পুষ্টিহীনতার শঙ্কা এখন মধ্যবিত্তও
প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। সেইসব খবর থেকে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।
রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধ-সংলগ্ন কবরস্থানে প্রতিটি কবরে একটি করে নামফলক আছে। তাতে দাফন করা মরদেহের নাম-পরিচয় লেখা রয়েছে। কিন্তু কবরস্থানের ৪ নম্বর ব্লকে ওই রকম কোনো নামফলক নেই। একটু পরপর ছোট ছোট বাঁশ পুঁতে রাখা আছে। কেউ বলে না দিলে বোঝার উপায় নেই যে সেগুলো ‘বেওয়ারিশ’ লাশের কবর।
এর পাশাপাশি অন্যান্য খবরগুলো দেখে আসি—
প্রথম আলো
গণ–অভ্যুত্থানে নিহত অনেককে ‘বেওয়ারিশ’ হিসেবে দাফন, পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা কম
সারি সারি কবরের দুই পাশে সরু হাঁটাপথ। মাঝখানের জায়গাটি সবুজ ঘাসে ছেয়ে আছে। ফুটেছে ঘাসফুল। সেখানে একটি সাইনবোর্ডে চোখ আটকে গেল। তাতে লেখা, এই কবরগুলোতে যাঁরা চিরনিদ্রায় শুয়ে আছেন, তাঁদের সবার পিতৃপরিচয় ছিল, ছিল তাঁদের পরিবার। কিন্তু স্বৈরাচারী সরকারের কারণে তাঁরা বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন হয়েছেন। তাঁরা তো বেওয়ারিশ ছিলেন না। বোঝা গেল, এগুলোর মধ্যে জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণ-অভ্যুত্থানে নিহত ব্যক্তিদের কবরও রয়েছে। তাঁদের ‘বেওয়ারিশ’ হিসেবে সেখানে সমাহিত করা হয়েছে।
কালবেলা
ফাঁস প্রশ্নের টাকায় নিজ পকেটের উত্তর মেলান আবেদ আলী
চাকরির আশায় দিন-রাত এক করে পড়াশোনা করেও ভাগ্যের সিঁকে ছেঁড়ে না সবার। দেশে তাই হু হু করে বাড়ছে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা। সরকারি চাকরি পরিণত হয়েছে সোনার হরিণে। তবে পয়সা থাকলেই এসব চাকরি নাগালের মধ্যে এনে দিয়ে ‘অলৌকিক’ এক চরিত্রে পরিণত হয়েছেন সৈয়দ আবেদ আলী। সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সাবেক এই গাড়িচালক প্রশ্নফাঁসের মাধ্যমে অযোগ্য বহু প্রার্থীরই যে ভাগ্য বদলেছেন তা নয়, গড়েছেন নিজের ভাগ্যও। সামান্য চালক থেকে পরিণত হয়েছেন তথাকথিত শিল্পপতিতে। প্রশ্নফাঁসের টাকা সাদা করতে খোলেন একের পর এক অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠান। এমনকি প্রশ্নফাঁসের টাকা নিতে আত্মীয়স্বজনের নামে অ্যাকাউন্ট খুলে পরিচালনা করতেন নিজেই। তথ্য বলছে, চাকরির পরীক্ষা এলেই এসব অ্যাকাউন্টে বেড়ে যেত লেনদেন। আবেদ আলীর এমন অন্তত ১৬টি অ্যাকাউন্টের সন্ধান মিলেছে। যেখানে অন্তত ৬০ কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। এ ছাড়া আবেদ আলী চক্রের ১১৫টি অ্যাকাউন্টে ১২৫ কোটি টাকা লেনদেন করা হয়েছে।
বণিক বার্তা
সর্বোচ্চ ঋণ মোচনের অর্থবছর ২০২৪-২৫
সাম্প্রতিক বছরগুলোয় ক্রমেই বড় হয়েছে সরকারের ঋণ ও ঋণের সুদ পরিশোধের চাপ। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে তা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে বলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক হিসাবে উঠে এসেছে। মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরেই ঋণের আসল ও সুদ পরিশোধ বাবদ সবচেয়ে বেশি অর্থ পরিশোধ করতে হবে সরকারকে। এমনকি এ ব্যয় এবার রাজস্ব আহরণকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ সফররত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) মিশনের প্রতিনিধিরাও।
আরও পড়ুন
যুগান্তর
কর ফাঁকি অর্থ পাচারে নতুন কৌশল
জার্মানিভিত্তিক এনজিও ওয়েল্ট হাঙ্গার হিলফে বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসাবে কাজ করছেন ভারতীয় নাগরিক পঙ্কজ কুমার। প্রতিমাসে বেতন পান সাড়ে ৭ হাজার ইউরো। অথচ আয়কর বিভাগে বেতন দেখিয়েছেন সাকুল্যে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা (দেড় হাজার ইউরো)। এর বিপরীতে উৎসে কর কর্তন দেন ২০ হাজার ১৪৬ টাকা। বেতনের বাকি টাকা নিজ দেশে স্থানান্তর করছেন। তিনি ২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সুইস সোলজারস, সেফার ওয়ার্ল্ড এবং ক্রিস্টিয়ান এইডের মতো এনজিওতে কাজ করেছেন। যুগান্তরের অনুসন্ধানে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
দেশ রূপান্তর
পুষ্টিহীনতার শঙ্কা এখন মধ্যবিত্তও
