পান্থকুঞ্জ পার্ক-হাতিরঝিল ধ্বংস করে নির্মাণ কাজ বন্ধের দাবি
কারওয়ান বাজার সংলগ্ন পান্থকুঞ্জ পার্ক। ভেতরে নির্মাণ কাজের বিশাল যন্ত্রের মাধ্যমে কাজ চলছে, কাজ করছেন শ্রমিকরাও। অন্যদিকে পাশেই প্রতিবাদ জানাতে মানববন্ধন করছেন একদল পরিবেশ প্রেমি ও স্থানীয়রা। তাদের দাবি পান্থকুঞ্জ পার্ক এবং হাতিরঝিল ধ্বংস করে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে হবে।
আজ (শনিবার) রাজধানীর পান্থকুঞ্জ পার্কের মধ্যে নির্মাণ কাজ চলমান থাকার পাশেই তারা মানববন্ধন করে এ দাবি জানিয়েছেন। বাংলাদেশের পরিবেশ সচেতন নাগরিক ও বিভিন্ন সংগঠনের যৌথ প্লাটফর্ম ‘বাংলাদেশ গাছ রক্ষা আন্দোলন’ এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, পান্থকুঞ্জ পার্কের সামনে (মেট্রো পিলার ৪৮৪) পান্থকুঞ্জ পার্ক এবং হাতিরঝিল ধ্বংস করে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে হবে। রাজধানীর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প শুরু থেকেই অব্যবস্থাপনা ও সমন্বয়হীনতার মধ্য দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। পান্থকুঞ্জ পার্ক একসময় খুব জনপ্রিয় ছিল। বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ এই পার্কে ঘুরতে আসতেন। কিন্তু বর্তমানে এই পার্ক অস্বস্তির নাম হয়ে উঠেছে। ইতোমধ্যে এক্সপ্রেসওয়ের কাজের জন্য পার্কের অনেক গাছ কাটা হয়েছে। এখন র্যাম্প নামার জন্য কাটা হবে আরও কিছু গাছ।
আরও পড়ুন
তারা আরও বলেন, এ নির্মাণ কাজ জনদুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে এ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের আইন, পরিকল্পনা ও যথাযথ পদ্ধতির তোয়াক্কা না করে হাতিরঝিলের জলাধার ভরাটের মাধ্যমে পরিবেশ ধ্বংস করছে। কোনো ধরনের পরিকল্পনাগত প্রভাব বিশ্লেষণ ছাড়াই নতুন করে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের জন্য সংযোগ সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যা হাতিরঝিল প্রকল্পের সার্বিক লক্ষ্য ও উপযোগিতাকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করবে। পান্থকুঞ্জ পার্ক কারওয়ান বাজারের ফুসফুস বলে জানে সবাই। এই পার্কে যেভাবে অবকাঠামো তৈরি হচ্ছে তাতে পার্কটি তার আগের অবস্থান হারাবে। তাছাড়া কারওয়ান বাজারের সামনে যদি এক্সপ্রেসওয়ের র্যাম্প হয় তাহলে এই এলাকায় যানজট আগের চেয়ে আরও বেড়ে যাবে।
নির্মাণ কাজ থামানো না গেলে পান্থকুঞ্জ পার্ক নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি বিদ্যমান রাস্তার উপযোগিতাও নষ্ট হবে এবং এ এলাকার মানুষ, পার্ক ব্যবহারকারীদের সার্বিক দিক থেকেই ব্যাহত হবে বলেও উল্লেখ করেন পরিবেশপ্রেমিরা।
মানববন্ধনে বাংলাদেশ গাছ রক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক আমিরুল রাজিব, সহ-সমন্বয়ক নয়ন সরকার, ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইপিডি) সভাপতি অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খানসহ পরিবেশ প্রেমি বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি এবং স্থানীয় এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
এএসএস/এমএন