২০২৪ সালে নির্যাতনের শিকার ২ হাজার ৫২৫ নারী-কন্যা শিশু
সদ্য বিদায়ী বছরে (২০২৪ সালে) নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ২ হাজার ৫২৫ জন নারী ও কন্যা শিশু। এর মধ্যে ১১০৬ শিশু এবং ১৪১৯ জন নারী।
২০২৪ সালের জানুয়ারি-ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের তথ্য সূত্রের বরাতে এ পরিসংখ্যান জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পরিসংখ্যানে উল্লেখ করা হয়েছে, সদ্য বিদায়ী বছরে নারী ও কন্যা শিশু নির্যাতনের শিকার ২ হাজার ৫২৫ জনের মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৩৬৭ জন শিশুসহ ৫১৬ জন। তার মধ্যে ৮৬ জন কন্যাসহ ১৪২ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ১৮ কন্যাসহ ২৩ জনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। ৬ জন ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যা করেছেন। এছাড়াও ৫৮ জন কন্যাসহ ৯৪ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে।
যৌন নিপীড়নের শিকার ১৮১ জনের মধ্যে ১৩৫ জনই কন্যা শিশু। উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছেন ৪৫ জন এর মধ্যে ৩৭ জন শিশু, তার মধ্যে উত্ত্যক্তকরণের কারণে আত্মহত্যা করেছে ২ জন। বিভিন্ন কারণে ৭৭ জন কন্যাসহ ৫২৮ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন কারণে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে ২৫ জনকে।
আরও পড়ুন
৫৭ জন কন্যাসহ ২৩৬ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ৭৬ জন কন্যাসহ ২১৪ জন আত্মহত্যা করেছেন। এর মধ্যে ৬ জন কন্যাসহ ২৩ জন আত্মহত্যার প্ররোচনার শিকার হয়েছে। এছাড়াও আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন ৭ জন কন্যাসহ ৮ জন নারী।
নারী ও কন্যা শিশু পাচারের শিকার হয়েছেন ২০ জন, এর মধ্যে ১৩ জন শিশু। এসিড দগ্ধ হয়েছে ১৭ জন, এর মধ্যে ১ জন কন্যা শিশু। তার মধ্যে এসিড দগ্ধের কারণে মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। ২৫ জন অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন, এরমধ্যে ২ জন কন্যা শিশু। তার মধ্যে ১ জন কন্যাসহ ১০ জনের অগ্নিদগ্ধের কারণে মৃত্যু হয়েছে।
যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৬৮ জন। এর মধ্যে ৩৩ জনকে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে মোট ১৪৫ জন, এর মধ্যে ২৫ জন কন্যা শিশু।
পারিবারিক সহিংসতায় শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ২৫ জন কন্যা শিশু। ২৪ জন গৃহকর্মী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে, এর মধ্যে ৯ জন কন্যাসহ ১৪ জন গৃহকর্মীর হত্যার ঘটনা ঘটেছে এবং ১ জন গৃহকর্মীর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।
৫৭ জন কন্যাসহ ৬৮ জন অপহরণের ঘটনার শিকার হয়েছেন। এছাড়াও ৩৭ জন কন্যাসহ ৩৯ জন অপহরণের চেষ্টার শিকার হয়েছেন। পুলিশি নির্যাতনের হয়েছেন ১ জন কন্যাসহ ২ জন। ১৯ জন কন্যাসহ ২৯ জন সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছেন।
বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটেছে ২০টি। বাল্যবিবাহের চেষ্টা করা হয়েছে ৪৮টি। এছাড়া ৪৬ জন কন্যাসহ ১৪৫ জন বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
জেইউ/এমএ