স্বাস্থ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত সব বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়ার তাগিদ
স্বাস্থ্য মানুষের অন্যতম প্রধান মৌলিক অধিকার। শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিকসহ সব বিষয়ের সমন্বয় হচ্ছে স্বাস্থ্য। সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণের পাশাপাশি স্বাস্থ্যসম্মত খাবার, দূষণমুক্ত পরিবেশ, পরিকল্পিত নগরায়নসহ স্বাস্থ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত সব বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন আলোচকরা।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের উদ্যোগে একটি ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন
সভায় জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. আবু জামিল ফয়সাল বলেন, প্রতিনিয়ত চিকিৎসা ব্যয় বৃদ্ধির কারণে মানুষ নিরাপদ স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। স্বাস্থ্যসেবা পেতে চিকিৎসা বাবদ ব্যক্তির নিজস্ব পকেট থেকে খরচ হচ্ছে ৭০ শতাংশ। যার ফলে প্রতিবছর দরিদ্র হয়ে যাচ্ছে ৮৬ লাখ মানুষ। এক্ষেত্রে সরকারের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও তা বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। পাশাপাশি জনগণকেও স্বাস্থ্য অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। সুস্বাস্থ্যকে নিশ্চিত করার মাধ্যমে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে। এভাবে মানুষ কম অসুস্থ হবে এবং দেশের বাইরে চিকিৎসার উপর নিভর্রশীলতা কমে আসবে। সে লক্ষ্যে এখন থেকেই কাজ করতে হবে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের উপ-পরিচালক সুস্মিতা পাইক বলেন, নিরাপদ স্বাস্থ্য সেবা প্রাপ্তি প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকার হলেও তা লঙ্ঘিত হচ্ছে। সরকার স্বাস্থ্যখাতে ভর্তুকি দেওয়া সত্ত্বেও মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এ ছাড়া অপরিকল্পিত নগরায়ণ এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার, দূষিত পরিবেশের ফলে ডেঙ্গুসহ অন্যান্য সংক্রামক রোগগুলো মহামারি আকার ধারণ করেছে। যার ফলে প্রতিনিয়ত প্রাণ হারাচ্ছে অসংখ্য মানুষ। কেবলমাত্র কোনো একটি বিশেষ দিনকে উপলক্ষ্য করে নয় বরং বছরজুড়েই মানুষের নিরাপদ স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কাজ করতে হবে। সরকারের পাশাপাশি সবাইকেই শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় একযোগে কাজ করতে হবে।
ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট্রের পরিচালক গাউস পিয়ারী বলেন, শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ জাতি রাষ্ট্রের সম্পদ। সুস্থ জনগণই দেশের উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি। চারপাশের পরিবেশ উন্নয়নের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করা সম্ভব। নগরের প্রতিটি মানুষের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিকল্পনা গ্রহণের মাধ্যমে ন্যায়সংগত নগর গড়ে তুলতে হবে। নগর ব্যবস্থাপনায় নিরাপদ যাতায়াত, নিরাপদ খাদ্য গ্রহণ, দূষণমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
এএসএস/এমজে