গরিবের টিসিবি পণ্যে বাড়ছে ‘হকদার’
প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। সেইসব খবর থেকে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।
গবাদিপশুর খাবার তৈরির সরকারি কারখানাটি উদ্বোধন করা হয়েছিল প্রায় দুই বছর আগে, ২০২৩ সালের ১৯ জানুয়ারি। সেদিন তৎকালীন প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছিলেন, প্রাণীর পুষ্টিকর খাবারের জন্য আর বিদেশনির্ভর হতে হবে না।
সাবেক মন্ত্রী এখন আত্মগোপনে। কারখানাটি চলেছিল ওই এক দিন, যেদিন তিনি উদ্বোধন করেছিলেন। তার পর থেকে বন্ধ। বাণিজ্যিকভাবে কারখানাটি কবে চালু হবে, কোনো দিন চালু হবে কি না, তা নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা। যদিও ইতিমধ্যে ব্যয় হয়ে গেছে ৩৩ কোটি টাকা।
এর পাশাপাশি অন্যান্য খবরগুলো দেখে আসি—
প্রথম আলো
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর: করের কোটি কোটি টাকা ‘অপব্যয়ের’ আরেক উদাহরণ
কারখানাটি ঢাকার সাভারে। নির্মাণ করেছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। ব্যয় করা হয়েছে ‘কৃত্রিম প্রজনন কার্যক্রম ও ভ্রূণ স্থানান্তর প্রযুক্তি বাস্তবায়ন (এআইইটি) প্রকল্পের (তৃতীয় পর্যায়)’ অধীনে। এই কারখানার জন্য আধুনিক ভবন করা হয়েছে, জার্মান প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি আনা হয়েছে, কিন্তু কারখানা চালানোর জন্য কোনো শ্রমিক, কারিগরি কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়নি। প্রকল্পেও কর্মী নিয়োগের কোনো প্রস্তাব ছিল না। ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছে, কারখানাটি পড়ে আছে।
টিবিএস
রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, গুরুত্বহীন, অপ্রয়োজনীয়: বাতিল হচ্ছে ৫ হাজার কোটি টাকার একাধিক প্রকল্প
২০১৯ সালে ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়নের প্রধান সড়ক প্রশস্তকরণ ও সংস্কারের জন্য ২,৬৩৭ কোটি টাকার একটি প্রকল্প শুরু করা হয়েছিল।
তবে, এ প্রকল্প চলমান থাকার পরও কেরানীগঞ্জ উপজেলায় রাস্তা উন্নয়নের জন্য আরেকটি প্রকল্প গ্রহণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। অথচ কেরানীগঞ্জ এলাকাটি আগের প্রকল্পের আওতায় ছিল।
যুগান্তর
রাজধানীতে ব্যস্ত সড়কে ছিনতাই, ঝরছে প্রাণও
যানজটে স্থবির সড়কে চাপাতি হাতে ঘুরছে তিন যুবক। একপর্যায়ে একটি প্রাইভেটকারের জানালা দিয়ে ছোঁ মেরে মোবাইল ফোন নিয়ে যায় তারা। মাজহারুল ইসলাম মহসিন নামে ফেসবুক আইডি থেকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি রাজধানীর আসাদ গেট এলাকায় ১৬ ডিসেম্বর রাতের। একই সড়কে ১৮ ডিসেম্বর রাতের আরেকটি ছিনতাইয়ের ঘটনা শেয়ার করে ভিডিও ক্লিপ শেয়ার করেন জুনায়েদ চৌধুরী নামের আরেকজন। তিনি জানান, এটা স্পষ্ট তবে এত অল্প সময়ের মধ্যে ঘটনাটি ঘটেছিল। ধানমন্ডি ২৭ নম্বর সিগন্যালের সামনে এক মধ্যবয়সি নারী ছিনতাইয়ের শিকার হন। পরের দিন ওই সড়কেই এক ছিনতাইকারীকে হাতেনাতে ধরার দৃশ্য ফেসবুকে দেন রাইয়ান আহমেদ রাজু।
মানবজমিন
