যানজটে নাকাল চট্টগ্রামবাসী, তিন মিনিটের পথে লাগছে ৫০ মিনিট
চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড় থেকে ওয়াসা মোড়ের দূরত্ব সর্বোচ্চ আধা কিলোমিটার। স্বাভাবিকভাবে গণপরিবহনে করে এই পথ পাড়ি দিতে সময় লাগে ২ থেকে ৩ মিনিট। হেঁটে যেতে লাগে ১০ থেকে ১৫ মিনিট। অথচ এই সামান্য পথ গাড়িতে পার হতে সময় লাগছে প্রায় একঘণ্টা। সড়কে যানবাহনের চাপ, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও সড়কের ওপর নির্মাণসামগ্রী রাখায় এই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নগরবাসীকে। ফলে নষ্ট হচ্ছে শতশত মানুষের কর্মঘণ্টা।
জিইসি থেকে নিউ মার্কেটগামী বাসের যাত্রী মো. রাশেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘এক ঘণ্টা ধরে যানজটে আটকে আছি। জিইসি মোড় থেকে ওয়াসার দূরত্ব আধা কিলোমিটারের কম হবে। এই সামান্য রাস্তায় এই যানজট।’
রোববার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে দেখা যায়, জিইসি মোড় থেকে ওয়াসা পর্যন্ত যানজট। সড়কের পাশে চলছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ। অধিকাংশ জায়গায় মালামাল রাখার জন্য রাস্তার অর্ধেক টিনের শেড দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। যার কারণে সংকুচিত হয়ে গেছে সড়ক। ফলে সড়কে যানচলাচলে নেমে এসেছে ধীরগতি।
জেলা শিল্পকলা একাডেমি, গরীবুল্লাহ শাহ সংযোগ সড়ক ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ হেডকোয়ার্টারসহ একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গাড়ি চলাচল করে এই সড়ক দিয়ে। যার কারণে দীর্ঘ যানজট বলে মনে করছেন স্থানীরা।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশ মহিলা সমিতি গার্লস হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এই সড়কে যানজট থাকে। শহরের কোথাও যানজট না থাকলেও এখানে থাকে। আমরা চাই সংশ্লিষ্টরা যেন এর সমাধান করেন।’
সাইফুল আলম নামে এক বাসচালক বলেন, দিনের অধিকাংশ সময় এই সামান্য পথে যানজট থাকে। এই পথটুকু পাড়ি দিতে অনেকে সময় ৪০-৫০ মিনিট পর্যন্ত লাগে। ট্রাফিক পুলিশের অবহেলা ও সড়কের ওপর নির্মাণসামগ্রী রাখার কারণেই এই যানজট বেশি হচ্ছে।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক ও সিডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান বলেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজের জন্য সড়কে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। দ্রুত কাজ শেষ করার চেষ্টা চলছে, যাতে সড়কে সমস্যা সৃষ্টি না হয়।
আরএমএন/এমএ