ইংরেজি নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে র্যাবের বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা
ইংরেজি নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বাহিনীটি।
র্যাব জানায়, ইংরেজি নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে র্যাব ফোর্সেস গত ৩০ ডিসেম্বর থেকে দায়িত্বপূর্ণ এলাকার উল্লেখযোগ্য ভেন্যুসমূহ ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারি এবং নিরাপত্তা টহল বৃদ্ধি করেছে। আগামী ১ জানুয়ারি পর্যন্ত নিরাপত্তা জোরদার করতে সারা দেশব্যাপী পর্যাপ্ত সংখ্যক র্যাব সদস্য মোতায়েন থাকবে। ‘ইংরেজি নববর্ষ ২০২৫’ উদযাপন উপলক্ষ্যে ইতোমধ্যে জারি করা সব ধরনের আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক নির্দেশনা বাস্তবায়নে র্যাব ফোর্সেস কাজ করছে।
‘ইংরেজি নববর্ষ ২০২৫’ উদযাপন উপলক্ষ্যে যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সমগ্র দেশে র্যাবের গোয়েন্দা ও আভিযানিক দল প্রস্তুত রয়েছে। ৩১ ডিসেম্বর রাতে দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগের মাধ্যমে সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়াও নিরাপত্তা টহল বৃদ্ধি করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে র্যাব। এছাড়াও র্যাবের সাইবার মনিটরিং টিম অনলাইনে সাইবার নজরদারির মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত অব্যাহত রেখেছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার গুলশান, বনানী, বারিধারা, উত্তরা, ধানমন্ডি, মিরপুরসহ অন্যান্য এলাকায় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, অভিজাত হোটেল ও ক্লাব/বার অধ্যুষিত এলাকায় পূর্ব থেকে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করেছে র্যাব।
পাশাপাশি ৩১ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত রাজধানীসহ সারা দেশের সব বার ও মদের দোকানসমূহ বন্ধ রাখার ব্যাপারে সরকার প্রদত্ত নির্দেশনা বাস্তবায়নে র্যাব কাজ করছে। এছাড়াও কক্সবাজার ও কুয়াকাটাসহ সব পর্যটন এলাকায় উপলক্ষ্যে লোক সমাগম নিয়ন্ত্রণ করা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে র্যাব।
আরও পড়ুন
র্যাব আরও জানায়, ‘ইংরেজি নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে পটকা, আতশবাজিসহ আগুন দ্বারা পরিচালিত ফানুস ওড়ানো থেকে বিরত থাকতে হবে। আতশবাজি বা পটকা ফাটানো বা ফানুস ওড়ানো বন্ধ রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি নতুন বছর উদযাপন উপলক্ষ্যে জনবহুল স্থানে, খোলা জায়গা বা বাসার ছাদে ও ফ্লাইওভারে কনসার্ট ও নাচ-গানের আয়োজন থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করা হলো। ভিভিআইপি/ভিআইপি, বিদেশি কূটনৈতিক মিশনের কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন মেগা প্রজেক্টে কর্মরত ও বাংলাদেশে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকদের এলাকায় গুরুত্বের সাথে নিরাপত্তা বিধান জোরদার করা হয়েছে।
চক্রান্তকারী/উসকানিদাতা/উগ্রবাদী সংগঠন/নিষিদ্ধ সংগঠন এবং সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের বিষয়ে আগাম তথ্য সংগ্রহপূর্বক নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়াও যেকোনো ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দিতে সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রয়েছে এলিট ফোর্স র্যাব। ভার্চুয়াল জগতে যেকোনো ধরনের গুজব/মিথ্যা তথ্য ছড়ানো প্রতিরোধে র্যাব সাইবার মনিটরিং টিম অনলাইনে সার্বক্ষণিক নজরদারি অব্যাহত রেখেছে র্যাব। যারা সাইবার জগতে মিথ্যা তথ্য ও গুজব ছড়িয়ে উসকানি দেওয়ার মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এবং সংঘাতকে উসকে দেওয়ার অপচেষ্টা করবে তাদেরকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
বাহিনীটি জানায়, বঙ্গভবন, রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন যমুনা, বাংলাদেশ সচিবালয়, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়সহ সকল গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও কেপিআইয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারির পাশাপাশি টহল কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। ‘ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের উচ্ছৃঙ্খলতা, মাদকাসক্ততা প্রতিরোধকল্পে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং হচ্ছে। র্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, ডগ স্কোয়াড টিম ও ক্রাইম সিন ভ্যানকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে এবং কৌশলগত স্থানে থেকে সার্বক্ষণিকভাবে নিরাপত্তার বিধানে নিয়োজিত রয়েছে।
দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে সবার সহযোগিতা একান্তভাবে কাম্য। এছাড়াও উক্ত সময়ে যেকোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে জেলা/মেট্রোপলিটন এলাকা/থানা ভিত্তিক স্থানীয় র্যাবের সহযোগিতা পেতে টহল ইনচার্জ অথবা দায়িত্বপ্রাপ্ত র্যাব ব্যাটালিয়ন অধিনায়নকে অবহিতকরণসহ র্যাবকে জানানোর জন্য সর্বসাধারণকে অনুরোধ করা হলো।
এমএসি/এমএ