জুলাইতে ৪ আসনে উপনির্বাচন : ইসি সচিব
জুলাইয়ের মাঝামাঝি লক্ষ্মীপুর-২, সিলেট-৩, ঢাকা-১৪ ও কুমিল্লা-৫ আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। উপনির্বাচনের তারিখ আগামী ২ জুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সভায় নির্ধারণ হবে। একই সভায় স্থগিত থাকা ইউপি নির্বাচনের বিষয়েও সিদ্ধান্ত হবে।
সোমবার (২৩ মে) নির্বাচন কমিশনের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার। সকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার সভাপতিত্বে ৮০তম কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভা শেষে ইসি সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেন, জুলাইয়ের মাঝামাঝি ৪টি শূন্য আসনের উপনির্বাচন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ২ জুন কমিশন সভায় ভোটের তারিখ নির্ধারণ করা হবে। একই কমিশন সভায় স্থগিত থাকা ইউপি নির্বাচনের বিষয়েও সিদ্ধান্ত হবে।
আসন শূন্য ঘোষণার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব না হলে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে উপনির্বাচন করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ইতোমধ্যে এ উপনির্বাচনে বিএনপি অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
সচিব বলেন, সরকারের বিধিনিষেধ ৩০ মে পর্যন্ত বাড়ার ফলে আজও সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে কমিশন এই নির্বাচনগুলো নিয়ে একমত হয়েছে। ৩০ মে বিধিনিষেধ শেষ হলে ২ জুন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
রোববার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম জানিয়েছেন, আগামী লক্ষ্মীপুর-২, সিলেট-৩, ঢাকা-১৪ ও কুমিল্লা-৫ আসনে উপনির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।
দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকের এই সিদ্ধান্ত তুলে ধরে তিনি বলেন, দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়ায় এবং নির্বাচন কমিশনের অযোগ্যতায় প্রতিটি নির্বাচনে সরকারের নগ্ন হস্তক্ষেপের কারণে উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।
এর আগে, কুয়েতের আদালতে দণ্ডিত সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের লক্ষ্মীপুর-২ আসন শূন্য ঘোষণা করা হয় ২৮ জানুয়ারি। ১১ এপ্রিল এই আসনে উপনির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। করোনাভাইরাস সংক্রমণের উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকায় নির্বাচন স্থগিত করা হয়। এখন এই নির্বাচন ২১ জুলাইয়ের মধ্যে করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
গত ১১ মার্চ সিলেট-৩ আসনের সাংসদ মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর মৃত্যুতে; ৪ এপ্রিল ঢাকা-১৪ এর আসলামুল হকের মৃত্যুতে এবং ১৪ এপ্রিল কুমিল্লা-৫ এর আবদুল মতিন খসরুর মৃত্যুতে তিনটি আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর গত বছর সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার মধ্যে পরবর্তী ৯০ দিনে করে ইসি।
করোনা পরিস্থিতিতে স্থানীয় সরকারের ভোটও স্থগিত রাখা হয়েছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর নভেম্বর থেকে ভোট শুরু হয়। গত ৩০ নভেম্বরের পর থেকে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত সংক্রমণ ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকে।
মহামারির এক বছর পার হতেই ফের সংক্রমণ বাড়তে থাকে। গত এপ্রিলে নতুন করে ভোট না করার সিদ্ধান্ত নেয় ইসি। আজকের সিদ্ধান্তের পর সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনের তারিখ জানতে অপেক্ষা করতে হবে ২ জুন পর্যন্ত।
এসআর/এইচকে