বিদেশে কর্মী যাওয়া কমেছে ২৪%
প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। সেইসব খবর থেকে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।
সৌদি আরবে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির কারণ সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ২০৩৪ সালের ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজক হয়েছে সৌদি আরব। দেশটিতে ফুটবল অবকাঠামো নির্মাণের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। এতে কর্মীর চাহিদা আসছে নিয়মিত। এ বছর বিদেশে যাওয়া কর্মীর ৬০ শতাংশ গেছে দেশটিতে। গত দুই মাসে বিদেশে কর্মসংস্থানের ৮০ শতাংশের বেশি হয়েছে সৌদিতে।
এর পাশাপাশি অন্যান্য খবরগুলো দেখে আসি—
প্রথম আলো
সৌদি আরবে ভর করে আবার বাড়ছে বিদেশে কর্মসংস্থান
সৌদি আরবে যেতে হলে একজন নিয়োগকর্তা বা কফিলের মাধ্যমে যেতে হয়। কোনো নির্দিষ্ট নিয়োগকর্তা ছাড়া দেশটিতে কর্মী যেতে পারবেন না। গিয়েও ওই নিয়োগকর্তার অধীন কাজ করতে হয়। এর ব্যতিক্রম হলে কর্মী অবৈধ হিসেবে গণ্য হবেন। কোনো কারণে চাকরি পরিবর্তন করতে চাইলে নিয়োগকর্তার অনুমতি নিয়ে সৌদি কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিতে হয়।
কালবেলা
বাতিল হচ্ছে সাইবার নিরাপত্তা আইনের ৯ বিতর্কিত ধারা
বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ-২০২৪ এর প্রাথমিক খসড়া চূড়ান্ত করেছে সরকার। এতে বিদ্যমান আইনের অন্তত ৯টি বিতর্কিত ধারা বাদ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া নতুন করে যুক্ত করা হচ্ছে বেশ কয়েকটি ধারা। উপদেষ্টা পরিষদের আগামী বৈঠকে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ-২০২৪ এর খসড়া আলোচনায় উঠবে বলে সূত্র জানিয়েছে।
নতুন আইনের খসড়াটি পর্যালোচনায় দেখা যায়, বাকস্বাধীনতাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করার মতো তেমন কোনো ধারা নেই। বর্তমান আইনে মানহানিকর তথ্য প্রকাশ এবং মুক্তিযুদ্ধ, জাতীয় পতাকা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে বিদ্বেষ-বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণায় শাস্তির বিধান রয়েছে। এসব ক্ষেত্রে সংজ্ঞা অস্পষ্ট। ফলে সাধারণ বক্তব্যের জন্য মামলা করা যেত এবং সে কারণে অনেক মানুষকে কারাগারে থাকতে হয়েছে। এসব ধারা নতুন সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশে না রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।
বণিক বার্তা
আশুলিয়া থেকে ক্রয়াদেশ স্থানান্তর হচ্ছে অন্য এলাকায়
রাজধানী ঢাকার অদূরে সাভার উপজেলার অধীন আশুলিয়ায় রয়েছে পোশাক খাতের প্রায় বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর অফিস কিংবা কারখানা।
সার্বিক দিক বিবেচনায় কমপ্লায়েন্ট বা মানে উত্তীর্ণ বলে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও রয়েছে অনেকগুলোর। সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তাদেরও দাবি কারখানার কর্মীদের ন্যায্য সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকেন তারা। কিন্তু তা দিয়েও লাভ হচ্ছে না। নিয়মিত বিরতিতে শ্রম অসন্তোষের কারণে বন্ধ রাখতে হচ্ছে কাজ। পোশাক শিল্প-কারখানার প্রেক্ষাপটে এটি একটি বড় ধরনের বিপর্যয়।
সমকাল
এ বছর বিদেশে কর্মী পাঠানো কমেছে ২৪ শতাংশ। গত বছর চাকরি নিয়ে ১৩ লাখ ৭ হাজার ৮৯০ জন বিদেশ গিয়েছিলেন। আর গত ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ সংখ্যা ৯ লাখ ৫২ হাজার ৬৫৮। তাদের মধ্যে সৌদি আরব গেছেন ৫ লাখ ৭৯ হাজার ৪২৩ জন, যা মোট জনশক্তি রপ্তানির ৬০ শতাংশ।
