বাংলাদেশে ইইউভুক্ত সব দেশের অ্যাম্বাসি স্থাপন করার আহ্বান
বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সব দেশের অ্যাম্বাসি চালু করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে ফরেন এডমিশন অ্যান্ড ক্যারিয়ার ডেভলপমেন্ট কনসালটেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় সংগঠনটি।
সংগঠনটির আহ্বায়ক মামুন রানার সঞ্চালনায় সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এডহক কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল কাদির খান বাবু, যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুল হক, সদস্য মো সোলায়মান, সফিকুল ইসলাম শিমুল, আবুল হাসান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, উচ্চ শিক্ষার জন্য ইউরোপের দেশগুলো আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের একটি অন্যতম পছন্দের জায়গা। কারণ, ইউরোপের দেশগুলোতে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক স্কলারশিপ অফার করে থাকে এবং টিউশন ফি তুলনামূলক কম থাকায় শিক্ষার্থীদের আগ্রহ অনেক বেশি লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু দেশের স্বৈরতন্ত্রের পতনের মধ্য দিয়ে জাতীয় জীবনে আমরা মুক্তি পেলেও প্রতিনিয়ত প্রতিবেশী নামের আন্তর্জাতিক স্বৈরাচারদের ষড়যন্ত্র আর মিথ্যাচারের স্বীকার হতে হচ্ছে। আমরা মনে করি, এই প্রতিহিংসা আর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই তারা আমার দেশের ছাত্র সমাজের বিদেশে উচ্চ শিক্ষার মাধ্যমে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্নকে ধূলিসাৎ করতে বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য ভিসা প্রদান সীমিত বা কোনো কোনো ক্ষেত্রে বন্ধ রেখেছে।
তারা আরও বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইউ) অন্তর্ভুক্ত বেশিরভাগ দেশের অ্যাম্বাসি ভারতে হওয়ায়, বাংলাদেশ থেকে শিক্ষার্থীদের ভারতে গিয়ে ভিসা ইন্টারভিউ সম্পন্ন করতে হয়, যা একটি সময়, ব্যয় সাপেক্ষ এবং জটিল প্রক্রিয়া। অপরদিকে ভারতে শিক্ষার্থীরা ভিসা নিয়ে নির্দিষ্ট দেশের অ্যাম্বাসিতে যাওয়ার সময় একটি অসাধু চক্র সরলতার সুযোগে শিক্ষার্থীদের দ্বারা কালো টাকা পাচার বা মানি লন্ডারিং করে থাকে।
বক্তারা বলেন, বর্তমানে দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ভারতের ভিসা প্রদান বন্ধ বা সীমিত হয়ে যাওয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোতে শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। হাজার হাজার শিক্ষার্থী ইতোমধ্যে ইউরোপে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে এবং টিউশন ফিও পাঠিয়েছে। এই অবস্থায় শিক্ষার্থীরা সংশ্লিষ্ট অ্যাম্বাসির ইন্টার্ভিউ শিডিউল পেলেও, ভারতের ভিসা বন্ধ থাকায় এবং সংশ্লিষ্ট দেশের অ্যাম্বাসি ফেস না করাতে কোনো সিদ্ধান্ত না পাওয়ায় তারা চরম বিপাকে পড়েছে এবং একটি বড় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
তারা বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর কূটনৈতিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে ইইউ অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর অ্যাম্বাসি বাংলাদেশে স্থাপনের কোনো বিকল্প নেই। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত সব দেশের অ্যাম্বাসি/কনস্যুলেট সেবা সরাসরি আমাদের দেশ হতে পাওয়া গেলে, শিক্ষার্থীদের স্বল্প খরচে ইউরোপে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ কয়েকগুন বৃদ্ধি পাবে।
ওএফএ/এসএম