বনানীতে সড়ক অবরোধ করে প্রাইম এশিয়ার শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
রাজধানীর বনানীতে স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ এবং বোর্ড অব ট্রাস্টি নাসির উদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছেন প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে বনানী ক্যাম্পাসের সামনের সড়ক অবরোধ করেন তারা। এতে সড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ওই এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে আমাদের স্থায়ী ক্যাম্পাসে নেওয়ার কথা বলে এখনো নিচ্ছে না। আমাদের দুইটা ডিপার্টমেন্ট একটি ডিসেম্বরের মধ্যে ওখানে শিফট করার কথা, কিন্তু এখন তিনশ ফিটে স্থায়ী ক্যাম্পাসের জায়গা বিক্রি করে দেওয়ার পাঁয়তারা করছে বোর্ড অব ট্রাস্টি নাসির উদ্দিন। আমাদের দীর্ঘ দিন স্থায়ী ক্যাম্পাসে নেওয়া কথা বলে এখনো নেয়নি। বর্তমানে ২টি ক্যাম্পাসে যে জায়গা রয়েছে সেখানে আমাদের শিক্ষার্থীদের জায়গা হয় না। বনানীর অস্থায়ী ক্যাম্পাসের মেয়াদ শেষ।তারা বারবার আমাদের স্থায়ী ক্যাম্পাসে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে দীর্ঘদিন যাবৎ টালবাহানা করছে। প্রতিমাসে বোর্ড অব ট্রাস্টি তার গাড়ির খরচ বাবদ ৬৫ হাজার টাকা নেন এগুলোতো আমাদের টাকা। দীর্ঘদিন আমাদের সিনিয়ররা এ লড়াই সংগ্রাম করে গেছেন, স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে কিন্তু তারা স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে পারেননি।
তারা আরও বলেন, তারা টালবাহানা করে এখন আমাদের ওই ক্যাম্পাসে না নেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে। প্রশাসন আমাদের বারবার আশ্বাস দিয়েছে কিন্তু তারা সেই আশ্বাস রক্ষা না করে আমাদের স্থায়ী ক্যাম্পাস বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা করছে; এটা আমরা কোনদিনই হতে দেব না। আমরা নাসির উদ্দিনসহ সংশ্লিষ্ট সবার পদত্যাগ চাই এবং দ্রুত স্থায়ী ক্যাম্পাসে নিয়ে যাওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ট্রাস্টিস দুই গালে জুতা মারো তালে তালে, দুর্নীতিবাজদের ঠিকানা প্রাইম এশিয়ায় হবে না, তুমি কে আমি কে প্রাইম এশিয়া প্রাইম এশিয়া, আপস না সংগ্রাম সংগ্রাম সংগ্রাম, বিওটির দালালেরা হুঁশিয়ার সাবধান, দাবি এক দফা এক বিওটির পদত্যাগ’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকে।
এই বিষয়ে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল সারোয়ার বলেন, শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট কোনো দাবি দেওয়া নাই। তারা প্রথমে বলেছে, স্থায়ী ক্যাম্পাস চায়, আবার এর কিছুক্ষণ পর তারা বলছে উপাচার্যের পদত্যাগ চাই। আমরা এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আমরা শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে একটি সমাধান করার চেষ্টা করছি।
এসএএ/এসএম