দেশে নৃশংস, লোমহর্ষক খুনের ঘটনা পুরনো নয়। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্রমাগত বাড়ছে অপরাধও। মা খুন করছে সন্তানকে, ভাই খুন করছে ভাইকে, স্ত্রী খুন করছে স্বামীকে, স্বামী খুন করছে স্ত্রীকে আবার প্রেম-পরকীয়া ও রাজনৈতিক সহিংসতার বলি হচ্ছে অনেকে। অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব হত্যাকাণ্ডের পেছনে রাজনৈতিক বিরোধ, পূর্ব-শত্রুতার জের, সামাজিক, আর্থিক টানাপড়েনের সঙ্গে রয়েছে হতাশা। পারিবারিক কলহ, পরকীয়া, ছিনতাই, ডাকাতি, কথা কাটাকাটি ও বিভিন্ন ব্যক্তিস্বার্থের ঘটনাগুলোকে কেন্দ্র করে একের পর এক ঘটছে হত্যাকাণ্ড।
আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ পাঁচ বছরে সারা দেশে ১৬ হাজারের বেশি মানুষ খুনের শিকার হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্যমতে, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে ১৬ হাজার ৫৫৫টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। চলতি বছরের শেষ এগারো মাসে ৩ হাজার ৮০৪টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এ বছরের শেষ পাঁচ মাসে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে ২ হাজার ২৭১টি।
আরও পড়ুন
কালের কণ্ঠ
প্রযুক্তির নানামাত্রিক উদ্ভাবনে বিশ্বজুড়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ কৌশলে আমূল পরিবর্তন এসেছে। চিত্রনাট্য, কাহিনির বিন্যাস, ক্যামেরার ব্যবহার, সম্পাদনার ধরন, দর্শক রুচি ইত্যাদিও পাল্টে গেছে। আবার একসময় মানুষ অভ্যস্ত ছিল হলে গিয়ে ছবি দেখতে। প্রযুক্তির প্রসারে বর্তমানে অনলাইনভিত্তিক বিভিন্ন ওটিটি প্ল্যাটফরমে ছবি মুক্তি দেওয়া হচ্ছে।
এমন কোনো ছবি নেই যেটি পাওয়া যায় না ইউটিউবে। ফলে অনেক দর্শক বর্তমানে ঘরে বসেই দেখে নিচ্ছে নিজের পছন্দের ছবিটি। রুচির সঙ্গে মিললে, অভিনব গল্পের খোঁজ পেলে হলে গিয়েও দেখছে প্রিয় অভিনেতা-অভিনেত্রী কিংবা পরিচালকের ছবি। অন্যদিকে চলচ্চিত্র নির্মাণের সাম্প্রতিকতম কলাকৌশলে পিছিয়ে পড়ায় অনেক পরিচালক বেকারও হয়ে পড়ছেন।
সমকাল
গরিবের টিসিবি পণ্যে বাড়ছে ‘হকদার’
বাজারে চাল, ডাল, তেল, চিনিসহ নিত্যপণ্যের দাম চড়া। দীর্ঘদিন উচ্চ মূল্যস্ফীতি চললেও আয় বাড়েনি মানুষের। ফলে সংসার সামাল দিতে মনোয়ারের মতো অসংখ্য মানুষ এখন টিসিবির পণ্য কিনছেন। এখানে আর গরিব বলে আলাদা করার সুযোগ থাকছে না। অনেক বাড়ির মালিক গৃহকর্মী পাঠিয়ে পণ্য কিনছেন।
টিসিবি দিনে জনপ্রতি ২ লিটার সয়াবিন তেল ও ২ কেজি মসুর ডাল বিক্রি করে। প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১০০ এবং প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম নেয় ৬০ টাকা। বাজারে এখন সয়াবিন তেল ১৭৫ এবং মসুর ডালের কেজি ১০৫-১১০ টাকা। পরিবারের একজন পণ্য দুটি কিনলে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা সাশ্রয় হয়। সদস্য বৃদ্ধি করলে বাড়ে সাশ্রয়ের অঙ্কও। এ জন্যই ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে ট্রাকের অপেক্ষায় থাকছেন বহু মানুষ। বিক্রি শুরুর পর রীতিমতো ‘যুদ্ধে’ শামিল হচ্ছেন তারা।
দেশ রূপান্তর
