এক টাকাও খরচ করতে পারেনি দুই মন্ত্রণালয়
প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। সেইসব খবর থেকে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।
আগামী নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যকে ভোটের সময়ের ব্যাপারে একটা ধারণা বা ইঙ্গিত হিসেবে দেখছে বিএনপিসহ বিভিন্ন দল। তারা বলেছে, প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে নির্বাচনের তারিখের ব্যাপারে সুস্পষ্ট কোনো রোডম্যাপ নেই। প্রয়োজনীয় সংস্কার ও নির্বাচনের সময়ের প্রশ্নে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চায় তারা।
এর পাশাপাশি অন্যান্য খবরগুলো দেখে আসি—
প্রথম আলো
নির্বাচন নিয়ে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চায় বিএনপি ও অন্যান্য দল
সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ দাবির প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস গতকাল সোমবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে নির্বাচনের সময় নিয়ে কথা বললেন। দেশের অন্যতম প্রধান দল বিএনপি প্রধান উপদেষ্টার এই বক্তব্যকে সাধুবাদ জানিয়েছে। কিন্তু দলটির নেতারা বলেছেন, সংস্কারে কতটা সময় প্রয়োজন বা ঠিক কবে নির্বাচন হবে, সে ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো বক্তব্য নেই।
বণিক বার্তা
হালনাগাদ আর্থিক তথ্যের অভাবে অন্ধকারে সামিট পাওয়ারের বিনিয়োগকারীরা
দেশের বিদ্যুৎ খাতে সামিট পাওয়ার লিমিটেডের যাত্রা আড়াই দশকের কিছু বেশি। এর মধ্যে শুরুর দেড় দশকের তুলনায় শেষের দশকে কোম্পানিটির ব্যবসায়িক উল্লম্ফন হয়েছে সবচেয়ে বেশি। মূলত বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের নেয়া বিদ্যুৎ খাতে আইপিপি-নির্ভর অনুকূল নীতিকে কাজে লাগিয়ে সামিটের বিদ্যুৎ ব্যবসা বড় হয়েছে। তবে গত আগস্টে আওয়ামী সরকারের পতনের পর ব্যবসায়িকভাবে চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়েছে কোম্পানিটি। এরই মধ্যে বেশকিছু তদন্ত চলছে কোম্পানিটির বিরুদ্ধে। তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির মালিকানায় থাকা ১৫টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মধ্যে বর্তমানে পাঁচটির উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। হালনাগাদ আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ না করার কারণে কোম্পানিটির আর্থিক ও ব্যবসায়িক পরিস্থিতি নিয়ে অন্ধকারে রয়েছেন পুঁজিবাজারে সামিটের বিনিয়োগকারীরা। সবকিছু মিলিয়ে প্রথমবারের মতো ব্যবসায়িকভাবে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়েছে সামিট পাওয়ার।
আজকের পত্রিকা
এক টাকাও খরচ করতে পারেনি দুই মন্ত্রণালয়
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নে চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে কোনো অগ্রগতি দেখাতে পারেনি পররাষ্ট্র ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। আরও ৫৩টি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে ১০টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এডিপি বাস্তবায়নে মাত্র ৫ শতাংশ অগ্রগতিও দেখাতে পারেনি। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ ১৪৩ কোটি ১৬ লাখ টাকা এবং স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের ১৩টি প্রকল্পে বরাদ্দ ৪ হাজার ৯৩৬ কোটি টাকা থাকলেও এখনো কোনো অর্থ খরচ হয়নি। একই চিত্র অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের, যার বরাদ্দ ৭৫৪ কোটি টাকা।
সমকাল
শিক্ষার্থীদের দলের আত্মপ্রকাশ জানুয়ারি কিংবা ফেব্রুয়ারিতে
