হেলথ ক্যাডারের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া সংস্কার প্রস্তাব মানা হবে না
প্রকৃত সংস্কার প্রস্তাবনা বাদ দিয়ে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন স্বাস্থ্যকে ক্যাডার ছাড়া করার যে হঠকারী সুপারিশ করেছেন, তা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেধাভিত্তিক জনপ্রশাসন তৈরি ও বৈষম্য বিরোধী মূল চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এই সুপারিশ প্রত্যাহার করা না হলে প্রশাসনিক সংস্কার ব্যর্থ হবে বলে দাবি করেছে বিসিএস হেলথ ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশন। এ ছাড়া হেলথ ক্যাডারের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া কোনো ধরনের সংস্কার প্রস্তাব মেনে নেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে অ্যাসোসিয়েশনটি।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিসিএস হেলথ ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান বিসিএস হেলথ ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব উম্মে তানিয়া নাসরিন।
তিনি বলেন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার ও বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারকে, ক্যাডার কাঠামোর বাইরে রাখার সুপারিশ করতে যাচ্ছে। বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারের ৩৫ হাজার সদস্যের মুখপাত্র বিসিএস হেলথ ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশন এ ধরনের একতরফা সংস্কার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করছে।
তিনি আরও বলেন, বিগত সময়কালে সচিবালয়ে অচিকিৎসক কর্মকর্তারা স্বাস্থ্যকে বিজ্ঞানভিত্তিক ও যুগোপযোগী না করে বরং উল্টো পথে হেঁটে আমলাতান্ত্রিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা কায়েম করেছে। যার ফলে স্বাস্থ্য খাত আজও কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি এবং জনস্বার্থমুখী স্বাস্থ্য খাত না হয়ে মন্ত্রী ও আমলামুখী পুঁজিবাদী ও স্বার্থবাদী স্বাস্থ্য খাত সৃষ্টি হয়েছে। আমরা মনে করি, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল ও নীতিনির্ধারণী পদসমূহে মাঠ পর্যায়ের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন স্বাস্থ্য ক্যাডারের দক্ষ কর্মকর্তাদের পদায়ন করে প্রকৃত বিজ্ঞানভিত্তিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা সম্ভব।
এ সময় তিনি তাদের দুই দফা প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। সেগুলো হলো- স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সব পর্যায়ের নীতি নির্ধারণী পদে স্বাস্থ্য ক্যাডার কর্মকর্তা পদায়িত হতে হবে এবং উপসচিব পদে উন্মুক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ প্রদান করতে হবে।
এমএইচএন/এমজে