বিক্রি নেই গুলিস্তানের ব্লেজার পট্টিতে
শহরের মানুষের কাছে পৌষের শীত এখনো আসেনি। মধ্য পৌষে শহরে শীতের তীব্রতা না থাকলেও উত্তরের জনপদে কিন্তু হিমপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। রাজধানীর এক শ্রেণির মানুষের কাছে শীতের উষ্ণতার জন্য ব্লেজারের অন্যতম উৎস গুলিস্তান বা জিপিও জিরো পয়েন্ট! কিন্তু চিরচেনা এই ব্লোজার পট্টিতে সেই আগের আমেজ নেই। ব্লেজার বিক্রেতাদের হাঁকডাকে জিরো পয়েন্ট সরগরম থাকতো। বেচা-বিক্রিও বেশ জমজমাট ছিল। কিন্তু বিক্রেতারা বলছেন, এ বছর চিত্রটা একটু ভিন্ন। আশানুরূপ বিকিকিনি হচ্ছে না।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর জিরো পয়েন্টে ব্লেজার পট্টি ঘুরে ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্র দেখা গেছে।
তারা বলছেন, বেচাবিক্রি আগের চেয়ে অনেক কম। তাই ব্লেজার পট্টির বেশিরভাগ বিক্রেতা অলস বসে আছেন। অল্প কিছু ক্রেতা থাকলেও দেখেশুনে অনেকেই চলে যাচ্ছেন। কেউ আবার ১০০০ টাকা দামের ব্লেজার দাম বলছেন মাত্র ৩০০ টাকা।
আব্দুল আওয়াল নামে এক ব্লেজার বিক্রেতা বলেন, আমি গত ১৫ বছর ধরে ব্লেজার বিক্রি করি। এমন কম বিক্রি এতদিন দেখিনি। আমি যে আশা নিয়ে মাল উঠিয়েছি এবার দেখছি তেমন বিক্রি আর হবে না। অনেকে ১০০ টাকার মালের দাম বলেন ৩০০ টাকা। মালটা আমার কিনতেই হয়েছে ৮০০ টাকায়।
আরও পড়ুন
সুজন নামে এক ব্লেজার বিক্রেতা বলেন, বেচা বিক্রি নাই। মানুষ আসে, দাম শুনে চলে যায়। অনেককে দাম দেবে জানতে চাইলেও বলে না। এভাবেই চলছে।
বেলায়েত মিয়া নামে আরেক বিক্রেতা বলেন, সাধারণত সন্ধ্যার দিকে বিক্রি বাড়ে কিছু। কিন্তু সকালে বা দুপুরে তেমন বিক্রি থাকে না।
আরফান নামে এক ক্রেতা বলেন, এখানে জিনিসের মানের তুলনায় দাম অনেক চাচ্ছে। এত বেশি দাম চাইলে কিনবো কীভাবে।
সৌরভ নামে আরেক ক্রেতা বলেন, বাবার জন্য একটি ব্লেজার নেব। কয়েকটি দোকান দেখলাম। ভালো কিছু ব্লেজার আছে এখানে। শহরের এখানেই অল্প দামে ভালো জিনিস পাওয়া যায়।
এমএম/এসএম