আগামী জানুয়ারি কিংবা ফেব্রুয়ারির শুরুতে রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশের লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণই তাদের লক্ষ্য। এরই মধ্যে নাগরিক কমিটির ব্যানারে আত্মপ্রকাশ করেছে তারা। জেলা ও উপজেলায় কমিটি গঠনের লক্ষ্যে সাংগঠনিক কার্যক্রমও শুরু হয়েছে।
সংগঠন সূত্রে জানা যায়, এ বছরের বিজয় দিবসে রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশের কথা ছিল। বিভিন্ন কারণে তা সম্ভব হয়নি।
সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে দলটি ১০০টির কাছাকাছি উপজেলা কমিটি দিয়েছে। আরও ৫০টি কমিটির খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। সংগঠনটির লক্ষ্য, ৪০০ উপজেলা কমিটি দেওয়ার পর রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। এসব কমিটি নিজ নিজ জেলা কমিটি নির্ধারণ করবে। এ ছাড়া এবি পার্টি, গণসংহতি আন্দোলনসহ বেশ কয়েকটি দলের সঙ্গে নাগরিক কমিটির আলোচনা হয়েছে। তবে জোটের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
বণিক বার্তা
দেশে ধানের পর এখনো সবচেয়ে বেশি কৃষক আখ আবাদ করেন
কৃষি ও খাদ্যবিষয়ক আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (আইএফপিআরআই) সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদন বলছে, ধানের পর এখনো দেশের প্রায় ৫৭ শতাংশ কৃষক আখ চাষ করছেন। আর ৩০ শতাংশের মতো চাষবাস করছেন সবজি, পাট ও ডালজাতীয় ফসল। এর বাইরে আলু উৎপাদন করছেন ২২ শতাংশ ও পেঁয়াজ চাষ করছেন ২৩ শতাংশ কৃষক। মূলত বছরে কয়েকবার ফসল চাষাবাদের হিসাব মাথায় রেখে এ প্রতিবদেন তৈরি করা হয়েছে। এখানে কোনো কোনো কৃষক একের অধিকও ফসল উৎপাদন করেন।
আজকের পত্রিকা
রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়: ৭৪ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পে নয়ছয়
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার মান উন্নয়নে নেওয়া ‘বিশেষ উন্নয়ন প্রকল্প’ অনিয়মের কারণে ভেস্তে যেতে বসেছে। প্রকল্প পরিচালক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এ কে এম নূর-উন-নবী, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পের তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আলম ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হাবিব অ্যান্ড কোংসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কাজ অসম্পূর্ণ রেখে প্রায় ৭৪ কোটি টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।
প্রকল্পসংশ্লিষ্ট সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ‘বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় মোট তিনটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্প তিনটি হচ্ছে শেখ হাসিনা ছাত্রী হল, ড. ওয়াজেদ মিয়া রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউট ও স্বাধীনতা স্মারক। এ জন্য মোট প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয় ৭৪ কোটি ১০ লাখ ১৮ হাজার ৭৫৯ টাকা। ২০১৬-১৭ সালে শুরু হওয়া প্রকল্পগুলোর কাজ ২০১৮ সালে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ৬ বছর পর এখনো তা শেষ হয়নি।
আরও পড়ুন
মানবজমিন
আইসিটি প্রকল্পে শতকোটি টাকা লোপাট
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) শিক্ষার মান উন্নয়নে সারা দেশে প্রায় ৪৮ হাজার মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপনের প্রকল্প হাতে নিয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকার। কিন্তু ক্লাস প্রস্তুতের আগেই সিন্ডিকেট করে প্রায় শতকোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়। খোদ আওয়ামী লীগের আমলেই উঠে আসে ৯৬ কোটি টাকা দুর্নীতির তথ্য। এছাড়াও আরেকটি প্রকল্পের ৭৭ কোটি টাকার দুর্নীতির প্রমাণ পায় আরেকটি তদন্ত কমিটি। ১৬০টি উপজেলায় ডিজিটাল ক্লাসরুম শুরুর আগেই উঠিয়ে নেয়া হয় প্রায় ২০০ কোটি টাকা।
