‘অধিকার এখানে, এখনই’ কর্মসূচির তারুণ্যের উৎসবে তরুণ-তরুণীদের ঢল
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা তরুণ-তরুণীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছিল ‘অধিকার এখানে, এখনই’ (আরএইচআরএন) কর্মসূচি আয়োজিত তারুণ্যের উৎসব। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) ব্র্যাকের সামাজিক ক্ষমতায়ন ও আইনি সুরক্ষা কর্মসূচির (এসইএলপি) উদ্যোগে দিনভর এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
এতে একই ছাদের নিচে তরুণ প্রজন্মের পাশাপাশি বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।
উৎসবের উদ্বোধনী পর্বে ব্র্যাকের ঊর্ধ্বতন পরিচালক কেএএম মোর্শেদ বলেন, যে কোনো সামাজিক পরিবর্তনের জন্য যুব সমাজের ঐক্যবদ্ধ সক্রিয় অংশগ্রহণ অপরিহার্য। যুব সমাজের সার্বিক অংশগ্রহণের মাধ্যমেই সমাজের সব স্তরে পরিবর্তন আনা সম্ভব। ‘অধিকার এখানেই, এখনই’ কর্মসূচিটি তরুণদের নেতৃত্ব গ্রহণের সক্ষমতা তৈরি করে এবং সমাজের এই পরিবর্তনগুলো বাস্তবায়নে সহায়তা করবে।
তরুণ প্রজন্মের হাত ধরে সমতা ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গড়ে ওঠবে উল্লেখ করে রিপ্রোডাকটিভ হেলথ সার্ভিসেস ট্রেনিং অ্যান্ড এডুকেশন প্রোগ্রামের (আরএইচস্টেপ) উপ পরিচালক ড. এলভিনা মুস্তারি বলেন, তরুণ সমাজ শুধু ভবিষ্যৎ নয়, তারা বর্তমানের চালিকাশক্তি। তাদের সঠিক তথ্য দিয়ে, সমতার ভিত্তিতে এবং মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতার মাধ্যমে ক্ষমতায়িত করা জরুরি। নিজেদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন থাকলে এই তরুণরাই ন্যায় ও সমতাভিত্তিক সমাজ গড়ায় সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারবে।
এসইএলপি কর্মসূচির সহযোগী পরিচালক শাশ্বতী বিপ্লব বলেন, তরুণরাই আমাদের ভবিষ্যৎ তৈরির কারিগর। আজ ইয়ুথ
ফ্যাস্টিভ্যালে আসা তরুণ প্রজন্মের উদ্যম ও উৎসাহ দেখে আমি মুগ্ধ। তারা টেকসই পরিবর্তনের লক্ষ্যে কাজ করতে চায় এবং আমি বিশ্বাস করি যে তরুণরা সেটি পারবে।
উদ্বোধনী অধিবেশনে তরুণ-তরুণীদের তৈরি করা ভিডিওচিত্রগুলোকে পুরস্কৃত করা হয়। এসব ভিডিওতে অপেশাদার তরুণ নির্মাতারা বিভিন্ন সামাজিক সমস্যাগুলো ফুটিয়ে তুলেছেন।
উৎসবের প্যানেল আলোচনায় পাবলিক প্লেসে নারী ও কন্যাশিশুদের নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনার বিষয়টি স্থান পায়। প্যানেলে তরুণ-তরুণীদের পাশাপাশি সরকারি ও এনজিও প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
এছাড়া দিনব্যাপী আয়োজনে অংশগ্রহণকারীরা স্টোরিটেলিং, মানসিক সুস্থতা, ডিজিটাল অ্যাডভোকেসি এবং আত্মরক্ষার কৌশলসহ বিষয়ভিত্তিক বিভিন্ন কর্মশালায় অংশ নেন।
আরএইচটি/এমএ