চলতি বছর নতুন শ্রমবাজার খোলেনি বাংলাদেশিদের জন্য। মালয়েশিয়া, মালদ্বীপের মতো পুরোনো শ্রমবাজার বন্ধ হয়েছে। আগস্ট থেকে অঘোষিতভাবে বন্ধ সংযুক্ত আরব আমিরাতের শ্রমবাজার। যুক্তরাজ্য, ইতালি, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়ার মতো উন্নত দেশেও কর্মসংস্থান সংকুচিত হয়েছে বাংলাদেশিদের জন্য। জনশক্তি রপ্তানি অর্ধেকে নেমেছে ব্রুনাইয়ে। মরিশাসে বন্ধ রয়েছে ঘোষণা ছাড়াই।
টিবিএস
ফিরছে বিদেশি ঋণের সুদের ওপর ২০ শতাংশ কর, উদ্বেগ ব্যবসায়ীদের
বিদেশি উৎস থেকে ঋণ নেওয়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিবছর প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার অতিরিক্ত ব্যয়ের মুখে পড়তে যাচ্ছে। কারণ, চলতি মাসেই এসব ঋণের সুদ পরিশোধের ওপর ২০ শতাংশ করছাড়ের মেয়াদ শেষ হবে। এর ফলে প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসা পরিচালনার খরচ আরও বেড়ে যাবে এবং সেগুলোর প্রতিযোগিতা-সক্ষমতা দুর্বল হবে। উদ্যোক্তারা আশঙ্কা করছেন, এ পরিস্থিতি শিল্পায়নে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষ করে রিজার্ভের এ সংকটের সময় বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ কমে যেতে পারে।
মানবজমিন
দিনভর থাকে না গ্যাস, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ভোগান্তি
বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা) সূত্র জানিয়েছে, দেশে গ্যাসের চাহিদা রয়েছে ৪০০০ মিলিয়ন ঘনফুট। তবে সরবরাহ করার সক্ষমতা রয়েছে ২৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট। এজন্য কিছু এলাকায় গ্যাস থাকে কিছু এলাকায় সংকট তৈরি হয়। এ ছাড়া অবৈধ সংযোগের কারণে ৫-৬ শতাংশ গ্যাস চুরি হচ্ছে। এতেও কিছুটা সংকট তৈরি হচ্ছে। পেট্রোবাংলা পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মাইনস) প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান খান মানবজমিনকে বলেন, চাহিদা বাড়ার কারণে সংকট বাড়ছে। সংকট মোকাবিলার জন্য যদি আবাসিকে গ্যাস ব্যবহার না করা হয় তাহলে মোকাবিলা করা যায়। আবাসিকে বিশ্বের কোথাও গ্যাস ব্যবহার করা হয় না। আবাসিকের বিকল্প রয়েছে। সারা দেশে মানুষ আবাসিকের জন্য এলপিজি ব্যবহার করছে। এতে চুরি, লিকেজ, অপচয়ও কমে। শিল্পে গ্যাস ব্যবহার হয়। সেখানে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান জড়িত।
প্রথম আলো
মেট্রোরেলের কার্ডসংকট: একক যাত্রায় চালু হচ্ছে কাগজের টিকিট
ঢাকায় মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) সূত্র বলছে, এখন তাদের হাতে একক যাত্রার টিকিট কার্ড আছে মাত্র ৩০ হাজারের মতো। এ মাসে আরও ৩০ হাজার কার্ড আসবে। জানুয়ারির শেষ দিকে আসতে পারে ১ লাখ ২০ হাজারের মতো কার্ড। এরপরও একক যাত্রার টিকিট কার্ডের সমস্যা মিটবে না বলে মনে করছেন কর্মকর্তারা।
ডিএমটিসিএলের হিসাবে, মেট্রোরেলে এখন দিনে প্রায় সাড়ে তিন লাখ যাত্রী যাতায়াত করেন। গড়ে ৪৫ শতাংশ যাত্রী একক যাত্রার কার্ড ব্যবহার করেন। অন্যরা যাতায়াত করেন এমআরটি কার্ডে। একক যাত্রার কার্ডসংকটে যাত্রীদের স্টেশনে গিয়ে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সময় অপেক্ষা করে ট্রেনে উঠতে হচ্ছে। অনেকে কার্ড না পেয়ে বিকল্প ব্যবস্থায় গন্তব্যে যাচ্ছেন।
কালের কণ্ঠ
ক্ষুব্ধ প্রশাসন ক্যাডার, খুশি অন্যরা
উপসচিব ও যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি পেতে পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। যিনি সর্বোচ্চ নম্বর পাবেন, তিনিই তালিকায় ১ নম্বরে আসবেন। আর উপসচিব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে প্রশাসন ও অন্যান্য ক্যাডার কর্মকর্তাদের জন্য ৭৫ঃ২৫ শতাংশের বদলে ৫০ঃ৫০ শতাংশ করার সুপারিশ দেবে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। কমিশনের এমন সিদ্ধান্তে চরম ক্ষুুব্ধ প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তারা।
