্রাক্কলন করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, মূল বাজেটে খোলাবাজারে খাদ্যশস্য বিক্রির ভর্তুকি বাবদ ২,০০৪ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। কিন্তু চলতি বছরে ওএমএস ব্যবস্থায় চাল ও আটার চাহিদা গত বছরের তুলনায় বেশি। এজন্য সংশোধিত বাজেটে এই ভর্তুকির পরিমাণ ৩,৫০৬ কোটি টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
একইভাবে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে মূল বাজেটে ভর্তুকি বাবদ ৩,২৫৮ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। এই বরাদ্দ বাড়িয়ে ৩,২৯০ কোটি টাকা করার প্রস্তাব করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
কালবেলা
রাষ্ট্রীয় বাহিনী পুলিশকে ক্ষমতাসীন কোনো দলের লাঠিয়াল বাহিনীতে পরিণত করা যাবে না। পুলিশে দায়িত্বরত সদস্যরা কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারবে না। একই সঙ্গে বিরোধী মতের ওপর অতিরিক্ত বল প্রয়োগ করা যাবে না। গঠন করা হবে জাতীয় পুলিশ কমিশন বা ন্যাশনাল পুলিশ কমিশন (এনপিসি)। এই এনপিসি জবাবদিহি করবে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কাছে। পাশাপাশি পুলিশের নিয়োগ পদ্ধতিতেও সংস্কারের সুপারিশ থাকছে। এমন সব সুপারিশ ও প্রস্তাব রেখে আগামী ১৫ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দেবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত পুলিশ সংস্কার কমিশন। কমিশনের একাধিক সদস্য কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কমিশনের চেয়ারম্যান সফর রাজ হোসেন কালবেলাকে বলেন, ‘প্রাণহানি এড়াতে ইউরোপীয় দেশগুলোতে পুলিশের জন্য নির্ধারিত কিছু মানদণ্ড আছে। ওইসব মানদণ্ড অনুযায়ী প্রাণঘাতী নয়; শুধু এমন অস্ত্র পুলিশকে দিতে সুপারিশ করা হচ্ছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রাণহানির মতো আর যেন ট্র্যাজেডি না হয়, সেজন্য পুলিশকে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার বন্ধ করা তাদের মূল লক্ষ্য।’
প্রথম আলো
সব পাঠ্যবই পেতে অপেক্ষা দীর্ঘ হচ্ছে
শিক্ষাবর্ষের ছয় দিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের নতুন পাঠ্যবই ছাপা ও বিতরণের অগ্রগতি কম। এর মধ্যে বাংলা মাধ্যমের শিক্ষার্থীর অনেকেই এক থেকে তিনটি করে বই পেলেও বিদ্যালয়গুলোতে ইংরেজি ভার্সনের বই যায়নি। বই ছাপার যে অগ্রগতি, তাতে সব শিক্ষার্থীর সব বই পেতে ফেব্রুয়ারি পেরিয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন ছাপার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। এর ফলে সময়সূচি মেনে ক্লাস না হওয়া নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের শিখনঘাটতি হতে পারে।
এছাড়া জ্যেষ্ঠ নেতাদের খালেদা জিয়া বলেছেন, গণতন্ত্রই শেষ কথা; আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল / শেখ হাসিনাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা; জানালেন নাহিদ ইসলাম / আজীবন সহায়তা শহীদ পরিবার ও আহতদের; পৌরসভা বিলুপ্ত করে ইউপির সঙ্গে একীভূত করার চিন্তা; নতুন পাঠ্যবই / হাসিনা বাদ সংক্ষেপে মুজিব ফিরলেন জিয়া—সংবাদগুলো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।