পাতাল রেলের খননে ভবন ধসের শঙ্কা নেই
পাতাল রেলের জন্য সুরঙ্গ (টানেল) খননে সড়ক এবং আশেপাশের ভবন ধসের শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সরকারি কোম্পানি ডিএমটিসিএল।
সংস্থাটি বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, টানেল বোরিং মেশিনে (টিবিএম) রেলপথ নির্মাণের সুরঙ্গ খনন করা হবে। রাজধানীর ঢাকার মাটির গুণাগুণের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ আর্থ প্রেসার ব্যালেন্সড (ইপিবি) টিবিএম ব্যবহার করা হবে সুরঙ্গ খননে। ইপিবি টিবিএমের সুবিধা হলো, মাটির যে স্তরের সুড়ঙ্গ খনন করা হবে, তাতে বিদ্যমান চাপের সমান ও বিপরীতমুখী চাপ প্রয়োগ করে খনন কাজ করা হবে। ফলে খনন কাজের সময় নির্মাণাধীন সুড়ঙ্গের আশেপাশের মাটিতে নতুন চাপ সৃষ্টি হবে না। এতে উপরিভাগের মাটি দেবে যাবার আশঙ্কা খুবই কম। সুড়ঙ্গ খননের সময় ভূপৃষ্ঠে সড়কের কোনো অংশ দেবে গেলে, তা ঠিকাদার ঠিক করে দেবেন।
রাজধানীর বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১৯ দশমিক ৮৭ কিলোমিটার দীর্ঘ মেট্রোরেলের (এমআরটি-১) পুরোটা পাতালে নির্মিত হবে। এমআরটি-১ এর অপরাংশ হলো, পূর্বাচলের পিতলগঞ্জ থেকে নতুন বাজার। এ অংশের পিতলগঞ্জ থেকে জোয়ারসাহার পর্যন্ত রেললাইন বসবে উড়ালপথে। বর্তমানে যেভাবে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চলছে।
মাটির নীচে খনন করে রেললাইন এবং স্টেশনের নির্মাণ কাজের কারণে প্রকল্প এলাকার সড়কে এবং আশেপাশের ভবন ধসে যাবে কী না এ নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। রামপুরা, মালিবাগসহ বিভিন্ন এলাকা ভবন মালিকদের মধ্যে এ গুজব ছড়িয়েছে।
এর জবাবে ডিএমটিসিএল জানিয়েছে, টানেল খননের সময়ে এমআরটি-১ এ প্রকল্প এলাকার আশেপাশে উঁচু ভবনের ক্ষতি এড়াতে সর্বোচ্চ সতর্কতা থাকবে। মাটি নরম হলেও, ঢাকায় পানির স্তর অনেক নীচে থাকায় তা টানেল নির্মাণের উপযোগী। যে এলাকায় টিবিএমের মাধ্যমে খনন চলবে, এর দুই পাশের ভবনের নিচে সেন্সর লাগানো হবে। কোথাও ধস বা ভবন দেবে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিলে, সেন্সর তা আগাম জানাবে। তখন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরপরও যদি কোনো স্থাপনার ক্ষতি হয়, তাহলে মেরামত করে দেওয়া হবে।
জেডএস