দেশে প্রায় তিনবছর ধরে গড় মজুরির চেয়ে গড় মূল্যস্ফীতি বেশি। অর্থাৎ মানুষের আয়ের তুলনায় ব্যয় বেশি। একসময় এটি শুধু নিম্নবিত্তদেরই ভোগান্তির কারণ ছিল। কিন্তু উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে এটি এখন মধ্যবিত্তদেরও চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাজারের তালিকা প্রায় অর্ধেকে নেমেছে অধিকাংশ পরিবারে। পর্যাপ্ত খাবার কিনতে না পারায় অধিকাংশ পরিবারই আছে পুষ্টিহীনতার ঝুঁকিতে। বিশেষ করে এটি প্রভাব ফেলছে শিশুদের পুষ্টিতে।
কালের কণ্ঠ
কমিশনের প্রস্তাবে ফুঁসছে প্রশাসন
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পুরো প্রশাসনযন্ত্র। সরকারে উপসচিব ও যুগ্ম সচিব হতে পরীক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি উপসচিব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে প্রশাসন ও অন্য ক্যাডার কর্মকর্তাদের অনুপাত ৫০ঃ৫০ শতাংশ করা হচ্ছে। এ ছাড়া শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্যাডারকে নিয়ে পৃথক সংস্থা গঠনের প্রস্তাব করবে কমিশন।
কমিশনের এমন প্রস্তাবে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (বিএএসএ)।
সমকাল
ইজতেমার মাঠ দখল নিয়ে সংঘর্ষ, ঝরল ৪ প্রাণ
তাবলিগ জামাতের দু’পক্ষের সংঘাতে রক্তাক্ত হলো টঙ্গীর তুরাগতীরের বিশ্ব ইজতেমা ময়দান। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে মাওলানা সাদ কান্ধলভি ও মাওলানা জুবায়ের আহমেদের অনুসারীদের পুরোনো বিরোধ সংঘাতে রূপ নেয়। দু’পক্ষের সংঘর্ষে চারজনের প্রাণ গেছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
এর মধ্যে তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন শতাধিক। তাদের কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহত ৩৩ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
কালের কণ্ঠ
একের পর এক সংকট ও অভিঘাতে ধুঁকছে বড় বড় শিল্পগ্রুপ। নানা কারণে উৎপাদন সক্ষমতার পুরোটা কাজে লাগাতে পারছে না তারা। তাদের একদিকে বিরাট অঙ্কের ব্যাংকঋণ অন্যদিকে উচ্চ সুদের হার, ডলার সংকট, কর্মীদের বেতন-ভাতা, জ্বালানি সমস্যা, ইউটিলিটি বিলসহ বহুমুখী খরচের চাপ। এসব ধকলের মধ্যেই রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, শ্রমিক অসন্তোষ, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির মতো অসংখ্য সমস্যা।
প্রথম আলো
অভ্যুত্থানে ১৩২ শিশু–কিশোর ও ১১ নারীর মৃত্যু
মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে মোট ১৩২ শিশু–কিশোর এবং ১১ জন নারী শহীদ হয়েছেন। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ প্রথম আলোকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১৫ ডিসেম্বরের তথ্য অনুযায়ী, অভ্যুত্থানে এখন পর্যন্ত ৮৬৫ জনের মৃত্যুর তথ্য ডেটাবেজে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬৮২ জনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তবে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটের তথ্যে মৃতের সংখ্যা ৮৬০ বলা হয়েছে।
বণিক বার্তা
পদ্মা সেতুর চেয়ে ৩২% কম খরচে দ্বিতীয় পদ্মা সেতু বা টানেল নির্মাণ সম্ভব
পদ্মা সেতু নির্মাণে সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে ৩০ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা। মাওয়া-জাজিরা পয়েন্টে নির্মিত সেতুটির দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার। এখন আলোচনা চলছে পাটুরিয়া-গোয়ালন্দ পয়েন্টে দ্বিতীয় পদ্মা সেতু বা টানেল নির্মাণের। জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, দ্বিতীয় পদ্মা সেতু বা টানেল নির্মাণের জন্য ব্যয় হতে পারে ২৬ হাজার ৯০১ কোটি জাপানিজ ইয়েন। সর্বশেষ বিনিময় হার অনুযায়ী, বাংলাদেশী মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় ২০ হাজার ৯০৬ কোটি টাকার সমান। সে হিসাবে পদ্মা সেতুর চেয়ে ৩২ শতাংশ কম খরচে দ্বিতীয় পদ্মা সেতু বা টানেল নির্মাণ করা সম্ভব।
এছাড়া আইএমএফ / কঠিন শর্তে আরও ৭৫ কোটি ডলার মিলবে; জিডির ১ ঘণ্টার মধ্যে অ্যাকশন; তারেক রহমান / আমরা রাজনীতি করি, ভোটের কথাই বলব; ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় বাবর খালাস, পরেশ বড়ুয়ার যাবজ্জীবন; রাশিয়ার তৈরি ক্যান্সারের টিকা আসছে আগামী বছরের শুরুতে; চারজন নিহতের পর ইজতেমা মাঠে সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা; আ.লীগের বিচার ছাড়া নাগরিক কমিটি নির্বাচনে যাবে না; সংস্কারের সুপারিশে নির্ভর ইসির প্রস্তুতি—সংবাদগুলো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।