‘আগের থেকে শীতের সময় কমে এসেছে’
২০২৫ সালের জানুয়ারি মাস কেমন যাবে তার একটি পূর্বাভাস প্রকাশ করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের পশ্চিম, উত্তর ও উত্তরপূর্বাঞ্চলে এক থেকে দুইটি মাঝারি থেকে তীব্র এবং দুই থেকে তিনটি মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ এক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহের পর শীত কমে আসবে।
‘আগের থেকে শীতের সময় কমে এসেছে। আগে দেখা যেত ডিসেম্বর জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি মাসব্যাপী শীত থাকতো। এখন দেখা যাচ্ছে, ডিসেম্বরে ওভাবে শীত আসে না। জানুয়ারিতে থাকে— বলেন এ আবহাওয়াবিদ।
আরও পড়ুন
এদিকে শীতের সময়কাল কমে আসার বিষয়টি নিয়ে একাধিক গবেষণা পরিচালিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ১৮৯৫ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত সময়কালের আবহাওয়ার উপাত্ত নিয়ে গবেষণা করা হয়।
এতে দেখা যায়, দেশটিতে শীতের সময়কাল কমে আসছে। একইসঙ্গে শীতের সময় তুষারপাত ১০০ বছর আগের তুলনায় প্রায় এক মাস পর শুরু হচ্ছে।
আর ১৯৭১ থেকে ১৯৮০ সালের তুলনায় ২০০৭ থেকে ২০১৬ সালে এই সময়টা পিছিয়েছে এক সপ্তাহ। সব মিলিয়ে ১৯১৬ সালের তুলনায় ২০১৬ সালের শীতকাল এক মাসেরও বেশি সময় কম ছিল।
গবেষকরা বলছেন, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ফলেই এমনটা হচ্ছে।
আরেকটিই গবেষণায় দেখা গেছে, বাড়তে থাকা তাপমাত্রার কারণে পাহাড়ের ওপরে তুষারপাত থাকার সময় কমে আসছে। এই তুষারপাত থেকে আসা পানির ওপর নির্ভর করে লক্ষ প্রাণ বেঁচে থাকে।
‘শীতকাল অসুস্থ হয়ে পড়ছে, এর কারণও আমরা জানি’ বলেন সান ডিয়াগোর দ্য স্ক্রিপস ইন্সটিটিউশন অব ওশেনোগ্রাফির অধ্যাপক আমাতো ইভান। তিনিই এই গবেষণাটি করেছেন।
‘এর কারণ জলবায়ু পরিবর্তন, এর কারণ বাড়তে থাকা তাপমাত্রা’— বলেন তিনি। সূত্র: বিবিসি বাংলা
এমএ