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রায়ই ‘অজ্ঞাতপরিচয়’ মরদেহ উদ্ধারের প্রতিবেদন প্রকাশ হয় গণমাধ্যমে। তাদের কেউবা হত্যার শিকার আবার কেউবা দুর্ঘটনায় বা ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছে। কিন্তু এর মধ্যে কিছু মৃত্যু রয়েছে, যার কারণ তো বটেই, মৃত ব্যক্তির পরিচয়ও জানতে পারা যায় না। তারা আইনের অভিধান অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নথিতে শুধুই স্থান পান ‘অজ্ঞাতনামা’ বা ‘বেওয়ারিশ’ অভিধায়। পুকুর, খাল-বিল, ডোবা, নর্দমা, রাস্তা বা রেলপথ থেকে উদ্ধার হওয়া এসব মরদেহ বুঝে নেওয়ার মতো স্বজন বা পরিচিত কেউ থাকেন না। যে কারণে শেষমেশ ‘বেওয়ারিশ লাশ’ হিসেবে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম বা অন্য কোনো স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দাফন হয় মরদেহগুলো। দেশে সাম্প্রতিক সময়ে এমন ‘অজ্ঞাতপরিচয়’ মরদেহ উদ্ধারের ঘটনা বেড়েছে, যা নিয়ে উদ্বিগ্ন মানবাধিকারকর্মীরা।
বণিক বার্তা
পাকিস্তান থেকে আমদানি বেড়েছে ২৭%, কমেছে ভারত থেকে
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) পাকিস্তান থেকে দেশে পণ্য আমদানি বেড়েছে ২৭ শতাংশের বেশি। একই সময়ে ভারত থেকে পণ্য আমদানি কমেছে প্রায় সাড়ে ৯ শতাংশ। বিশ্লেষকরা বলছেন, পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার হচ্ছে বাংলাদেশের। একই সঙ্গে সম্পর্কে কিছুটা শীতল ভাব দেখা যাচ্ছে প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে। এরই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে দুই দেশ থেকে পণ্য আমদানির পরিসংখ্যানে।
প্রথম আলো
গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয়, ভর্তিতে আবারও বাড়বে ভোগান্তি
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ভোগান্তি এবং খরচ কমাতে দেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু করা হয়েছিল গুচ্ছভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষা। এই প্রক্রিয়ায় ভর্তি-ইচ্ছুক একজন শিক্ষার্থী একটি পরীক্ষা দিয়েই তাঁর যোগ্যতা ও পছন্দ অনুযায়ী গুচ্ছে থাকা যেকোনো একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারতেন।
কিন্তু আসন্ন ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ভর্তি সামনে রেখে কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে এককভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার কার্যক্রম শুরু করেছে। ইতিমধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে আলাদাভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একই পথ অনুসরণ করতে চায় আরও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়। এর ফলে উচ্চশিক্ষায় ভর্তি নিয়ে আবারও পুরোনো ভোগান্তি ফেরার আশঙ্কা করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের আবারও ছুটতে হবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। এতে ভোগান্তির পাশাপাশি ব্যয়ও বাড়বে।
দেশ রূপান্তর
পরমাণুশক্তির সাহায্যে খাবার সংরক্ষণে ই-রেডিয়েশন সেন্টার (গামা সেন্টার) তৈরির কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ পরমাণুু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা)। ফলে খাবার সংরক্ষণে ক্ষতিকর রাসায়নিক মেশানোর প্রয়োজন পড়বে না। গুণ, মান ও ওজন ঠিক রেখে আধুনিক এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রতি কেজি খাবার সংরক্ষণে খরচ হবে ১ থেকে ৭ টাকা। চিকিৎসা সরঞ্জামাদিও জীবাণুমুক্ত করার সুযোগ মিলবে এ সেন্টারে।
সমকাল
সক্রিয় পুরোনো সিন্ডিকেট বাগালো ৩ কোটির টেন্ডার
