বিচার বিভাগীয় তদন্তসহ ৯ দাবি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের
গেল বছর ১৮ ডিসেম্বর টংগী ময়দানে ঘটে যাওয়া তাবলিগের দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ ঢাকায় অবস্থিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা৷
সোমবার (৬ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি জানান তারা৷
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের অধ্যাপক নাজিমউদ্দীন ভুঁইয়া লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন৷ পরে তিনি তাবলিগের বিবাদমান সমস্যা সমাধানে ৯ দফা প্রস্তাব তুলে ধরেন৷
আরও পড়ুন
সংবাদ সম্মেলনে যে-সব প্রস্তাব করেন তিনি-
১. সব ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে বিবদমান পক্ষসমূহের মধ্যে মতপার্থক্য দূরীকরণের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ৷
২. গত ১৮ ডিসেম্বর টংগী ময়দানে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত তথ্য উদ্ঘাটন ও দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনা৷
৩. উক্ত ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত নিরপরাধ কারাবন্দিদের দ্রুত মুক্তি দেওয়া৷
৪. উভয়পক্ষকে তাদের সর্বোচ্চ মুরুব্বীদের নিয়ে দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ দেওয়া৷
৫. উভয়পক্ষকে কাকরাইল মসজিদে আমলের সময় বণ্টন সমান করা, অর্থাৎ এক মাস এক মাস করা৷
৬. টঙ্গীর এস্তেমার মাঠ উভয়পক্ষকে সমানভাবে অর্থাৎ ছয় মাস ছয় মাস (জানুয়ারি - জুন; জুলাই- ডিসেম্বর) করে পাঁচ (৫) দিনের জোড়, ইজতেমা ও অন্যান্য আমলের জন্য ভাগ করে দেওয়া৷
৭. দেশের অন্যান্য মসজিদে আমলের সময় সমবণ্টন অর্থাৎ পনেরো দিন পনেরো দিন করা৷
৮. কোনো পক্ষ মসজিদে আমলের সময় অন্যপক্ষকে বাধা না দেয়, তা পর্যবেক্ষণ ও আইনের আওতায় নিয়ে আসা।
৯. পূর্ব-ঘোষিত তারিখ (৭-৯, ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) অনুযায়ী মাওলানা সাদ অনুসারীরাদের ইজতেমা সুষ্ঠু ও সুশৃংখলভাবে অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।৷
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক মঞ্জুরুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আসিফ মনিরুল ইসলাম, বুয়েটের অধ্যাপক ড. শফিউল বারি এবং সহযোগী অধ্যাপক ড. সুলতান আহমেদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক মাহমুদ এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এ এন এম আসাদুজ্জামান ফকির৷
এমএম/টিআই/এমএসএ