সচিবালয়-পুলিশকে হাসিনার দোসরমুক্ত করার আল্টিমেটাম
সচিবালয়-পুলিশসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসররা ঘাপটি মেরে আছে বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা।
তারা বলেন, হাসিনার দোসররা এখনো রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ চেয়ারগুলোতে বসে পরিকল্পিতভাবে আমাদের অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করে দেওয়ার পাঁয়তারা চালাচ্ছে, অথচ অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা চুপচাপ শুধু দেখেই যাচ্ছেন। দেশের পরিস্থিতি এভাবে চলতে পারে না। আমরা অবিলম্বে সচিবালয়, পুলিশ প্রশাসনসহ গুরুত্বপূর্ণ চেয়ারগুলোকে হাসিনার দোসরমুক্ত দেখতে চাই।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ শীর্ষক সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।
জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, সরকারের গুরুত্বপূর্ণ চেয়ারগুলোতে এখনো খুনির দোসররা ঘাপটি মেরে আছে। সচিবালয় হোক বা যেকোনো জায়গা থেকে ষড়যন্ত্র করলে আমরা তাদের উৎখাত করে ছাড়বো।
আরও পড়ুন
তিনি বলেন, গোপালগঞ্জে এখনো কীভাবে আমাদের ভাইদের ওপর হামলা হয়? যদি আমাদের নিরাপত্তা না দিতে পারেন, তাহলে প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ চেয়ারগুলোতে আপনাদের আর বসিয়ে রাখবো না। আমরা দেখছি ছাত্রলীগ যুবলীগ এখনো প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায়। তারা আমাদের আহতদের দেখে মুচকি হাসে। আমরা যদি বিচার করতে না পারি, তাহলে শহীদের আত্মাকে আমাদের জবাব দেওয়ার কিছু থাকবে না।
সারজিস আলম বলেন, আমরা দেখছি দেশের প্রতিটি জায়গায় পূর্বের মতোই সিন্ডিকেট রয়ে গেছে। এগুলো আমাদেরকে ভাঙতে হবে। কেন এখনো শুনবো একহাত থেকে আরেক হাতে সিন্ডিকেট স্থানান্তর হচ্ছে। কেন সেই হাতগুলো ভেঙে দেওয়া হচ্ছে না?
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ বন্ধুত্বপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতিতে বিশ্বাসী। কিন্তু বন্ধুত্বপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতির সুযোগে কেউ যদি আমাদের ওপর মাথা তুলে দাঁড়াতে চায়, সেই মাথা আমরা মাটিতে নামিয়ে আনবো। আমাদের বিপ্লবীরা কেউই ঘরে ফিরে যায়নি। আমাদের যে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে, সেগুলো আমরা ফিরিয়ে আনতে চাই। আমরা আহত যোদ্ধাদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসন করতে চাই।
এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুম বলেন, আমরা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি সচিবালয়ের ভেতরে দালালগুলো ঘাপটি মেরে আছে। পুলিশ প্রশাসনের অসংখ্য দালাল ঘাপটি মেরে আছে। এই জায়গাগুলো দ্রুত দালালমুক্ত করুন।
তিনি বলেন, হাসিনা সরকারের পতনের ৫ মাস পার হয়েছে। কিন্তু এখনো জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র আমরা দেখতে পাইনি। এই বিপ্লবের স্বীকৃতি আমরা চাই। জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র দ্রুততম সময়ে আমরা দেখতে চাই।
টিআই/এমএ