নিজেদের করণীয় ঠিক করতে গতকাল মঙ্গলবার রাতে জরুরি বৈঠক করেছে প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (বিএএসএ)। তাদের অভিযোগ, সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী উপসচিব পদে পদোন্নতিতে প্রশাসন ক্যাডার থেকে ৭৫ শতাংশ এবং অন্য ক্যাডার থেকে ২৫ শতাংশ নেওয়া হয়। এটি পরিবর্তন করা দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায় উপেক্ষা করার শামিল। এতে প্রশাসনে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হবে।
বণিক বার্তা
কাজ না পেয়ে বাড়ছে দেশে ফেরা প্রবাসীর সংখ্যা
ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের তথ্যমতে, গত ১৯ মাসে বিভিন্ন দেশে গিয়ে ছয় মাসের মধ্যেই দেশে ফিরেছেন এমন কর্মীর সংখ্যা ১ হাজার ৯২৬। এর মধ্যে সৌদি আরব ফেরত ৭৭৬, মালয়েশিয়া ২২১, ওমান ২১৬, দুবাই ১২২, রোমানিয়া ৮৭, কাতার ১২২, আরব আমিরাত ৬৭, কুয়েত ৭৪, কিরগিজস্তান ৫২, উজবেকিস্তান ৪৩, কাজাখস্তান ২৮ ও সিঙ্গাপুর ফেরত ৮৭ জন। তারা সবাই ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডে বীমা সুবিধা পাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। তবে যারা আবেদন করেননি তাদের সংখ্যাটা আরো অনেক বেশি।
সমকাল
ফিরছে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা, গণভোট
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী মামলায় বহুল আলোচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা এবং গণভোট পুনর্বহাল করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি সংবিধানবহির্ভূতভাবে ক্ষমতা দখলবিষয়ক ৭-এর ক ও খ অনুচ্ছেদ বাতিল করা হয়েছে। এই অনুচ্ছেদে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিকে রাষ্ট্রদ্রোহী হিসেবে গণ্য করে প্রচলিত আইনে তার সর্বোচ্চ দণ্ডের কথা বলা রয়েছে। এর মাধ্যমে দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচলিত ব্যবস্থা বাতিল হয়ে গেল। এ ছাড়া নির্বাচনী ব্যবস্থার বাইরে ক্ষমতাসীন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারও বৈধতা পেয়েছে।
বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল মঙ্গলবার পঞ্চদশ সংশোধনী-সংক্রান্ত মামলার এ রায় দেন। সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে জনাকীর্ণ এজলাসে প্রায় দুই ঘণ্টা রায় পাঠ করেন জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ফারাহ মাহবুব।
মানবজমিন
স্বাভাবিক জীবনে ফেরা নিয়ে অনিশ্চয়তা
জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে আহতদের অনেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন ঢাকার শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল)। আহতদের অধিকাংশকেই স্টিলের রডের রিং লাগিয়ে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। সরকারের নির্দেশনায় বিনা খরচে চিকিৎসা চললেও আহতদের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কায় পরিবার। অনেকদিন যাবৎ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে না গিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন অনেক শিক্ষার্থীরা। চিকিৎসকরা বলছেন- সম্পূর্ণ সুস্থ হতে তাদের প্রায় ২ বছর সময় লাগতে পারে। সরজমিন গত শনিবার হাসপাতালটির ৪ তলায় অবস্থিত ওয়ার্ড ‘এ’ ও ৩ তলায় অবস্থিত ওয়ার্ড ‘বি’ তে এমন চিত্র দেখা যায়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের মধ্যে হাসপাতালটিতে ভর্তি আছেন ৮৪ জন। এখন পর্যন্ত হাসপাতালটিতে আন্দোলনে আহত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন মোট ৫৫৪ জন।
বণিক বার্তা
