কাকরাইল চার্চে দেশ-জাতির শান্তি-সমৃদ্ধি কামনায় প্রার্থনা
যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য, আচারাদি, শুভেচ্ছা বিনিময়, আনন্দ-উৎসব এবং প্রার্থনার মধ্য দিয়ে রাজধানীর কাকরাইল চার্চে উদযাপন হচ্ছে ‘শুভ বড়দিন’।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকেই এই চার্চে শুরু হয় ধর্মীয় বিভিন্ন কার্যক্রম। এতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীরা অংশ নিয়েছেন। এসময় দেশ-জাতি ও বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে বাস করা খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী মানুষের শান্তি-সমৃদ্ধি কামনায় বিশেষ প্রার্থনা করা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রার্থনায় প্রায় চার শতাধিক মানুষ অংশ নেন। প্রার্থনায় ঈশ্বর যেন সবার সুস্বাস্থ্য, বিশেষ আশীর্বাদ, দীর্ঘায়ু দান, দেশের নেতা-নেত্রীরা যেন দেশের সেবা করতে পারেন এবং প্রেম, শান্তি স্থাপনের কাজ করতে পারেন এই কামনা করা হয়।
আরও পড়ুন
প্রার্থনায় আরও বলা হয়, আমরা দেশের সব মানুষের মঙ্গলের জন্য প্রার্থনা করছি। মানুষ মানুষের জন্য। জাতি, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আমাদের দেশের সবাই যেন একতা, মিলন ও ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় থাকে। একইসঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে শান্তি ও সমৃদ্ধির কামনা করছি। বিশেষ করে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশে যেন ন্যায্যতা ও শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়।
চার্চের সহকারী বিশপ সুব্রত বনিফাস গমেজ বলেন, পুরো বিশ্বে যেন শান্তি-প্রতিষ্ঠা হয় সে প্রার্থনা আমরা করেছি। প্রভু যিশু আজকের দিনে জন্ম নিয়েছিলেন। তাই দিনটিকে আমরা বড়দিন এবং নববর্ষ হিসেবে পালন করে থাকি৷ বড়দিন উৎসবে আমরা সবাই আপন, যিশু যেমন নিজে বিনম্র হয়েছেন সবাইকে ভালোবাসায় রিক্ত করেছেন সেটি যেন নিজেদের মধ্যে ধারণ করি। একইসঙ্গে দেশের শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বানও জানান তিনি।
অপরদিকে, বড়দিন ঘিরে কাকরাইল চার্চে বিভিন্ন আয়োজন করা হয়েছে। খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের নানা বয়সী মানুষজন দিনভর এখানে এসব কার্যক্রমে অংশ নেবেন। এছাড়া বড়দিন উপলক্ষ্যে চার্চটি সজ্জিত করা হয়েছে রঙিন আলোকসজ্জা, ক্রিসমাস ট্রি এবং বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতীকে।
আরএইচটি/এমএন