চিকিৎসকের ভুলে ৩০০ হাঁসের মৃত্যুর অভিযোগ
নাটোরের বড়াইগ্রামের চিকিৎসকের ভুলে ৩০০ হাঁস মারা যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে আরও ৩৭০ হাঁস অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
রোববার (৫ জানুয়ারি) এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারি ফরজ আলী বড়াইগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
ভুক্তভোগী খামারির দাবি— স্থানীয় পল্লী পশু চিকিৎসক শরীফুল ইসলামের ভুল চিকিৎসা ও অবহেলায় ইতিমধ্যেই তার কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। অবশিষ্ট হাঁসগুলো মারা গেলে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে তার।
জানা যায়, উপজেলার মাঝগাঁও ইউনিয়নের পারকোল গ্রামের আব্দুস সোবহানের ছেলে ফরজ আলী ৭-৮ মাস আগে একদিনের বাচ্চা কিনে বাড়িতেই হাঁসের খামার গড়ে তোলেন। ১৫-২০ দিন আগে হাঁসগুলো ডিম দেওয়া শুরু করে। প্রচণ্ড শীতে হাঁসগুলোর হালকা সর্দি লাগে। এতে তিনি ওষুধ দেওয়ার জন্য বনপাড়া এলাকার পল্লী চিকিৎসক শরীফুল ইসলামের কাছে যান। কিন্তু শনিবার সন্ধ্যায় তিনি ভবিষ্যতেও আর সর্দি লাগবে না জানিয়ে তার বাড়িতে গিয়ে সবগুলো হাঁসকে এন্টিবায়োটিক ওষুধ দেন। ওষুধ দেওয়া শেষ হতেই হাঁসগুলো অসুস্থ হয়ে একে একে মরতে শুরু করে। পরে তিনি দ্রুত সেখান থেকে চলে যান। রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই খামারের ৩০০ হাঁস মারা যায়।
আরও পড়ুন
ক্ষতিগ্রস্ত খামারি ফরজ আলী জানান, খামারের সাড়ে ৪০০ হাঁস ডিম দিচ্ছিল। ইতিমধ্যে ৩০০ মারা গেছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নিজে এসেও অবশিষ্ট হাঁসগুলোর চিকিৎসা দিতে পারেননি তিনি। এতে সেগুলোও হয়তো মারা যাবে। আমি একেবারে পথে বসে গেলাম।
পল্লী চিকিৎসক শরীফুল ইসলাম জানান, আমি হাঁসগুলোকে ‘জেন্টামাইসিন সালফেট’ নামের অ্যান্টিবায়োটিক দিয়েছিলাম। হয়তো হাঁসগুলো এই অ্যান্টিবায়োটিক সহ্য করতে না পেরে মারা গেছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নুর আলম সিদ্দিকী জানান, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি এবং হাঁসের মরদেহ এনে ময়নাতদন্ত করেছি। হাঁসের শরীরে কোনো রোগ ছিল না। অ্যান্টিবায়োটিকের মাত্রার কারণে হয়তো হাঁসগুলো মারা গেছে। এছাড়া ইনজেকশন পুশ করায় মাংসে ছড়িয়ে পড়ার কারণে অসুস্থগুলোরও কোনো ওষুধ দিয়ে কাজ হচ্ছে না।
এ বিষয়ে বড়াইগ্রাম থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গোলাম রাব্বানী/এমএন