২০২৪ সালে বাংলাদেশী টাকা এশিয়ার অন্যতম দুর্বল মুদ্রা
ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশী মুদ্রা টাকার বড় অবমূল্যায়ন টানা তৃতীয় বছরেও অব্যাহত রয়েছে। চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত অবমূল্যায়ন ঘটেছে ৯ শতাংশেও বেশি। তবে এ হিসাব কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঘোষিত দরের ক্ষেত্রে। কার্ব মার্কেট বা খোলা মুদ্রাবাজার দর আমলে নিলে চলতি বছর টাকার বিপরীতে ডলারের বিনিময় হার বেড়েছে সাড়ে ১৪ শতাংশ। সে হিসাবে ২০২৪ সালে এশিয়ার উল্লেখযোগ্য মুদ্রাগুলোর মধ্যে টাকার অবস্থানই সবচেয়ে দুর্বল।
প্রথম আলো
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নিয়ে প্রশাসন ও শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তাদের আপত্তি
উপসচিব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের জন্য ৫০ শতাংশ ও অন্য ক্যাডারের জন্য ৫০ শতাংশ করা বিষয়ে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নিয়ে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের মধ্যে তীব্র আপত্তি উঠেছে। তাঁরা বলছেন, এ সুপারিশ তাঁরা মানবেন না। অন্যদিকে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যকে ক্যাডারে অন্তর্ভুক্ত না রেখে আলাদা কমিশনে রাখার যে সুপারিশ করা হচ্ছে, তা নিয়ে শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারাও আপত্তি জানাচ্ছেন।
গতকাল মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সচিবালয় বিটের সাংবাদিকদের সঙ্গে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের মতবিনিময় সভায় কমিশনপ্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী এবং সদস্যসচিব ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোখলেস উর রহমান তাঁদের কিছু সুপারিশের কথা তুলে ধরেন। অবশ্য সুপারিশ রাখা না–রাখার বিষয়টি সরকারের সিদ্ধান্ত বলে জানান তাঁরা।
কালের কণ্ঠ
২০২৩ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার ছয় মাসের মধ্যে ফেরত আসা কর্মীদের জন্য ৫০ হাজার টাকা বীমা সুবিধা চালু করেছিল। সে বীমা সুবিধার আবেদনের তথ্য যাচাই করে দেখা গেছে, গত দুই বছরে বিশ্বের ১২টি দেশ থেকে এক হাজার ৯২৬ জন বাংলাদেশি কর্মী দেশে ফেরত এসেছেন, যার মধ্যে চলতি বছর ফেরত এসেছেন এক হাজার ২০০ জন। গত বছরের তুলনায় চলতি বছর ৩৭ শতাংশ বেশি কর্মী ফেরত এসেছেন। এ ছাড়া চলতি বছর জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত সাত মাসে আউটপাস নিয়ে ফেরত এসেছেন ৪০ হাজার ৩০৫ জন কর্মী।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের কর্মকর্তারা বলছেন, এই কর্মীদের বড় একটি অংশ কাজ না পেয়ে ফেরত এসেছেন। তবে সঠিক সংখ্যা নিশ্চিত করতে পারেনি প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক। আর চলতি বছর মালয়েশিয়ায় অভিবাসন প্রত্যাবাসন কর্মসূচির অংশ হিসেবে দেশে ফিরে আসতে ৩১ হাজার ৪১ জন বাংলাদেশি কর্মী নিবন্ধন করেছেন। গত ১২ ডিসেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক জাকারিয়া শাবান।
এছাড়া গ্রামবাংলার ঐতিহ্য / জমে উঠেছে জামাই-বউ মেলা; বিচিত্র / এক ডিম ২৯ হাজার টাকা; রাতের ভোটে ক্ষমতায় যেতে চায় না বিএনপি; হাসিনা রেহানা পরিবারের দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু; সিরিয়ায় এক গণকবরেই লাখো মানুষের মরদেহ; স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা / বিডিআর হত্যার তদন্ত কমিটি ৫ কার্যদিবসে; হাসিনাসহ ১৬ জনের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে আরও দুই মাস সময়; অনুমোদিত প্রকল্প বাতিল শুরু—সংবাদগুলো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।