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঘিরে এখনও সক্রিয় বিগত সরকারের আমলে গড়ে ওঠা অসাধু সিন্ডিকেট। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ৩৭ লাখ টাকায় কেনা পর্দাকাণ্ডের মতো দুর্নীতির ঘটনায় দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচিত হয় হাসপাতালটি। আলোচিত ওই পর্দাকাণ্ড ফাঁস হওয়ার পর এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের চিকিৎসকসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তবু থামেনি সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য।
বর্তমান সরকারের আমলেও নানা মহলকে ম্যানেজ করে বিভিন্ন কৌশলে তারা অনিয়ম-দুর্নীতি চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এরই মধ্যে এই সিন্ডিকেট সর্বনিম্ন দরদাতাকে পিপিআরবহির্ভূত শর্তের অজুহাতে বাদ দিয়ে চলতি বছরের পথ্য সরবরাহের ৩ কোটি টাকার একটি টেন্ডার বাগিয়ে নিয়েছে।
বণিক বার্তা
বিশ্বব্যাংক থেকে ১১৬ কোটি ডলার ঋণ পাচ্ছে বাংলাদেশ
তিনটি প্রকল্পে বাংলাদেশের জন্য ১১৬ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ। স্বাস্থ্যসেবা, পানি ও স্যানিটেশন পরিষেবা এবং সবুজ ও জলবায়ু সহনশীল উন্নয়নে এ ঋণ দেয়া হচ্ছে। গতকাল বিশ্বব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বাংলাদেশ ও ভুটানের জন্য বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে একটি বাংলাদেশ। সবচেয়ে বড় দূষণ–চ্যালেঞ্জের মুখোমুখিও রয়েছে দেশটি। এর ফলে প্রতিটি খাতে জলবায়ু সহনশীলতা উন্নত করা ও দূষণের দুর্যোগ মোকাবেলা করা দেশটির জন্য গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অগ্রাধিকার। নতুন এ অর্থায়ন বাংলাদেশের মানুষের জন্য স্বাস্থ্য, পানি ও স্যানিটেশনের মতো প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলো উন্নত করবে। এর মাধ্যমে পরিচ্ছন্নতা, জলবায়ু সহনশীলতা ও টেকসই উন্নয়নের ভিত্তি স্থাপিত হবে।’
মানবজমিন
যে কারণে বাংলাদেশকে বেছে নিলো ইকোনমিস্ট
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তালিকায় থাকা পাঁচটি দেশের মধ্যে দুটি দেশ স্বৈরশাসক হটিয়ে তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। এরমধ্যে পোল্যান্ডে ডনাল্ড টাস্কের নতুন প্রশাসন, যারা ২০২৩ সালে সংসদীয় নির্বাচনের পরে গঠিত হয়। তারা দেশকে পূর্বসূরিদের ফেলে যাওয়া অবস্থা থেকে টেনে তোলার চেষ্টা করছে। বাংলাদেশ প্রসঙ্গে দ্য ইকোনমিস্ট বলছে, আমাদের বিজয়ী বাংলাদেশও একজন স্বৈরশাসককে উৎখাত করেছে। আগস্টে ছাত্রদের নেতৃত্বে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হন সমাজের সর্বস্তরের মানুষ। সাড়ে ১৭ কোটি মানুষের ভূখণ্ডটিকে প্রায় ১৫ বছর শাসন করেছিলেন হাসিনা। যিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার নায়কের একজন কন্যা। একসময় দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির নেতৃত্ব দিয়েছেন। কিন্তু পরে দমনপীড়ন শুরু করেন, নির্বাচনে জালিয়াতি করেন, বিরোধীদের কারাগারে ভরেন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালানোর নির্দেশ দেন। তার আমলে বিরাট অঙ্কের অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে। এই প্রতিবেদনে দেশের প্রধান দল বিএনপিকে ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। বাংলাদেশ সম্পর্কে আরও বলা হয়েছে, ক্ষমতার হাত বদল হলে বাংলাদেশে প্রতিহিংসামূলক সহিংসতার ইতিহাস রয়েছে। এ ছাড়া ‘ইসলামী চরমপন্থা’ দেশটির জন্য একটি বড় হুমকি। