‘চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে কৌশলপত্র প্রণয়নের কাজে হাত দিয়েছি’
কলামিস্ট, গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ফরহাদ মজহার বলেছেন, ‘ভারত, চীন ও মিয়ানমার আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। যেদিন ভারতকে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে কানেক্টিভিটি দেওয়া হলো, সেদিনই আমরা এই বন্দরের ওপর সার্বভৌমত্ব হারিয়েছি।’
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ফরহাদ মজহার বলেন, ভারত যদি আমাদের মিত্রদেশ হতো; তবে তারা আলাদা দেশ না থেকে একত্রে থাকত। কিন্তু বাস্তবতা হলো, ভারতসহ যেকোনো দেশ আমাদের শত্রুদেশে পরিণত হতে পারে। সুতরাং সবার বুঝতে হবে, ভারত যত কম শুল্কে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করতে পারে সেই চেষ্টাই করবে, এটা হতে দেওয়া যাবে না।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে একটি ‘কৌশলপত্র’ প্রণয়নের কাজে হাত দিয়েছি। এটি শিগগিরই সরকারের হাতে তুলে দেব। ‘সরকারের নৌ-উপদেষ্টা আমাদের প্রিয়জন। আশা করছি, উনি আমাদের পরামর্শ গুরুত্ব দেবেন।’
ফরহাদ মজহার বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দরসহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে করা চুক্তি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য ক্ষতিকর। বন্দরে কথায় কথায় বিদেশিদের ডেকে আনতে হবে কেন?— এমন প্রশ্নও তুলেন তিনি।
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব ‘অন্তর্বর্তী কমিটি’র সদস্য সচিব ও আমার দেশের আবাসিক সম্পাদক জাহিদুল করিম কচির সভাপতিত্বে এবং চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমানের সঞ্চালনায় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন মেজর (অব.) আহমেদ ফেরদৌস, নিরাপদ নৌ পথ আন্দোলনের সদস্য সচিব আমিন রসুল বাবুল, প্রেস ক্লাব ‘অন্তর্বর্তী কমিটি’র সদস্য ও কালের কণ্ঠের ব্যুরো প্রধান মুস্তফা নঈম, সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম, ওয়াহিদ জামান, মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।
এসএম