যিনি মানুষ খুন করেছেন তাকে আমি নারী বলতে রাজি নই
শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে অন্তর্বর্তী সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, যিনি ফ্যাসিবাদী, অত্যাচারী, মানুষ খুন করেছেন তাকে আমি নারী বলতে রাজি নই। নারী হতে যে বৈশিষ্ট্যগুলো থাকে সেটা তার মধ্যে ছিল না।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ফরিদা আখতার বলেন, ১৯৯১ সালে এরশাদকে আমরা হটিয়ে শুধু নারী প্রধানমন্ত্রীর অধীনে ছিলাম। খুব দুঃখজনক হলো, গত ১৫ বছর আমরা এক ফ্যাসিবাদীর অধীনে ছিলাম। আমি তাকে নারী বলতে রাজি নই। যিনি ফ্যাসিবাদী, অত্যাচারী, মানুষ খুন করেছেন তাকে আমি নারী বলতে রাজি নই।
আরও পড়ুন
তিনি বলেন, আমরা শুধু নারী-পুরুষের অধিকার চাই না। আমরা মানুষ হিসেবে সবার অধিকার চাই। আমরা নারীরা তো মন খুলে কান্না করতে পারি। কিন্তু, পুরুষরাতো কান্না করতেও পারে না। এর থেকে দুঃখজনক আর কী হতে পারে।
মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, আমাদের জনসংখ্যার অর্ধেক হচ্ছে নারী। আমরা চাই, নারীরা সমাজ এবং রাষ্ট্রে ভূমিকা রেখে চলুক। নারী পুরুষের সমান অধিকার থাকতে হবে। আমরা নারীর ক্ষমতায়ন চাই। ন্যায় নীতির উপরে থেকে আমাদেরকে কাজ করতে হবে। সমাজে নারীদের প্রতি বিদ্যমান বৈষম্য দূর করে নারীদের যথাযথ মর্যাদা দিতে হবে। রাষ্ট্রের কাজগুলোতে নারীদের প্রতিনিধিত্ব রাখতে হবে। সমাজে নারীদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে হবে। নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে কঠোর আইন করতে হবে।
বক্তারা বলেন, দেশ থেকে সকল প্রকার বৈষম্য দূর করার জন্য যে গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে, সেখানে নারীদেরও অনেক বড় ভূমিকা ছিল। আমাদেরকে এই গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিটকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না।
সেন্টার অব ইনক্লুসিভ বাংলাদেশ'র চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মেজবাহুল ইসলামের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- সাবেক সচিব ম আ কাশেম মাসুদ, রাজনৈতিক গবেষক প্রকৌশলী লোকমান লিমন, নারী উচ্চারণ ও খেদমত ইকমার্স প্রেসিডেন্ট সামিয়া রহমান, যুব সংগঠক পিংকি কণিকা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর কামরুল ইসলাম জুয়েল, এশিয়ান ইউনিভার্সিটির শিক্ষক ড. মো. আবু জাফর সিদ্দিকী প্রমুখ।
এমএইচএন/এমএসএ