২০২০ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এই প্রকল্প শেষ হয় চলতি বছরের জুনে। প্রকল্পে কোটি কোটি টাকা ব্যয় হলেও আদতে কোনো ধরনের সুবিধা পাননি শিক্ষার্থীরা। তারপরও যেসব প্রতিষ্ঠানে ক্লাসরুম নির্মাণ হয়েছে সেগুলোও হয়েছে নামকাওয়াস্তে।
কালের কণ্ঠ
উন্নয়ন বাজেট থেকে কাটছাঁট হচ্ছে ১১,১৮৬ কোটি টাকা
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর অপ্রয়োজনীয় উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থছাড় কমিয়ে দিয়েছে। চলছে প্রয়োজনীয় ও অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প যাচাই-বাছাই। বেশ কিছু মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন বরাদ্দ থেকে বড় ধরনের কাটছাঁট করা হচ্ছে।
জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের উন্নয়ন বাজেট থেকে কাটছাঁট করা হচ্ছে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা, যার মধ্যে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগেই প্রায় ১১ হাজার ১৮৬ কোটি টাকা।
বণিক বার্তা
১২৬ টাকায়ও রেমিট্যান্সের ডলার কিনছে ব্যাংক
দেশে আবারো অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে ডলারের বাজার। ব্যাংক খাতের পাশাপাশি খুচরা বাজারেও (কার্ব মার্কেট) ডলারের বিনিময় হার এখন বাড়ছে। ব্যাংকগুলোর ঘোষিত দর অনুযায়ী, প্রতি ডলারের বিনিময় হার সর্বোচ্চ হওয়ার কথা ১২০ টাকা। যদিও এ ব্যাংকগুলোর কোনো কোনোটি এখন রেমিট্যান্সের ডলার কিনছে ১২৬ টাকা দরে। আর কার্ব মার্কেটে প্রতি ডলার কেনাবেচা হচ্ছে সর্বোচ্চ ১২৫ টাকায়।
গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশে ডলারের বাজার প্রায় স্থিতিশীল হয়ে এসেছিল। ব্যাংকের পাশাপাশি কার্ব মার্কেটেও ডলারের দর ছিল নিম্নমুখী। চাহিদা কমে যাওয়ায় কার্ব মার্কেটে প্রতি ডলারের বিনিময় হার ১২১ টাকায় নেমে গিয়েছিল। কিন্তু নভেম্বরের শুরুতেই ডলারের দর বাড়তে শুরু করেছে।
যুগান্তর
নদভী ছিলেন অবৈধ ব্যবসার নিয়ন্ত্রক
চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) সংসদীয় আসনের দুইবারের সাবেক এমপি ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দীন নদভী। এক দিনের জন্যও আওয়ামী লীগ করেননি আবু রেজা নদভী। এর পরও ২০১৪ ও ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগ থেকে রহস্যজনকভাবে নৌকার মনোনয়ন পেয়েছিলেন। দিনের ভোট রাতে নিয়ে কিংবা বিনা ভোটের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হন সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসন থেকে। ভোটে নির্বাচিত না হলেও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রাপ্তিই বিস্ময়ের ব্যাপার ছিল এলাকাবাসীর কাছে। এটিকে আওয়ামী লীগের ‘রাজনৈতিক দেউলিয়াপনা’ হিসাবে অনেকে বিবেচনা করেন। তবে যেভাবেই হোক-দুই দফায় এমপি হয়ে সাতকানিয়া-লোহাগাড়া এলাকা ১০ বছর শাসন করেছেন দাপটের সঙ্গে। নিজের স্ত্রী, শ্যালক, ভাতিজা ও পিএসকে দিয়ে সব ধরনের অপকর্ম করেছেন এলাকায়। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, ইটভাটা স্থাপন, পাহাড় কাটা, আবাদি জমির টপ সয়েল কাটা, অবৈধ সিএনজি ফিলিং স্টেশন স্থাপনাসহ সব ধরনের অবৈধ ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ ছিল তার হাতে।
খবরের কাগজ
টার্গেট ব্যক্তিকে অপহরণে থাকত অভিনব প্রযুক্তি