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার এখন পর্যন্ত আশাব্যঞ্জক। দেশটির অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে রয়েছেন শান্তিতে নোবেল পাওয়া প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। যারা ছাত্র, সেনাবাহিনী, ব্যবসায়ী ও নাগরিক সমাজের সমর্থন পেয়েছে। এ সরকার আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে এবং অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করছে।
বণিক বার্তা
ক্রমেই বড় হচ্ছে মানুষের সারি, পণ্য না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন অনেকেই
মূল্যস্ফীতির কারণে জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ছে। একই সঙ্গে বাড়ছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ট্রাক থেকে স্বল্পমূল্যে পণ্য কিনতে আসা মানুষের ভিড়। প্রতিদিনই স্বল্পমূল্যে পণ্য কিনতে আসা মানুষের সারি বড় হচ্ছে। যদিও ট্রাক সেল কার্যক্রমে এ বিপুলসংখ্যক ক্রেতার চাপ সামলানো যাচ্ছে না। ভিড় ঠেলে পণ্য নিতে না পেরে ফিরে যাচ্ছেন অনেকেই।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ক্রেতার চাপ বাড়লেও তা সামলানোর মতো সক্ষমতা এখন টিসিবির নেই। ঋণনির্ভর ও মূলধন ঘাটতিতে থাকা সংস্থাটির লোকসানের বোঝা সাম্প্রতিক বছরগুলোয় বড় হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে বাজারে চাহিদামাফিক পণ্য সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। প্রতিদিনই দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য কিনতে না পারা মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে টিসিবির পণ্যের ট্রাক নিয়ে আসা ডিলারদের।
টিবিএস
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে নতুন ট্রেন চালুর পরিকল্পনা রেলওয়ের
ক্রমবর্ধমান যাত্রী চাহিদার মেটাতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে নতুন একটি ট্রেন চালুর পরিকল্পনা নিয়েছে রেলওয়ে। পাশাপাশি বর্তমানে চলাচলরত বিশেষ ট্রেনটিও স্থায়ী করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যেই রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে রেল মহাপরিচালকের দপ্তরে।
প্রস্তাবিত ট্রেনের নামও চূড়ান্ত হয়েছে ইতোমধ্যে। বর্তমানে চলাচলরত বিশেষ ট্রেনের ইঞ্জিনটি দিয়েই দুই বার করে মোট চার বার ট্রেন যাতায়াতের পরিকল্পনা করছে রেলওয়ে। তবে কোচ ও ইঞ্জিনসংকটের কারণে বিরতিহীন আন্তঃনগর ট্রেন সহসাই চালুর সম্ভবনা নেই বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এছাড়া নাম-নেতৃত্ব-কমিটি ও গঠনতন্ত্র চূড়ান্ত হয়নি / শিক্ষার্থীদের নতুন দল ঘিরে রাজনীতিতে নানা সমীকরণ; বাংলাদেশ ইকোনমিস্টের বর্ষসেরা; হাসান আরিফের জীবনাবসান; জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান / সোমবারের মধ্যে শহীদদের তালিকা; তারেক রহমানের ডাকে এবার লন্ডন গেলেন সালাহউদ্দিন; নির্বাচন দাবিতে সরকারকে চাপে রাখতে চায় বিএনপি; ডিএনএ মিলেছে / কলকাতায় পাওয়া মাংসখণ্ড আনারের; বুয়েট ছাত্রের প্রাণ নিল মদ্যপ চালকের গাড়ি—সংবাদগুলো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।