পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতিরোধে স্মোকিং জোন বন্ধের দাবি
পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতি থেকে নারী-শিশুদের সুরক্ষায় হোটেল এবং রেস্তোরাঁয় স্মোকিং জোন বন্ধের দাবি জানিয়েছে গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এবং আত্মা (অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স)। তাদের দাবি, ধূমপানমুক্ত পরিবেশ সবসময় পর্যটন সহায়ক হয়ে থাকে। হোটেল এবং রেস্তোরাঁগুলোতে স্মোকিং জোন থাকলে শতভাগ ধূমপানমুক্ত পরিবেশ বজায় থাকে না। এই অবস্থায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের মাধ্যমে স্মোকিং জোন বন্ধ করা জরুরি।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এএফ হাসান আরিফের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় সংস্থা দুটির পক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়। এসময় অন্তর্বর্তী সরকারের এই উপদেষ্টা জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের উদ্যোগে তার মন্ত্রণালয়ের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।
প্রতিনিধি দলের সদস্যরা জানান, হোটেল এবং রেস্তোরাঁগুলোতে স্মোকিং জোন থাকলে শতভাগ ধূমপানমুক্ত পরিবেশ বজায় থাকে না স্মোকিং জোনে প্রবেশ বা বের হওয়ার সময় সিগারেটের ধোঁয়া পুরো রেস্তোরাঁয় ছড়িয়ে পড়ে এবং সেখানে আগত নারী, শিশুসহ সবাই পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতির শিকার হয়। একইসঙ্গে সেবা কর্মীরাও সেবা দিতে গিয়ে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয়।
এসময় প্রজ্ঞা এবং আত্মার পক্ষ থেকে জানানো হয়, এসডিজি-এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য অসংক্রামক রোগে মৃত্যু এক-তৃতীয়াংশে কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে তামাক একটি বাধা। বর্তমানে দেশে ৩৫.৩ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠী তামাক ব্যবহার করে। বছরে ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ তামাক ব্যবহারের কারণে মারা যায়। তামাকখাত থেকে অর্জিত রাজস্ব আয়ের চেয়ে তামাক ব্যবহারজনিত মৃত্যু ও অসুস্থতায় যে আর্থিক ক্ষতি হয় তার পরিমাণ অনেক বেশি।
এই পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করে। সে লক্ষ্যে সিভিল সোসাইটিসহ অংশীজনদের সঙ্গে পরামর্শ করে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান (ডিএসএ) বাতিলসহ বেশকিছু প্রস্তাব আইন সংশোধনের খসড়ায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
বৈঠকে বিমান ও পর্যটন উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেন ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডসর বাংলাদেশ লিড পলিসি অ্যাডভাইজার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, চ্যানেল এস’র ডিরেক্টর (নিউজ অ্যান্ড কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স) শংকর মৈত্র, আত্মার আহ্বায়ক মতুর্জা হায়দার লিটন এবং সহ-আহ্বায়ক নাদিরা কিরণ ও মিজান চৌধুরী, প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের এবং কর্মসূচি প্রধান হাসান শাহরিয়ার।
টিআই/এসএম