প্রযুক্তির সাহায্যে অভিনব কায়দায় টার্গেট ব্যক্তিদের গোপনে অপহরণ করা হতো। অপকর্মে জড়িতদের যেন পরবর্তী সময়ে শনাক্ত করা না যায়, সে জন্য গুম প্রক্রিয়ার ব্যাপ্তি ছিল কয়েকটি স্তরে। আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি দল টার্গেট ব্যক্তিকে উঠিয়ে নিত। আরেক দল আটক রেখে নির্যাতন করত। নির্যাতনের পর তাদের তুলে দেওয়া হতো অপর একটি দলের কাছে। শেষ দলটি কঠিন শর্তে কাউকে মুক্তি দিত, ফৌজদারি মামলা দিয়ে কাউকে কারাগারে পাঠিয়ে দিত, আবার কাউকে অভিনব কৌশলে হত্যা করত। সব অপকর্মই হতো গভীর রাতে। অপহরণ, আটক, নির্যাতন, হত্যা ও মুক্তি- এই পাঁচটি ভাগে সুপরিকল্পিতভাবে গুমের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। কাউকে গুম করার ক্ষেত্রে দুই ধরনের পদ্ধতি ব্যবহার করা হতো। অনেক সময় প্রথমে কাউকে আটক-নির্যাতন করে অন্যদের নাম আদায় করা হতো। এরপর নাম পাওয়াদেরও ধরে এনে নির্যাতন করা হতো। এভাবে তাদের সবাইকে গুম করা হতো। রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তি বা শীর্ষস্থানীয় নেতার সরাসরি নির্দেশেও গুম ও নির্যাতন করা হতো।
বণিক বার্তা
দেশে বৈধভাবে অবস্থান করছেন ৪৫ হাজার ভারতীয়
সরকারি হিসাব অনুযায়ী, দেশে ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর বৈধভাবে অবস্থান করছিলেন ৩৭ হাজার ৪৬৪ জন ভারতীয় নাগরিক। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এ সংখ্যা আরো বেড়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশের বিশেষ শাখার গত ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত হালনাগাদকৃত তথ্য অনুযায়ী, এরই মধ্যে দেশে বৈধভাবে অবস্থানরত ভারতীয় নাগরিকের সংখ্যা ৪৫ হাজারে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে দেশে বৈধভাবে অবস্থানরত বিদেশীদের মধ্যে সংখ্যার দিক থেকে ভারতীয়রাই শীর্ষে। তাদের মধ্যে বড় একটি অংশ দেশের বিভিন্ন শিল্প-কারখানায় কাজ করছেন। আবার একাংশ পড়াশোনা করছেন দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।
কালবেলা
ছুটির দিনেও ঢাকার বায়ু ‘দুর্যোগপূর্ণ’
ঢাকার বায়ুমানের অবনতি থামছে না। গতকাল সোমবার মহান বিজয় দিবসে ছুটির দিনে বায়ুদূষণে বিশ্বের ১২৫ নগরীর মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল ঢাকা। সকাল ১০টার দিকে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে ঢাকার বায়ুর মান ছিল ৩০২। বায়ুর এই মানকে দুর্যোগপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
এদিন বিশ্বে বায়ুদূষণে ৪২৭ স্কোর নিয়ে শীর্ষ অবস্থানে ছিল ভারতের দিল্লি। এর আগে ২ ও ৫ ডিসেম্বরও ঢাকার বায়ু ছিল দুর্যোগপূর্ণ। বায়ুমান ৩০০-এর বেশি হলেই তা দুর্যোগপূর্ণ হয়। আর পরপর তিন দিন টানা তিন ঘণ্টা করে দূষণ এ পর্যায়ে থাকলে জরুরি স্বাস্থ্য পরিস্থিতি ঘোষণার রীতি আছে।
দেশ রূপান্তর
শেখ বাড়ি গত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে খুলনা নগরের শেরেবাংলা রোডের একটি দোতলা বাড়ি বিশেষ এ নামে পরিচিতি পায়। এটি ছাত্র-গণআন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচাতো পাঁচ ভাইয়ের বাড়ি। ক্ষমতার অপব্যবহারের প্রতীক এ বাড়িতে তৈরি হয়েছিল অলিখিত কিছু নিয়মকানুন।
বাড়িটি হয়ে উঠেছিল সব ক্ষমতার কেন্দ্র। এ বাড়ির লোকজনের হুকুমেই চলত আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর কমিটি গঠন থেকে শুরু করে সব রাজনৈতিক কর্মকান্ড। পেশাজীবী সংগঠনগুলোও চলত এ বাড়ির নির্দেশে। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও সংগঠনের নেতারা এখানে নিয়মিত হাজিরা দিতেন।
এছাড়া ক্ষমতার পালাবদল / জিয়া পরিবারের নামে বারবার আঘাত; নির্বাচন হতে পারে পঁচিশের শেষে অথবা ছাব্বিশের প্রথমার্ধে; মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে মোদি-প্রিয়াঙ্কার মন্তব্যে বিতর্ক ও প্রতিবাদ; তারেক রহমান / জবাবদিহির সরকার জনগণের ক্ষমতা রক্ষা করতে পারে—সংবাদগুলো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।