‘আইনজীবী সাইফুল ইসলাম হত্যার তদন্ত সঠিকভাবে হচ্ছে না’
চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার ঘটনায় মামলার তদন্ত প্রক্রিয়া সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে না বলে জানিয়েছে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি আয়োজিত ‘চট্টগ্রামে আইনজীবী আলিফ হত্যাকাণ্ড পরবর্তী পরিস্থিতি সরেজমিনে পরিদর্শন: পর্যবেক্ষণ ও প্রস্তাব’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়।
সংগঠনটি বলছে, চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের শুরু থেকে মামলা দায়ের, তদন্ত কোনোটিই সঠিক পথে এগোচ্ছে না। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আগের মতোই সাধারণ মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। তিনি বলেন, মামলা দায়ের ও তদন্ত প্রক্রিয়া সঠিকভাবে পরিচালিত না হওয়ায় আমরা বিস্মিত হয়েছি। মামলাগুলোতে গণহারে আসামি করা ও তদন্ত পরিচালনা পদ্ধতি পর্যবেক্ষণ করে আমাদের মনে হয়নি, এই হত্যার সঠিক বিচারের প্রশ্নের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন বিভাগ আন্তরিক।
আরও পড়ুন
তিনি আরও বলেন, হরিজনদের মধ্যে কেউ যদি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকে, যদি সেটা তদন্তে প্রমাণিত হয় তাহলে তাদের বিচার করতে হবে। কিন্তু যেভাবে গোটা হরিজন কলোনিকেই হত্যাকারী হিসেবে দেখা হচ্ছে, সে সব কলোনি উচ্ছেদের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, কোর্ট বিল্ডিংয়ে চাকরিরত হরিজনদের ছাঁটাই করা হচ্ছে, সিটি কর্পোরেশনের বাইরে যারা বিভিন্ন ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত, তাদেরও একই অজুহাতে ছাঁটাই করা হচ্ছে। সেটা গোটা সম্প্রদায়কেই হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, অজ্ঞাতনামা আসামির মধ্যে যে কেউ পড়তে পারে, সুতরাং একটা ব্যাপক হয়রানি শুরু হয়েছে। পুলিশের যে গ্রেপ্তার বাণিজ্য এবং যারা কোনো না কোনোভাবে ক্ষমতাধর ব্যক্তি। তারা যেকোনো ব্যক্তিকে এটার জন্য হয়রানি করতে পারে, হুমকি দিতে পারে, টাকা আদায় করতে পারে। এগুলো বিগত সরকারের আমলে চলেছে। বিষয়টি পুনরাবৃত্তি হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, কিছু গোষ্ঠী স্বার্থ বা পরিস্থিতি তৈরির কিছু সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি। অজ্ঞাতনামা আড়াই হাজার ব্যক্তির নামে মামলা দেওয়া হয়েছে, ব্যাপক হয়রানি চলছে। পুলিশের গ্রেপ্তার বাণিজ্য, হয়রানি এখনও চলছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির ডা. হারুনুর রশীদ, সীমা দত্ত প্রমুখ।
এএসএস/এমএন